সাবর্ণ সংগ্রহশালার প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবছরও অনুষ্ঠিত হল ‘মূর্ছ্ছনা’—একটি বার্ষিক রাগসঙ্গীত বৈঠক। আয়োজক ছিল সাবর্ণ রায় চৌধুরী পরিবার পরিষদ। অনুষ্ঠানটির আসর বসে ঐতিহ্যবাহী বড়িশার কালিকিংকর দুর্গাদালানে, ৮ জুন সন্ধ্যায়।
দীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন পরিষদের অন্যতম বর্ষীয়ান সহ-সভাপতি স্বপন রায় চৌধুরী। এরপর একের পর এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় মাতিয়ে তোলেন বিভিন্ন শিল্পীরা।
নৃত্যপর্বে প্রথমে ভরতনাট্যমে নজর কাড়েন স্নেহাতা বরুয়া। তাঁর পরে যুগ্মভাবে কত্থক পরিবেশন করেন অর্পিতা পান্ডে রায়চৌধুরী ও নন্দিতা মন্ডল। ওডিশি নৃত্যে অনবদ্য পরিবেশনা করেন মহাস্বেতা রায় চৌধুরী।
শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রথম পর্বে পরিবেশন করেন গৌরী রায়চৌধুরীর ছাত্রী মহুয়া নন্দী। পুরিয়া কল্যাণ ও হংসধ্বনী রাগে তাঁর খেয়াল দর্শকদের মুগ্ধ করে। তাঁকে তবলায় সঙ্গত করেন পীযূষ ব্যানার্জী ও হারমোনিয়ামে দেবাশিস অধিকারী।

এরপর বিশেষ সম্মান জানানো হয় সাবর্ণ পরিবারের কৃতী সন্তান ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ দীপক রায় চৌধুরীকে। কলকাতাবাসীর তরফে উত্তরীয় পরিয়ে দেন প্রবাদপ্রতিম শিল্পী সত্য চৌধুরীর ভাইপো পরমানন্দ চৌধুরী এবং উপহার তুলে দেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী শুভাঞ্জন চক্রবর্তী।
সমাপ্তি পর্বে শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করেন এ টি কাননের সুযোগ্য শিষ্য প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। প্রথমে যোগকোষ রাগে খেয়াল ও পরে এক অপূর্ব ভজন পরিবেশন করে শ্রোতাদের হৃদয় জয় করেন তিনি। তবলায় সঙ্গত করেন শঙ্কর ঘোষের শিষ্য পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং হারমোনিয়ামে ছিলেন সোহনলাল শর্মার শিষ্য দেবাশীষ অধিকারী। দুই সহশিল্পীর সঙ্গতও ছিল অনবদ্য।

অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সঞ্চালনা করেন বাচিক শিল্পী দীপশিখা চৌধুরী। পরিকল্পনায় ছিলেন নিমাই মুখোপাধ্যায় ও তরুণ বোস। পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় ছিলেন পরিষদের সম্পাদক দেবর্ষি রায় চৌধুরী ও কোষাধক্ষ্য জয়দীপ রায় চৌধুরী।অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিল খবর অনলাইন।