কলকাতা
কলকাতায় এখন ১৮টি কনটেনমেন্ট জোন, ১৮৭২টি আইসোলেশন ইউনিট, ফারাকটা কোথায়?

কলকাতা: কিছু দিন আগেও কলকাতায় ১৫০০-এর বেশি কনটেনমেন্ট জোন ছিল। আচমকা সেটা কমে গিয়ে ১৮ হয়ে গিয়েছে। আসলে কনটেনমেন্ট জোনের সংজ্ঞা বদলে যাওয়ায় এমনটা হয়েছে বলে জানাচ্ছে কলকাতা পুরসভা (KMC)।
পুরসভার মতে, এখন থেকে শহরের কোনো লেন বা গলিতে অনেকে সংক্রমিত হলে সেই রাস্তাটি বন্ধ করে কনটেনমেন্ট জোন করা হবে। অন্য দিকে দু’-একটি করোনা সংক্রমণ হলে সংশ্লিষ্ট বাড়িটিকে আইসোলেশন ইউনিট বলা হবে।
শহরের কনটেনমেন্ট জোন
একটি নির্দিষ্ট এলাকায় অনেকে সংক্রমিত হয়েছেন এমন ১৮টি এলাকা চিহ্নিত হয়েছে শহর কলকাতায়। এই সব জায়গা এখন থেকে কলকাতা পুলিশের কড়া নজরদারিতে থাকবে বলে জানানো হয়েছে। পুরসভা থেকেই বাড়িতে বাড়িতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে আসা হবে।
***** শহরের ১৮টি কনটেনমেন্ট জোনের চারটে রয়েছে ভবানীপুরে – জাস্টিস মাধবচন্দ্র রোড, এলগিন রোড, শরৎ বোস রোড আর চক্রবেড়িয়া রোডে।
***** আলিপুরে রয়েছে দু’টি জায়গা – সত্যম টাওয়ার আর জাজেস কোর্ট রোডে।
***** পন্ডিতিয়া রোড।
***** টালিগঞ্জের গল্ফ ক্লাব রোড।
***** ইন্দ্রপুরী স্টুডিওর কাছে টলি পার্ক অ্যাপার্টমেন্ট।
***** মুকুন্দপুরের পূর্বালোক।
***** গড়িয়াহাটের ডোভার টেরেস আর ডোভার লেন।
***** শরৎ ব্যানার্জি রোড।
***** বাগবাজারের মরাঠা ডিচ লেন ও মরাঠা ডিচ সরণি।
***** কাঁকুড়গাছির সিআইটি স্কিম ৭ আর মতিলাল বসাক লেন।
***** উলটোডাঙার আরিফ রোড আর অধরচন্দ্র দাস লেন।
মুখ্য প্রশাসকের বক্তব্য
এই প্রসঙ্গেই কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “কনটেনমেন্ট জোনে আরও কড়াকড়ির জন্যই নতুন এই মাপকাঠি আনা হয়েছে। এই এলাকার বাইরে সাধারণ মানুষ নিজের কাজকর্ম স্বাভাবিক ছন্দেই করুন, সেটা আমরা চাই।”
গত কয়েক দিনে শহরে নমুনা পরীক্ষা অনেক বাড়ানো হয়েছে বলে জানান ফিরহাদ। সংক্রমিত এলাকাগুলি থেকে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাসিন্দাদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করছেন। আর সে কারণেই গত কয়েক দিনে কলকাতায় করোনা-সংক্রমিতের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
তবে কলকাতার কাছে স্বস্তির খবর এই জেলা, আনলক পর্বে, দেশের অন্য বড়ো শহরে যে হারে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, সে রকম পরিস্থিতি কলকাতায় এখনও নেই।
কলকাতা
অগ্নিকাণ্ডে গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দেবে পুরসভা, বাগবাজারে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বাগবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, গৃহহীনদের দায় নেবে প্রশাসন।

কলকাতা: বুধবার রাতে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বাগবাজারে উইমেন্স কলেজ লাগোয়া বস্তি। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা হবে। এ যত দিন না ঘর তৈরি হচ্ছে, সরকার যাবতীয় ভাবে সহযোগিতা করবে গৃহহীনদের।
মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শোনেন। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। বলেন, ‘‘কলকাতার পুরসভার পক্ষ থেকে সকলের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। বুধবার আগুন লেগেছিল। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার এলাকা পরিষ্কার করা হবে। তারপর নতুন করে শুরু হবে বাড়ি তৈরির প্রক্রিয়া।’’ যাঁর যেখানে যেমন ভাবে ঘর ছিল, সে ভাবেই তৈরি করে দেবে পুরসভা।
