কলকাতা
স্বর্ণ জয়ন্তীর এক ধাপ আগে দাঁড়িয়ে আলমবাজার গঙ্গার ঘাট যুবকবৃন্দের জগদ্ধাত্রী পুজো

স্মিতা দাস: ৪৯তম বর্ষে পা দিল আলমবাজার গঙ্গার ঘাট প্রাঙ্গণের যুবকবৃন্দের জগদ্ধাত্রী পুজো। এই বছরের মণ্ডপ উদ্বোধন করেন এলাকার বিধায়ক তাপস রায়।
এই যুবকবৃন্দের পুজোর উদ্যোক্তা বরানগর পুরসভার উপপুরপ্রধান জয়ন্ত রায়। তিনি খবর অনলাইনকে জানান, “এই পুজোটা একদম প্রথমে শুরু হয়েছিল সেই সময়ের এলাকার প্রতিপত্তিসম্পন্ন ব্যক্তি হীরালাল পালের হাতে। তার পর হীরালাল মারা যাওয়ার পর এই পুজোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন হীরালালের স্ত্রী। কিন্তু কোনো এক কারণবশত সেই আমলে এক বছর পুজো বন্ধ যায়”।
ফের জয়ন্তবাবুর উদ্যোগেই এই পুজো দ্বিতীয় দফায় শুরু হয়। তার পর এই পুজো আর কোনো দিন বন্ধ হয়নি।

এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন একটা বড়ো অংশের এলাকাবাসী। ছোটো থেকে বড়ো, গৃহবধূ সকলেই এই পুজোয় প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে।
জয়ন্তবাবু বলেন, পরের বছর স্বর্ণ জয়ন্তী বর্ষ। সে বার খুব বড়ো করে ধুমধামের মাধ্যমে পুজো করার ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি।
কলকাতা
কালীঘাটে বস্তা ভরতি পোড়া টাকা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য
দিনে দুপুরে কারা প্রকাশ্য রাস্তায় বস্তা ভরতি পোড়া টাকা ফেলে রেখে গেল?

