আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসকের যৌন নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কলকাতা পুলিশ সর্বস্তরে তৎপরতা বাড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া রবিবারের ডেডলাইনের পর পুলিশি তদন্তে গতি এসেছে। কলকাতা পুলিশের SIT (Special Investigation Team)-এর সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে তিন শিফটে কাজ শুরু হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার লালবাজারে তলব করা হয়েছে আরজি কর হাসপাতালে সেই রাতে কর্তব্যরত মোট ২৫ জনকে। এদের মধ্যে আছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার, যিনি তরুণীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন এবং জানান, মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তদন্তকারীরা জানতে চাইবেন, কোন প্রমাণের ভিত্তিতে তিনি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন। একই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, সেই রাতে ডিউটিতে থাকা ইন্টার্ন এবং নার্সদের।
এছাড়াও, তদন্তে উঠে এসেছে, ঘটনার রাতে যে অনলাইন ডেলিভারি সংস্থার কর্মী তরুণী ও তাঁর সহকর্মীদের খাবার সরবরাহ করেছিলেন, তাঁরও খোঁজ চলছে। প্রয়োজনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কিছু সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারকেও তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরজি কর কাণ্ড: নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশ রবিবারের মধ্যে কিনারা না করলে সিবিআই তদন্ত
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে থেকেই আশঙ্কা করেছিলেন যে, এই ঘটনায় হাসপাতালের ‘ভিতরের কেউ’ জড়িত থাকতে পারে। এই কারণেই গোটা হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে, যাতে কোনও সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা যায় এবং ধৃত সঞ্জয় রায়ের গতিবিধি বোঝা যায়।
অন্যদিকে, আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা তাদের কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, “নো সেফটি, নো সার্ভিস”। অভিযোগ উঠেছে, কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, তবে তাঁরা আপস করবেন না। রাজনৈতিক দলমত নির্বিশেষে সকল জুনিয়র ডাক্তাররা এই ঘটনায় একত্রিত হয়েছেন এবং সহকর্মীর সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত তারা কর্মে ফিরবেন না বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়েছেন।