কলকাতা: রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, কলকাতার সুবর্ণ বণিক সমাজ হলে সফলভাবে সম্পন্ন হল ক্যালকাটা জার্নালিস্টস ক্লাবের ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা। সদস্যদের উৎসাহী উপস্থিতি এবং প্রাণবন্ত আলোচনায় এ দিনের সভা হয়ে উঠল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
সভা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ক্লাবের সভাপতি প্রান্তিক সেন। ক্লাবের সারা বছরের কর্মসূচির বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে তিনি সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, “নিয়মিত সদস্যদের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনও উদ্যোগ সফল হতে পারে না। ক্লাবের আগামী দিনের সাফল্যের চাবিকাঠি সদস্যদের সক্রিয় ভূমিকা।”
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইমনকল্যাণ সেন সভার রিপোর্ট পেশ করেন এবং বলেন, “লিফট চালু হওয়ার পর থেকে ক্লাবের ছতলার ঘরে সদস্যদের আনাগোনা বেড়েছে। এখন ক্লাবের ঘর দোতলায় স্থানান্তরিত হওয়ায় আশা করছি সদস্যদের উপস্থিতি আরও বাড়বে। যাঁরা এখনও নিয়মিত আসেন না, তাঁদের কাছে আবেদন— এই ক্লাব আপনাদের, সক্রিয়ভাবে যুক্ত হোন।” প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ক্লাব ছতলার ঘর থেকে দু’তলার ঘরে স্থানান্তরিত হয়েছে।

আলোচনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বার্ষিক প্রতিবেদন ও অডিট রিপোর্ট উপস্থাপনের পাশাপাশি সভায় সদস্যদের মুক্ত আলোচনা পর্বে উঠে আসে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব।
বিশেষ করে ক্লাবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলিকে আরও আকর্ষণীয় ও সমৃদ্ধ করার বিষয়ে সদস্যরা নানা মতামত দেন। সম্পাদক আশ্বাস দেন, “সকল প্রস্তাব কার্যকরী সমিতির বৈঠকে বিস্তারিত আলোচিত হবে এবং প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
নতুন কর্মসমিতি নির্বাচন
আগামী দু’ বছরের জন্য নতুন কর্মসমিতি নির্বাচিত হল এ দিনের বার্ষিক সাধারণ সভায়। ক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ ও কর্মসমিতির ২১ জন সদস্য সাধারণ সদস্যদের গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। কিন্তু এ বার ২৪টি পদের জন্য ২৪টিই মনোনয়ন পত্র পড়ায় ভোট গ্রহণের প্রয়োজন পড়েনি। প্রান্তিক সেন, ইমন কল্যাণ সেন এবং সাধনা দাস বোস আগামী দু’ বছরের জন্য যথাক্রমে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং কোষাধ্যক্ষ হিসাবে নির্বাচিত হলেন।
প্রকাশিত হল ‘সাংবাদিক’-এর বার্ষিক সংখ্যা
সভা শেষে ক্লাবের মুখপত্র ‘সাংবাদিক’-এর ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা সংখ্যা, ২০২৫-এর আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হয়।
সভাপতি প্রান্তিক সেন ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সকল সদস্যের অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, “এই আলোচনাগুলি ক্লাবের ভবিষ্যৎ গতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
সদস্যদের আন্তরিক উপস্থিতি ও সুচিন্তিত মতামতের মাধ্যমে এবারের বার্ষিক সাধারণ সভা হয়ে উঠে প্রাণবন্ত।