কলকাতা: শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের এক অনুষ্ঠানে দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নিজেই মেনে নিলেন যে, আদালতের ছুটি এবং নানা ধরনের ‘দীর্ঘসূত্রিতা’ কারণে মামলাকারীদের সময় নষ্ট হয়। তিনি বলেন, ‘‘আমি যখন ইলাহাবাদ হাই কোর্টে ছিলাম, তখনই আমার এটা মনে হয়েছিল।’’
বিচারপতি চন্দ্রচূড় ইলাহাবাদ হাই কোর্টের একটি অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন, যেখানে তিনি দেখেছেন, একজন বার সদস্যের মৃত্যু হলে আদালতের সারা দিনের কাজ বন্ধ রেখে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘বারের সদস্যরা এ-ও বলতেন যে, কোনো বিচারবিভাগীয় কাজও সেদিন আর করা যাবে না। আমি বলব, এটা ভেবে দেখা দরকার যে, বারের এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলে গোটা সমাজকে কি ভুক্তভোগী করা দরকার?’’
এই বক্তব্যের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি দীর্ঘসূত্রিতা এবং এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় আরও বলেন যে, কলকাতা তাঁর ‘প্রিয় শহর’ এবং এখানে আসার আমন্ত্রণ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি রাজি হয়ে যান। তিনি বাংলায় অনেকটা বক্তৃতা দেন এবং জানান যে, বাংলা সিনেমা এবং সাহিত্য তিনি পড়েছেন ও দেখেছেন।
প্রধান বিচারপতির এই বক্তব্য আদালতের দীর্ঘসূত্রিতা এবং এর প্রভাব নিয়ে নতুন করে ভাবনার সূত্রপাত করতে পারে। আদালতের কাজের গতি বাড়াতে এবং মামলাকারীদের ভোগান্তি কমাতে যা গুরুত্বপূর্ণ।