কলকাতা: কাশীপুরের বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃত্যু ঘিরে ক্রমশই ঘনাচ্ছে রহস্য। অর্জুনের মা রেশমি চৌরাসিয়ার দাবি, যে দিন তাঁর ছেলে মারা যান, সে রাতে বাড়ির সামনে একটা জটলা শুনেছিলেন তিনি। যেখানে কাউকে বলতে শোনা যায়, “খুন করে ফেলে দেব, কেউ খুঁজে পাবে না”।
শনিবারই সুরতহালে আত্মহত্যার ইঙ্গিত মিলেছিল। তবে রবিবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল তাঁর পরিবারের তরফে। ঘটনার রাতে অর্জুনের বাড়ির সামনে এসে অজ্ঞাতপরিচয় যুবকরা তাঁকে শাসিয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন মৃতের দাদা। মৃতের বড়দাদা আনন্দ চৌরাসিয়ার দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির সামনে সন্দেহজনক ভাবে একটি ধূসর রঙের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। ওই গাড়ি থেকে একজনকে নামতেও দেখা যায়।
অন্য দিকে, তাঁর মায়ের দাবি, “ওই রাতে বাড়িতে আসার পর আবার তাড়াতাড়ি চলে যায় অর্জুন। তখন বাড়ির সামনে একটা জটলা হচ্ছিল। কিন্তু কাউকেই দেখতে পাইনি। তারা বলছিল, তোকে মেরে এমন জায়গায় ফেলে দেব, কেউ খুঁজেই পাবে না। এর বেশি আর কিছুই শুনিনি”।
গত শুক্রবার সকালে কাশীপুরে বিজেপি যুব মোর্চার এক কর্মী ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কাশীপুর রেল কোয়ার্টারের পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে অর্জুন চৌরাসিয়া নামে ২৬ বছরের ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, ঘরে কোনো সুইসাইড নোট মেলেনি। খুনের অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবার।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে শনিবার কমান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয় অর্জুনের। সেই রিপোর্ট জমা পড়বে আদালতে। তবে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর দেহের যে সুরতহাল করা হয়েছিল, তাতে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। পুলিশ সূত্রে দাবি, খুন করা হলে ধস্তাধস্তি হতো। খুন করে ঝোলানো হলে একাধিক ব্যক্তির থাকার কথা ঘটনাস্থলে। সে ক্ষেত্রে আশপাশের বাসিন্দারাও টের পেতে পারেন। সে সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ দিন অর্জুনের মা দাবি করেছেন, ঘটনার রাতে বাড়ির বাইরে অচেনা কণ্ঠস্বর শুনতে পেয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়তে পারেন:
বহরমপুরে তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে, সুতপা খুনে এ বার মালদহ যাওয়ার প্রস্তুতি পুলিশের
শুধুমাত্র কংগ্রেস সরকারই গরিব-মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিতে পারে, উদাহরণ-সহ দাবি রাহুল গান্ধীর
দিল্লিতে সংক্রমণ কমতেই কমে গেল ভারতেও
২৬তম বার এভারেস্ট আরোহণ! নিজের রেকর্ডই ভেঙে দিলেন কামি রিটা শেরপা
‘অশনি’সংকেত: বাঁক নিলেও বিপন্মুক্ত থাকবে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।