খবরঅনলাইন ডেস্ক: কোভিডের আবহে এ বার কালীপুজো ও দীপাবলি এক্কেবারে অন্য রকম। বাজি কোনো রকম ভাবেই পোড়ানো যাবে না, এমন নির্দেশ রয়েছে। আর তাই কলকাতা পুলিশও তাদের প্রচার শুরু করে দিয়েছে বিশেষ ভাবে। প্রচারে বার্তা দেওয়া হয়েছে, “বাজির নয়, উৎসব হোক আলোর।”
কিন্তু প্রচারেই যে পুরো কাজ হয়ে যাবে, তেমনটা নাও হতে পারে। বেপরোয়া মানুষজন তো কম নেই। তারা ঠিক নিয়ম ভেঙে বাজি পোড়াতে উদ্যত হতে পারে। আর সেটা রুখতে তাই এ বার আরও কড়া হচ্ছে কলকাতা পুলিশ।
পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, কেউ যদি বাজি ফাটায়, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজির দাপট রুখতে হেল্পলাইন নম্বর চালু করল পুলিশ। লালবাজার জানিয়েছে, ১০০ ডায়াল অথবা ৯৪৩২৬-১০৪৪৪ এই নম্বরে ফোন করলে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবে।
ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি থানাকে বিশেষ নজরদারির জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাপারে বৃহস্পতিবার প্রত্যেক থানার ওসি ও পুলিশকর্তাদের বিশেষ নির্দেশ দেওয়ার জন্য বৈঠকে বসতে পারেন লালবাজারে কর্তারা। এই বৈঠকে দমকল ও অন্যান্য আপৎকালীন পরিষেবার আধিকারিকরা উপস্থিত থাকতে পারেন।
বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে কলকাতার অভিজাত আবাসনগুলিতে। কারণ সাম্প্রতিক অতীতে দেখা গিয়েছে এই সব আবাসনের ছাদে দেদার শব্দবাজি ফাটানো কম কিছু হয় না। পুলিশ সেই বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। এর জন্য আকাশপথে নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। বাজি মজুতের অভিযোগে কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে অনেক বাজি, যাদের মধ্যে চকোলেট বোমার সংখ্যা সব থেকে বেশি। ট্রেন চালু হওয়ায় চোরাপথে ট্রেনে করে বাজি পাচারের সম্ভাবনা বেড়েছে। পুলিশ সে দিকে নজর রাখছে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
তেজস্বী যাদব, কমল নাথদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।