আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং তাঁর তিন সহযোগীকে আট দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, যার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার সন্দীপ ঘোষকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে, যেখানে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
সিবিআই আদালতে জানায়, আর্থিক দুর্নীতির একটি বড় চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে সন্দীপ ঘোষ এবং তাঁর সহযোগীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। আদালত সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আট দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষী আফসর আলি, চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহকারী বিপ্লব সিংহ এবং একটি ওষুধের দোকানের মালিক সুমন হাজরাকে।
পুলিশ কিছুটা নমনীয়, লালবাজারের দিকে ১০০ মিটার এগোবে মিছিল, কোনো ব্যারিকেড নয়, থাকবে মানববন্ধন
সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির মামলার পাশাপাশি, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় তাঁর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সিবিআই ইতিমধ্যেই এই মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেছে এবং সন্দীপ ঘোষকে দুই মামলাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
এই মামলাটি নিয়ে সারা দেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্তের পর সন্দীপ ঘোষকে আদালত চত্বর থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় জনতা। তাকে দেখে ‘চোর চোর’ স্লোগান দেওয়া হয়।