কলকাতা: রবিবার দুপুরে কালীঘাটে বস্তাবন্দি পোড়া টাকা উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়।
ঘটনায় প্রকাশ, মুখার্জিঘাটে ঘাটে ধোঁয়া দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয়রা জানান, বস্তা ভরতি পোড়া টাকা দেখতে উৎসাহী মানুষের ভিড় জমে যায়। পোড়া নোটের মধ্যে থেকে ভালো টাকা কুড়োতেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। তবে সেখান থেকে ভালো টাকা পাওয়া যায়নি বলেই জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত, এখন সেটাই খতিয়ে দেখছে কালীঘাট থানার পুলিশ।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সব টাকাই কোনো না কোনো অংশে পুড়ে গিয়েছে। সবই আসল টাকা। বস্তার মধ্যে ছিল ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা ও ১০০ টাকার নোট।
আরেক বাসিন্দা জানান, আগুন জ্বালিয়ে বস্তার নোটগুলি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখে মুখে সেই খবর খুব দ্রুত খবর ছড়িয়ে পড়ে। এর পর এলাকায় ভিড় বাড়তে থাকে ক্রমশই।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে কালীঘাট থানার পুলিশ। পোড়া টাকাগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে কে বা কারা এ ভাবে টাকা ফেলে গেল, তা নিয়ে রহস্য এখনও কাটেনি। পুলিশ স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে এবং এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে।
আরও পড়তে পারেন: ১ ফেব্রুয়ারি থেকে স্বাভাবিক ট্রেন পরিষেবা চালু করবে রেল? সত্য জানুন এখানে
কলকাতা
বিড়ম্বনা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘বোন’ বলে সম্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
“বাংলার পুণ্যভূমি দেশকে দেশপ্রেম শিখিয়েছে”, বলেন মোদী।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানের জেরে ভিক্টোরিয়ার মঞ্চে বক্তব্য রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এতে যে বিজেপি শিবির প্রবল বিড়ম্বনায় পড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই বিড়ম্বনা কাটাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বোন’ বলে সম্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এর পর নেতাজিকে নিয়ে বলতে শুরু করেন মোদী। শুরুতেই তিনি বলেন, “বাংলার পুণ্যভূমি দেশকে দেশপ্রেম শিখিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, “নেতাজির অনুপ্রেরণায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। নেতাজি বলেছিলেন, স্বাধীনতা চাই না, স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেব। নেতাজি আমাদের প্রেরণা, দেশের পরাক্রমের প্রতিমূর্তি। এই মহাপুরুষকে কোটি কোটি প্রণাম করছি, স্যালুট জানাচ্ছি।”
নেতাজি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এ দিন বলেন, “নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাম শুনলেই মনে শক্তিসঞ্চার হয়। কলকাতা ছিল নেতাজির কর্মভূমি।”
মোদী আরও যোগ করেন, “দেশ সর্বদা আপনার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। নেতাজি বলতেন, আমাদের কেবল একটা ইচ্ছা থাকা উচিত। আমাদের ইচ্ছে থাকলেই ভারত এগিয়ে যাবে। আত্মনির্ভর হবে এ দেশ। উনি বলতেন, স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন কখনও হারিও না। এমন কোনো শক্তি নেই যে ভারতকে আত্মনির্ভরত ভারত গড়া থেকে রুখবে।”
এ দিন নেতাজির পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাজা রামমোহন রায়, মেঘনাদ সাহা, জগদীশচন্দ্র বসু, এস এন বোস, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, প্রণব মুখোপাধ্যায়দের নামও নেন মোদী।
তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সুক্ষ রাজনৈতিক চাল চাললেন মোদী।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
নেতাজি জয়ন্তীতে ‘জয় শ্রী রাম!’ ভিক্টোরিয়ার মঞ্চে উঠেও বক্তৃতা দিলেন না ‘অপমানিত’ মুখ্যমন্ত্রী
কলকাতা
ভিক্টোরিয়ায় একসঙ্গে মোদী-মমতা
কেন্দ্রের উদ্যোগে শনিবার সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন শুরু হচ্ছে। ভিক্টোরিয়া থেকেই বর্ষব্যাপী উৎসব পালনের সূচনা করবেন মোদী।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: জল্পনা সত্যি হল। ভিক্টোরিয়ায় একই মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শনিবার বিকেল সাড়ে চারটের একটু আগে ভিক্টোরিয়ায় পৌঁছোন প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রের উদ্যোগে শনিবার সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন শুরু হচ্ছে। ভিক্টোরিয়া থেকেই বর্ষব্যাপী উৎসব পালনের সূচনা করবেন মোদী। সেখানেই মোদীর সঙ্গে রয়েছেন মমতা। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও উপস্থিত রয়েছেন ভিক্টোরিয়ার মঞ্চে।
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান করে নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে। সেই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন মমতা। এ ছাড়াও বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং প্রাক্তন ক্রিকেটার ও বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও রয়েছেন।
অসমের জোরহাটের একটি কর্মসূচি সেরে শনিবার বিকেল ৩টে নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন মোদী। সফরসূচিতে কিছুটা বদল এনে বিমানবন্দর থেকে সোজা নেতাজি ভবনে চলে যান তিনি। রাজনৈতিক ভাবে তৈরি হওয়া বিতর্ক এড়াতেই শেষ মুহূর্তে মোদীর এই সূচিবদল, এমনই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
নেতাজি ভবন থেলে আলিপুরের জাতীয় গ্রন্থাগারে যান মোদী। নেতাজি বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক আলোচনা সভায় বক্তৃতা দেন তিনি। জাতীয় গ্রন্থাগ্রার থেকে মোদী আসেন ভিক্টোরিয়ায়।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
শেষ মুহূর্তে সফরসূচিতে বদল, কলকাতায় পৌঁছেই নেতাজি ভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
-
কলকাতা2 days ago
ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ, সতীর্থের মৃত্যু
-
হাওড়া2 days ago
বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
-
শরীরস্বাস্থ্য3 days ago
কেন খাবেন মটরশুঁটি, জেনে নিন এর উপকারিতা
-
জীবন যেমন3 days ago
কম বয়সে মুখে বলিরেখা? রান্না ঘরেই আছে এর সমাধান, একমাসে