তবে যত দিন না ঘর তৈরি হচ্ছে তত দিন বাগবাজার উইমেন্স কলেজে অস্থায়ী ভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আগুনের দাপটে প্রায় সবই পুড়ে গিয়েছে বস্তির বাসিন্দাদের। অধিকাংশ মানুষ এক কাপড়ে বেরিয়ে এসে কোনো মতে প্রাণে বেঁচেছেন।
তাঁদের প্রত্যেককে পাঁচ কেজি করে চাল, ডাল, আলু এবং শিশুদের বিস্কুট ও দুধ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্দেশ দিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির মহিলা, পুরুষ এবং শিশুদের পোশাক এবং শীতকালের কথা মাথায় রেখে কম্বল দেওয়ার জন্য।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, কলকাতার পুর প্রশাসক এবং রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কলকাতা পুরবোর্ডের অন্যতম সদস্য অতীন ঘোষ এবং পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গতকাল সন্ধ্যে পৌনে ৭টা নাগাদ আগুন লেগে যায় বাগবাজারের হাজারহাট এলাকার বস্তিতে। পুড়ে ছাই হয়ে যায় অসংখ্য ঝুপড়ি। আগুন ছড়ায় বস্তির পিছনেই অবস্থিত উদ্বোধনী পত্রিকার কার্যালয়ে। এ দিন বাগবাজারে এসে এলাকার লোকের সঙ্গে কথা বলার পর ‘উদ্বোধন’-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত মহারাজের সঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন।
আরও পড়তে পারেন: আমেরিকায় এই প্রথম! প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় বার ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি ডোনাল্ড ট্রাম্প, এর পর কী
কলকাতা
বাগবাজার ব্রিজের কাছে বস্তিতে বিধ্বংসী আগুন, ছড়াল পার্শ্ববর্তী বহুতলেও
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় র্যাফ নামাতে হয়।

কলকাতা: বুধবার সন্ধ্যে পৌনে ৭টা নাগাদ বাগবাজার ব্রিজের কাছে বস্তিতে বিধ্বংসী আগুন লেগে যায়। একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরে আগুন ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তার উপর গঙ্গার পার্শ্ববর্তী এলাকা হওয়ায় উত্তরে হাওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের বহুতলেও।
উত্তর কলকাতার শেষপ্রান্তে বহু পুরনো এই বস্তিতে বাস কয়েকশো মানুষের। অস্থায়ী ভাবে বাঁশ, কাঠ, বেড়া, প্লাস্টিকের মতো দাহ্য বস্তুতে ভরা বস্তিতে আগুন লাগতেই তা দ্রুত ছড়াতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুড়ে খাঁক হয়ে যায় ঝুপড়িগুলি। বাসিন্দাদের বের করে নিয়ে আসা হয়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও ভিতরে কেউ আটকে রয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখা হচ্ছে।
উইমেন্স কলেজর পাশে, বাগবাজারে মায়েরবাড়ির উদ্বোধন কার্যালয়ের পিছনেই এই বস্তিটি। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি যে, ওই কার্যালয়েও আগুন লেগে যায়। সেখানকার লাইব্রেরিতে আগুন লেগে যায় বলে জানান কর্তৃপক্ষ। বেশকিছু কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আগুন লাগার পর প্রথমে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, ধীরে ধীরে ২৭টি ইঞ্জিন এসে পৌঁছায়। দমকল, পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয়রাও আগুন নেভানোয় হাত লাগিয়েছেন।
আগন লাগার পর আড়াই ঘণ্টা কেটে গেলেও তা এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে। একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় দমকলকর্মীদের। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ জানা যায়, আগুন আপাতত নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
