কলকাতা: দিঘায় এ বছর রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে না বলে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডলে ঘোষণা করেন, “দিঘায় রথযাত্রা পরের বছর থেকে পালিত হবে। কিছু কাজ এখনও শেষ হয়নি। পরের বছর থেকে রথযাত্রা শুরুর আগেই তা সম্পূর্ণ হওয়া জরুরি।”
দিঘায় জগন্নাথদেবের মন্দির নির্মাণের কাজ এখনও শেষ হয়নি। মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠা কবে হবে তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। তার মধ্যেই এ বছর থেকে দিঘায় জগন্নাথদেবের রথযাত্রা আয়োজনের সম্ভাবনা শোনা যাচ্ছিল। প্রশাসনিক সূত্রেও জানা গিয়েছিল, জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার জন্য তিনটি রথের কাঠামো তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে এবং দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের তত্ত্বাবধানে রথ-সড়ক তৈরির কাজ চলছিল। এই প্রস্তুতি দেখে অনেকের মনে হয়েছিল, এ বছর থেকেই দিঘায় রথযাত্রা শুরু হতে পারে।
বৃহস্পতিবার নির্মীয়মাণ জগন্নাথ মন্দির চত্বরে তিনটি রথের কাঠামো দেখা গিয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ওড়িশা থেকে দক্ষ কারিগর এনে রথগুলি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি রথের উচ্চতা প্রায় ১৫ ফুট। একটি গাঢ় সবুজ, একটি কমলা এবং অন্যটি হলুদ রঙের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। রথের মাথায় চূড়া বসানো হয়েছে। সূত্রের দাবি ছিল, পুরীর রথের আদলে তৈরি দিঘার রথের চূড়াগুলিকে শেষ মুহূর্তে রঙিন কাপড় দিয়ে মুড়ে ফেলা হবে। ইতিমধ্যেই রাজস্থানের বংশী পাহাড়পুর থেকে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তিও এসে পৌঁছেছে, যদিও সেগুলির মোড়ক এখনও খোলা হয়নি। মন্দিরের অন্দরসজ্জার কাজ শেষ হওয়ার পরেই মূর্তিগুলিকে স্থাপন করা হবে বলে জানা গিয়েছিল।
Happy to announce that, as in Puri, we in West Bengal are also erecting a pride- inspiring temple complex for Lord Jagannath at Digha. The Lord, Balabhadra and Subhadra will be worshipped here too, Rathayatra also will be celebrated.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 5, 2024
Despite some discussions otherwise, fact is… pic.twitter.com/0Gou9DwGYC
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর, দিঘায় রথযাত্রা আয়োজনের সমস্ত প্রস্তুতি স্থগিত করা হয়েছে। পরের বছর রথযাত্রা আয়োজনের জন্য মন্দির নির্মাণ এবং অন্যান্য প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা এবং পর্যটকরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন, কারণ এর ফলে রথযাত্রার আয়োজন আরও ভালোভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। দিঘায় রথযাত্রা শুরু হলে এটি স্থানীয় পর্যটন এবং সংস্কৃতির একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে।