কলকাতা
বিড়ম্বনা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘বোন’ বলে সম্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
“বাংলার পুণ্যভূমি দেশকে দেশপ্রেম শিখিয়েছে”, বলেন মোদী।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানের জেরে ভিক্টোরিয়ার মঞ্চে বক্তব্য রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এতে যে বিজেপি শিবির প্রবল বিড়ম্বনায় পড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই বিড়ম্বনা কাটাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বোন’ বলে সম্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এর পর নেতাজিকে নিয়ে বলতে শুরু করেন মোদী। শুরুতেই তিনি বলেন, “বাংলার পুণ্যভূমি দেশকে দেশপ্রেম শিখিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, “নেতাজির অনুপ্রেরণায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। নেতাজি বলেছিলেন, স্বাধীনতা চাই না, স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেব। নেতাজি আমাদের প্রেরণা, দেশের পরাক্রমের প্রতিমূর্তি। এই মহাপুরুষকে কোটি কোটি প্রণাম করছি, স্যালুট জানাচ্ছি।”
নেতাজি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এ দিন বলেন, “নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাম শুনলেই মনে শক্তিসঞ্চার হয়। কলকাতা ছিল নেতাজির কর্মভূমি।”
মোদী আরও যোগ করেন, “দেশ সর্বদা আপনার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। নেতাজি বলতেন, আমাদের কেবল একটা ইচ্ছা থাকা উচিত। আমাদের ইচ্ছে থাকলেই ভারত এগিয়ে যাবে। আত্মনির্ভর হবে এ দেশ। উনি বলতেন, স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন কখনও হারিও না। এমন কোনো শক্তি নেই যে ভারতকে আত্মনির্ভরত ভারত গড়া থেকে রুখবে।”
এ দিন নেতাজির পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাজা রামমোহন রায়, মেঘনাদ সাহা, জগদীশচন্দ্র বসু, এস এন বোস, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, প্রণব মুখোপাধ্যায়দের নামও নেন মোদী।
তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সুক্ষ রাজনৈতিক চাল চাললেন মোদী।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
নেতাজি জয়ন্তীতে ‘জয় শ্রী রাম!’ ভিক্টোরিয়ার মঞ্চে উঠেও বক্তৃতা দিলেন না ‘অপমানিত’ মুখ্যমন্ত্রী

খবরঅনলাইন ডেস্ক: বিজেপির ব্রিগেডে যোগ দিতে কলকাতায় ৭ মার্চ আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তার আগেই দু’দিনের কলকাতা সফরে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই সফরে রোড শো’র পাশাপাশি জনসভাতেও যোগ দিতে পারেন তিনি।
এখনও পর্যন্ত বিজেপি সূত্রে যা জানা গিয়েছে, অমিত আসবেন মঙ্গলবার। সে দিন কলকাতা জোনের ‘পরিবর্তন যাত্রা’র সমাপ্তি কর্মসূচি হবে উত্তর কলকাতায়। সেখানে একটি জনসভা করবেন অমিত। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা থেকে ওই যাত্রার সূচনা করেন তিনিই।
পরের দিন বুধবার দক্ষিণ কলকাতায় রোড-শো এবং সমাবেশ করতে পারেন অমিত। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, দক্ষিণে অমিতের সভা হবে হাজরা মোড়ে। তার আগে ভবানীপুরে হবে রোড-শো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে অমিতের রোড শো’র আয়োজন একটা বিশেষ তাৎপর্য এনে দিচ্ছে।
তবে শুক্রবার থেকে রাজ্যে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কমিশন জানিয়েছে এ বার রোড শো’র ক্ষেত্রে সর্বাধিক পাঁচটি গাড়ি ব্যবহার করা যাবে।
এ দিকে নবান্ন দখলের লড়াইয়ের জন্য হিন্দুত্বের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ যোগী আদিত্যনাথও আসতে পারেন রাজ্যে। ২ মার্চ মালদার গাজোলে সভা করার কথা তাঁর। অন্যদিকে, ৭ মার্চের ব্রিগেড সমাবেশের পর মোদীকে দিয়ে উত্তরবঙ্গেও সভা করাতে চাইছে বিজেপি।
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট, কলকাতায় ভোট ২৬ ও ২৯ এপ্রিল
কলকাতা
শুধু দড়ি বেঁধে ম্যানহোলের কাজ করতে নেমে কুঁদঘাটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মৃত ৪ শ্রমিক
বেশ কিছুদিন ধরেই কুঁদঘাট এলাকায় ম্যানহোল পরিষ্কারের কাজ চলছিল।