দমকল দেরি করে আসার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষ। পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় র্যাফ নামাতে হয়। অগ্নিকাণ্ডের জেরে বন্ধ যান চলাচল।
এ দিন গঙ্গাসাগর মেলায় গিয়েছিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই তিনি ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন। জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবে সরকার। প্রত্যেকের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চারটি কমিউনিটি হলে ক্ষতিগ্রস্তদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আপডেট আসছে…
কলকাতা
বৃহত্তর কলকাতার জলপথ পরিবহণের উন্নতিতে ৭৬৬ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক
কলকাতায় রো রো ভেসেল চালানোরও পরিকল্পনা

খবরঅনলাইন ডেস্ক: বৃহত্তর কলকাতায় জলপথে পণ্য ও যাত্রী পরিবহণের জন্য পরিকাঠামোগত উন্নয়নে ১০৫ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক (World Bank)। ভারতীয় টাকার অঙ্কে তা ৭৬৬ কোটি। মঙ্গলবার এমনই জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক।
জানা গিয়েছে, দুটি পর্যায়ে হবে এই প্রকল্পের কাজ। বিশ্ব ব্যাঙ্কের দেওয়া অর্থে প্রথম দফায় কলকাতা ও শহরতলির জেটিগুলির সংস্কার করা হবে। একইসঙ্গে নতুন ভেসেল কিনে আধুনিকীকরণ করা হবে জেটিগুলির ও ৪০টি জায়গায় বসানো হবে ইলেকট্রনিক গেট।
দ্বিতীয় দফায় দীর্ঘমেয়াদি কাজ হবে। প্রথমত, রাতে যাতে ভেসেল চলাচল করতে পারে সেই জন্য পরিকাঠামোগত ব্যবস্থা করা হবে। জলপথ পরিবহণে মজবুত পরিকাঠামোর জন্য প্রয়োজন আরও বিনিয়োগের, সেই চেষ্টাও করা হবে।
রো রো ভেসেল চালানোরও পরিকল্পনা
এর পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে বৃহত্তর কলকাতায় রো রো ভেসেল চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গাড়ি, ট্রাকের মতো বড়ো গাড়িকে যে বড়ো ভেসেলে পরিবহণ করানো হয় সেগুলিকেই রো রো ভেসেল বলে।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের কর্তাদের মতে, কলকাতায় জলপথে পরিবহণের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এই মাধ্যমকে বেশি ব্যবহার করা হয় না। কলকাতার মাত্র দুই শতাংশ মানুষ জলপথকে পরিবহণ হিসেবে ব্যবহার করেন। তাই এর পরিকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন বলে মনে করেছিল রাজ্য সরকার।
মঙ্গলবার দিল্লিতে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সঙ্গে এই বিষয়ে চুক্তি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের জলপথ পরিবহণে বিপুল উন্নতি হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তৃণমূল বিধায়ক, নতুন কিছুর জল্পনা
-
বিদেশ3 days ago
১৯৫৩ সালের পর থেকে প্রথম কোনো মহিলার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল মার্কিন সরকার
-
শিল্প-বাণিজ্য3 days ago
ফের বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম!
-
বিনোদন3 days ago
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘অভিযাত্রিক’, সিনেমার ‘মাস্টার’দের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি
-
দেশ23 hours ago
করোনার টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হলে দায় নেবে না কেন্দ্র