খাস কলকাতায় একটি সরকারি হাসপাতালে ছানি অপারেশনের পর ২৫ জন রোগীর চোখে সংক্রমণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার গার্ডেনরিচ এলাকার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনার পর ওই এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম উত্তেজনা এবং উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানান, দু’জন রোগীর সমস্যার কথা শুনেছেন, তবে কারও দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি চলে গিয়েছে এমন খবর তাঁর কাছে নেই। বর্তমানে ওই রোগীদের চিকিৎসা চলছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের রিজিয়োনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমলোজিতে (আরআইও)।
মেটিয়াবুরুজ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। ছানি অপারেশনের পর ২০-২৫ জন রোগীর পরিবার চোখে দেখতে না পাওয়ার অভিযোগ তোলে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অপারেশন থিয়েটার জীবাণুমুক্ত করার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে এবং রোগীদের আরআইও-তে স্থানান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সংক্রমণের কারণে এই সমস্যা ঘটেছে।
রোগী পরিবারের অভিযোগ, চলতি সপ্তাহেই তাঁদের আত্মীয়দের ছানির অপারেশন হয়েছিল। বুধবার যখন ব্যান্ডেজ খোলা হয়, তখন রোগীরা দেখতে পাচ্ছিলেন না। একের পর এক রোগীর মুখে এই কথা শোনার পরে আতঙ্ক ছড়ায় রোগী এবং তাঁদের পরিবারের মধ্যে। রোগী পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান, “দু’জন রোগীর সমস্যার কথা শুনেছি, তবে সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি চলে গিয়েছে বলে শুনিনি। অভিযোগ তদন্তসাপেক্ষ। আরআইও থেকে একটি দল গার্ডেনরিচ হাসপাতালে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবে এবং তদন্ত করে দেখা হবে, ঠিক কী কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।”
রোগীর পরিজনদের একাংশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বুধবার অনেকের দ্বিতীয় অস্ত্রোপচার হবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। আতঙ্ক এবং দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন তাঁরা। সরকারি ভাবে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে গার্ডেনরিচ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং দৃষ্টিশক্তি হারানো রোগীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
দক্ষিণবঙ্গে অবশেষে সক্রিয় বর্ষা, সময়ের আগেই গোটা দেশ মৌসুমি বায়ুর কবলে