কলকাতা : উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়া শুধুমাত্র দড়ি বেঁধে ম্যানহোল পরিষ্কার করতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল খাস কলকাতায়। মারা গেলেন চার শ্রমিক।
বেশ কিছুদিন ধরেই কুঁদঘাট এলাকায় ম্যানহোল পরিষ্কারের কাজ চলছিল। বৃহস্পতিবারও ওই এলাকায় কাজের জন্য ম্যানহোলের ভিতর নেমেছিলেন ওই চার শ্রমিক। বেশ খানিকক্ষণ ধরে তাঁরা কাজও করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ জল চলে আসায় তোড়ে ভেসে যান ওই শ্রমিকরা।
এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ শ্রমিকদের চিৎকার শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা খবর দেন দমকল ও পুলিশে।
দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান দমকল আধিকারিকরা। চারজনকে উদ্ধার করা গেলেও উদ্ধারের সময় তারা অচৈতন্য ছিলেন। তড়িঘড়ি তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই শ্রমিকদের মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, শুধুমাত্র দড়ি বেঁধে শ্রমিকরা ম্যানহোলের নিচে নেমেছিলেন। তাদের কাছে ছিল না কোন নিরাপত্তার সরঞ্জাম।
অভিযোগ উঠছে জল সরবরাহ বন্ধ না কারণে এই বিপত্তি ঘটেছে।
আরও পড়ুন : ব্যয় বেড়েছে পরিবহণে, এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়ছে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম
কলকাতা
কলকাতায় আসছে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, টহল শুরু এ সপ্তাহেই
শনিবার রাজ্যে ১২ কোম্পানি বাহিনী এসে পৌঁছেছে

খবরঅনলাইন ডেস্ক: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে আর কিছু দিনের মধ্যেই কলকাতায় এসে পৌঁছোবে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই সপ্তাহ থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দেওয়া শুরু করার কথা তাদের।
লালবাজার সূত্রের খবর, এসএসবি-র তিন কোম্পানি কলকাতায় আসবে বিভিন্ন এলাকায় টহল দেওয়ার জন্য। শহরে আসার পরে তাদের রাখা হবে কাশীপুরের সেকেন্ড ব্যাটালিয়নের অফিসে এবং এ জে সি বসু রোডের পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে।
সেখান থেকেই তাদের মোতায়েন করা হবে কলকাতা পুলিশের ন’টি ডিভিশনে। এক পুলিশকর্তা জানান, ৭২টি থানা এলাকার কোথায় কত বাহিনী সকালে ও বিকেলে রুট মার্চ করবে, তা ঠিক করবেন ডিভিশনাল ডেপুটি কমিশনারেরা।
উল্লেখ্য, শনিবার প্রথম দফায় রাজ্যে এসেছে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিধাননগর-সহ বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যেই রুট মার্চ বা টহলদারি শুরু করেছে তারা। বীরভূমের নলহাটিতেও টহল দেওয়া শুরু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ওই আধাসেনার টহলদারি শুরু হতেই ভোটের দামামা কার্যত বেজে গিয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও তাদের রাশ থাকবে পুলিশের হাতে। পুলিশই ঠিক করবে, কোথায় কোথায় রুট মার্চ করানো হবে। ভোট ঘোষণা না হলেও রাজনৈতিক হিংসা শহরের বিভিন্ন জায়গায় অল্পবিস্তর চলছে। গত সপ্তাহেই বেলেঘাটা এবং ফুলবাগান থানা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দুই যুযুধান পক্ষের সংঘর্ষে। যাতে জখম হন এক পুলিশ অফিসারও।
আগামী বৃহস্পতিবার উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের কলকাতায় আসার কথা। রাজ্যের এবং কলকাতার পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হবে তাঁর। লালবাজারের আশা, সেখানেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক হবে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
তিন দিন পর মহারাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমণ ছ’হাজারের নীচে, ব্যাপক পতন সংক্রমণের হারেও
-
দেশ2 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট, কলকাতায় ভোট ২৬ ও ২৯ এপ্রিল
-
প্রযুক্তি3 days ago
আরবিআই-এর নতুন নির্দেশিকা, ঝক্কি বাড়বে ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে!
-
দেশ3 days ago
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৫ রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন
-
রাজ্য15 hours ago
ব্রিগেড সমাবেশ: দরকারে ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ি নিলাম করে প্রতারিত মানুষের টাকা ফেরত, হুঁশিয়ারি মহম্মদ সেলিমের