বিধায়ক সাধন পাণ্ডের কেন্দ্রেই এবার বিধানসভা নির্বাচনে মুখোমুখি হয়েছেন সাধন-পত্নী সুপ্তি পাণ্ডে ও বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। বুধবার সম্পন্ন হয় এই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ, যা নিয়ে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে গুরুতর অভিযোগ তুললেন।
কল্যাণ চৌবের অভিযোগ, নির্বাচন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে পরিচালিত হয়নি এবং বেশ কয়েকটি বুথে কোনও ভোটই হয়নি। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে ৮৯টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি করেছেন তিনি। কল্যাণের অভিযোগ, বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৭-৮টি বুথে প্রায় ১০০ জন গুন্ডা-মস্তান ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে ভোট দিতে বাধা দিয়েছিল।
কল্যাণের আরও অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে বেলেঘাটায় কিছু ব্যক্তি রেসিডেনশিয়াল কমপ্লেক্সে গিয়ে ভোট না দেওয়ার জন্য লোকজনকে হুমকি দেয়। সেই কমপ্লেক্স ও বস্তির বাইরে ছেলেরা বসেছিল, যাতে ভোটাররা ভয়ে ভোট দিতে না যায়।
বিজেপির দাবি, ২৭৭টি বুথে তাঁদের প্রায় ৩০০ জন এজেন্ট ছিল, যাদের বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়। এছাড়া, ৮০ শতাংশ বুথে তৃণমূলের লোকেরা উপস্থিত ছিল এবং নির্দ্বিধায় ভোট দেয়।
প্রার্থী কল্যাণ চৌবে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “নির্বাচন করার কোনও প্রয়োজন নেই। তৃণমূল প্রার্থী দাঁড়াক, বিরোধীদের নমিনেশন প্রত্যাহার করতে বলা হোক। ভোট করে সময় আর সরকারের অর্থ নষ্ট করার দরকার নেই। কোনও বুথে এজেন্টের দরকার নেই। আমি এমনিই ওয়াকওভার দিয়ে দিতাম।”
বিজেপি প্রার্থী চান, বুথগুলির সিসিটিভি পরীক্ষা করা হোক। বিষয়গুলি আদালতেও তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন কল্যাণ চৌবে। তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নয়।বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, কুণাল ঘোষ, পরেশ পালরা রাস্তার ধারে ফুটপাথে বসে ভোট করিয়েছেন। যদিও কুণাল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি সাংবাদ মাধ্যমকে বলেন,‘“আমরা নিয়ম মেনে বসেছিলাম। গণতন্ত্রের উৎসব দেখছিলাম। বিজেপি হারবে বলে এ সব প্রলাপ বকছে।’’