স্মার্টসিটি নিউটাউনের বুকে আরও আধুনিক পরিকাঠামোর ছোঁয়া। চওড়া রাস্তা থাকলেও দিন দিন গাড়ির সংখ্যা বাড়ায় বাড়ছে যানজট। সেই সঙ্গে পথচারীদের রাস্তা পারাপারও হয়ে উঠছে কঠিন। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে এবার ছ’টি নতুন আন্ডারপাস তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে হিডকোর তরফে।
সূত্রের খবর, এই ছ’টি আন্ডারপাসের মধ্যে থাকছে দুটি ভিন্ন ব্যবস্থাপনা— যানবাহনের জন্য ‘ভেহিকুলার আন্ডারপাস’ এবং পথচারীদের জন্য ‘পেডেস্ট্রিয়ান সাবওয়ে’। ইতিমধ্যে ছয়টি নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করে ফেলা হয়েছে। প্রকল্পের জন্য নকশা তৈরি, মাটি পরীক্ষা, নিকাশির প্ল্যান সহ প্রাথমিক কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী দু’মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা পড়বে হিডকোর কাছে। সবুজ সঙ্কেত মিললেই শুরু হবে নির্মাণকাজ।
বিশ্ববাংলা সরণি, যা নিউটাউনের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা, সেখানে নিয়মিত গাড়ি, বাস, লরি ও বাইকের চাপ থাকে। চিনারপার্ক থেকে সেক্টর ফাইভ হয়ে নিউটাউনের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে যান চলাচল অনেকটাই বেড়েছে। পথচারীদের সংখ্যাও কম নয়। যদিও বর্তমানে কিছু সাবওয়ে থাকলেও তা শুধু পথচারীদের জন্যই, এবং যান চলাচলের জন্য আন্ডারপাসের সংখ্যা একেবারেই কম।
নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, নিউটাউনের টাটা মেডিক্যাল সেন্টারের সামনে তৈরি হবে একটি যুগ্ম আন্ডারপাস— যেখানে থাকবে ভেহিকুলার ও পেডেস্ট্রিয়ান উভয় ব্যবস্থা। অপরদিকে, সেন্ট জেভিয়ার্স ইউনিভার্সিটির সামনে শুধুমাত্র পথচারীদের জন্য ‘পেডেস্ট্রিয়ান সাবওয়ে’ নির্মাণের ভাবনা রয়েছে।
বিশ্ববাংলা গেট থেকে ইকোপার্কের দিকে এগোলেই রয়েছে দ্য ওয়েস্টিন হোটেল। এখান থেকে চিনারপার্ক পর্যন্ত চারটি ভেহিকুলার আন্ডারপাস তৈরির প্রস্তাব এসেছে। এর মধ্যে দ্য ওয়েস্টিনের সামনে একটি, সেভেন রোটারি এলাকায় একটি, নোয়াপাড়া অঞ্চলে একটি এবং চিনারপার্কে একটি আন্ডারপাস তৈরি হবে। কলকাতাগামী এবং এয়ারপোর্টগামী উভয় লেনে থাকবে এই আন্ডারপাস সুবিধা।
পথচারি ও যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে— এমন পরিকাঠামো তৈরির লক্ষ্যে প্রশাসনের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নিউটাউনের দ্রুত প্রসারমান জনবসতি ও বাণিজ্যিক চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রকল্পকে ‘ভবিষ্যতের শহর গঠনের দিশা’ বলেই মনে করা হচ্ছে।
পড়ুন: রেজিস্ট্রির আগে এক ক্লিকে জানা যাবে জমির খাজনা বকেয়া, দালালের ফাঁদ থেকে রেহাই পাবেন ক্রেতারা