জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে কালীঘাটে আয়োজিত একটি বৈঠকে সংসদীয় কমিটি পুনর্গঠন করেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কমিটির চেয়ারপার্সন থাকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। সংসদে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলিতে আবারও দেখা যাবে বর্ষীয়ান সাংসদদের।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভার দলনেতার পদে পুনর্নিযুক্ত হয়েছেন। রাজ্যসভার দলনেতার পদে ডেরেক ও ব্রায়েনের নাম আগের মতোই বহাল রয়েছে। লোকসভার উপ দলনেতার দায়িত্ব পেয়েছেন পুনর্নির্বাচিত বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং রাজ্যসভার উপ দলনেতার দায়িত্বে থাকছেন সাগরিকা ঘোষ। এছাড়া, চিফ হুইপ হিসেবে লোকসভায় দায়িত্ব পালন করবেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভায় নাদিমুল হক।
বৈঠকের পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা বসে থাকার জন্য সংসদে যাচ্ছি না। আমরা সিএএ এবং এনআরসি বাতিলের দাবিতে সোচ্চার হব। নিজেদের বকেয়া মেটানোর দাবি তুলব। তা মেটাতেই হবে।”
আরও পড়ুন।কেন সর্বসম্মত ভাবে রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলনেতা পদে বসার জন্য অনুরোধ করল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি?
এবারের সংসদীয় কমিটিতে নবীন ও প্রবীণ সদস্যদের সংমিশ্রণ দেখা যাচ্ছে। সুদীপ, কল্যাণ, ডেরেক – এঁরা আগেও সংসদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন। এবার নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন সাগরিকা ঘোষ এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
একনজরে তৃণমূলের সাংসদীয় কমিটি
সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
লোকসভার দলনেতা: সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
উপ দলনেতা: কাকলি ঘোষ দস্তিদার
চিফ হুইপ: কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
রাজ্যসভার দলনেতা: ডেরেক ও ব্রায়েন
উপ দলনেতা: সাগরিকা ঘোষ
চিফ হুইপ: নাদিমুল হক
এই নবগঠিত কমিটির মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস সংসদে আরও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সংসদে তাদের রণকৌশল ঠিক করে নিয়েছে এবং আগামী দিনে বিভিন্ন ইস্যুতে তারা আরও সক্রিয় ভূমিকা নেবে বলে জানিয়েছেন দলনেত্রী।