ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তর ফোর্ট উইলিয়ামের নাম পরিবর্তন করল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঐতিহাসিক এই দুর্গের নতুন নাম রাখা হয়েছে ‘বিজয় দুর্গ’। পাশাপাশি, ফোর্ট উইলিয়ামের একাধিক অংশের নতুন নামকরণও করা হয়েছে। বিপ্লবী বাঘাযতীন-এর স্মরণে এক ব্লকের নাম রাখা হয়েছে ‘বাঘাযতীন ব্লক’।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
১৭০০ সালে ব্রিটিশ রাজা উইলিয়ামের নামে দুর্গটির নামকরণ হয় ফোর্ট উইলিয়াম। ১৭৫৬ সালে নবাব সিরাজউদ্দৌলা এই দুর্গ আক্রমণ করে এবং তার নাম পরিবর্তন করে আলীনগর রাখা হয়। তবে পলাশির যুদ্ধের (১৭৫৭) পর ব্রিটিশরা এটি পুনরুদ্ধার করে। ১৭৭৩ সালে দুর্গটি পুনর্গঠিত হয় এবং ১৭৭৫ সালে এটি ব্রিটিশ ভারতের অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির সদর দপ্তর হয়ে ওঠে।
১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে, যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনার ভূমিকা সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরে, ফোর্ট উইলিয়ামের জওয়ানদের অবদান ছিল অসামান্য। শহীদ সেনাদের স্মরণে এখানে ‘বিজয় স্মারক’ এবং ‘বিজয় দিবস গেট’ নির্মিত হয়েছে। সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেই এবার ফোর্ট উইলিয়ামের নামকরণ করা হলো ‘বিজয় দুর্গ’।
অন্যান্য পরিবর্তন
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ফোর্ট উইলিয়ামের একাধিক অংশের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে—
‘জর্জ গেট’-এর নতুন নাম ‘শিবাজি গেট’।
দুর্গের ভেতরে থাকা কিচেন হাউসের নামকরণ হয়েছে ‘মানেক শ হাউস’। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতীয় সেনাপ্রধান ছিলেন ফিল্ড মার্শাল সাম মানেক শ।
রাসেল ব্লকের নতুন নাম ‘বাঘাযতীন ব্লক’, বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের স্মরণে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এই নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এবং তারপর থেকে সমস্ত অনুষ্ঠানেই ‘বিজয় দুর্গ’ নামটি ব্যবহৃত হচ্ছে।