নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে চলা টানাপোড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাজভবন। রাজভবনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নবনির্বাচিত বিধায়কেরা রাজ্যপালকে জানিয়েছিলেন যে, তাঁরা চান তাঁদের শপথ গ্রহণ বিধানসভাতেই হোক। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এই অনুরোধ বিবেচনা করছিলেন। তবে, মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, রাজভবনে মহিলারা নিরাপদ বোধ করছেন না।
তৃণমূলের নবনির্বাচিত বিধায়ক রায়াত হোসেন সরকার এবং সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ নিয়ে টানাপড়েন চলছে। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান রাজভবন থেকে বিধানসভায় স্থানান্তরের জন্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “আমার বিধায়কেরা এক মাস ধরে বসে আছেন। মানুষ নির্বাচন করেছে। ওঁর কী অধিকার আছে?”
মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রাজভবন থেকে জানানো হয়েছে, নবনির্বাচিত বিধায়কেরা তাঁদের রাজভবনে যেতে না চাওয়ার কোনও কারণ জানাননি। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বিধানসভায় শপথগ্রহণের বিষয়ে বিবেচনা করছিলেন। ২১ জুন দুই নবনির্বাচিত বিধায়ককে জানানো হয়, ২৬ জুন রাজভবনে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু, ২৪ জুন সায়ন্তিকা বিধানসভার স্পিকারের সামনেই শপথ নেওয়ার অনুরোধ করেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “রাজভবনে যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি চলছে, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে আমাকে।” রাজভবনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নবনির্বাচিত বিধায়কদের অনুরোধের পরে তাঁদের পছন্দের কথা মাথায় রেখে শপথ অনুষ্ঠান স্থানান্তরিত করার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছিল। ঠিক সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন— মহিলারা রাজভবনে যেতে নিরাপদ বোধ করছেন না।’ রাজভবন এ ধরনের মন্তব্যের জবাব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছে না বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
বিধায়কদের শপথগ্রহণ নিয়ে চলা এই বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। রাজভবনের বিবৃতির পর পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।