কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় একের পর এক বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দমকলের দেরিতে পৌঁছনো নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সেই পরিস্থিতি এড়াতে এবার রাজ্য সরকারের তরফে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ— চালু হতে চলেছে দমকলের জন্য ‘গ্রিন করিডর’। শুক্রবার কলকাতা পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের অগ্নিনির্বাপন ও আপৎকালীন পরিষেবা দফতরের মন্ত্রী সুজিত বসু এই ঘোষণা করেন।
মন্ত্রী জানান, “কলকাতা, হাওড়া, ব্যারাকপুর, বিধাননগর কমিশনারেট-সহ গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে ফায়ার টেন্ডার যাতে দ্রুত পৌঁছাতে পারে, তার জন্য বিশেষ গ্রিন করিডর তৈরি করা হবে।”
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রতিটি দমকল গাড়িতে জিপিএস ট্র্যাকার বসানো হবে এবং গঠিত হবে একটি আধুনিক রিয়েল-টাইম কন্ট্রোল রুম, যেখানে থেকে সরাসরি নজর রাখা যাবে আগুন নেভানোর কাজে নিযুক্ত গাড়িগুলির গতিবিধির উপর।
এছাড়াও, রাজ্য সরকার শহর ও মফস্বলে ২৫টি নতুন ফায়ার স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনাও নিয়েছে।
এই উদ্যোগের মূল পেছনে রয়েছে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দুটি বড় অগ্নিকাণ্ড—
- খিদিরপুর বাজারে আগুন, যেখানে পুড়ে গিয়েছে শতাধিক দোকান
- মেছুয়ার একটি হোটেলে ভয়াবহ আগুন, যাতে প্রাণ হারান অন্তত ১৪ জন
উভয় ক্ষেত্রেই দমকলের দেরিতে পৌঁছনো এবং সমন্বয়ের অভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বহু মানুষ বলেছিলেন, সময়মতো দমকল পৌঁছালে হয়তো প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম হত। সেই ঘটনার থেকেই শিক্ষা নিয়ে এবার আগাম প্রস্তুতির দিকেই নজর দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত কলকাতার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলায় এক বড় পরিবর্তন আনবে। নাগরিক নিরাপত্তা ও জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে এটা প্রযুক্তিনির্ভর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন : বারাসতের কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল এলাকা