স্মিতা দাস
ঠাকুরপুকুর এসবি পার্ক সর্বজনীনের পুজোয় এ বারে রোবট। ক্লাবের জেনারেল সেক্রেটরি সঞ্জয় মজুমদার বলেন, আমরা প্রতি মুহূর্তে নিজের সঙ্গে নিজেই বেঁচে থাকার যুদ্ধ করে চলেছি। কিন্তু এই বছরের যুদ্ধটা আরও কঠিন। করোনা সংক্রমণ বেঁচে থাকাটা আরও কঠিন করে দিয়েছে। প্রতি বছর তো আমরা আসলে যুদ্ধের পুজো করি। অর্থাৎ অসুরের সঙ্গে দেবীর যুদ্ধ। কিন্তু এই বছরে যুদ্ধের পুজো হবে না। বিজয়ীর পুজো হবে। তাই অস্ত্রের দরকার নেই। তাই মায়ের হাতে এই বছর কোনো অস্ত্র থাকবে না। থাকবে পদ্ম ফুল। আর পদ্মফুল শান্তি প্রতীক।
মণ্ডপের ব্যাপারে তিনি বলেন, মণ্ডপটা একটি ফিনিক্স পাখির আকারে। পুরান কথা থেকে জানা যায়, যখনই পৃথিবী কোনো ভাবে আক্রান্ত হয়েছে তখনই একটি ফিনিক্স পাখি মানব সভ্যতার উত্তরণ ঘটিয়েছে। তাই এই কঠিন অবস্থা থেকে আবার উদ্ধার পাবে পৃথিবী। আবার সুস্থ হবে ধরিত্রী। আবার সবাই স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে আসবে। সেই বার্তা দিতে এই প্রচেষ্টা। এ ছাড়া আলোয় ছবিতে জীবন রঙ্গমঞ্চের অভিনেতা অভিনেত্রীদের অভিনয় দেখা যাবে।

পুজো লাইভ দেখানো হবে একাধিক প্রথম সারির টিভি চ্যানেলের ফেসবুকেও। তা ছাড়া ইয়োটো অ্যাপের মাধ্যমে মাত্র ২১ টাকার বিনিময়ে পুজোর যে কোনো দিন কলকাতার যে কোনো জায়গায় ভোগ পাওয়া যাবে বাড়িতে বসেই।
আরও একটি বড়ো ব্যাপার হল এই মণ্ডপে যন্ত্রমানবী অর্থাৎ রোবটের মাধ্যমে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক দর্শকদের দেওয়া হবে। তা ছাড়াও স্যানিটাইজার টানেল, স্যানিটাইজার স্ট্যান্ড, মেডিকেল ইউনিট ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

প্রতিমা গড়েছেন পার্থ দাশগুপ্ত, মণ্ডপ সজ্জাতেও তিনিই।
উদ্বোধন হবে দ্বিতীয়া। বিসর্জন একাদশীতে।
ডায়মন্ড হারবার রোডের ওপরেই পুজো। তাই কাউকে মণ্ডপের ভেতর প্রবেশ করতে হবে না। বাইরে থেকেই প্রতিমা দর্শন করা যাবে।
আরও দেখুন – ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের হাত ধরে চলে এল ‘উৎসব অ্যাপ’, ঘরে বসেই হোক ঠাকুর দেখা
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।