কলকাতা
শেষ মুহূর্তে সফরসূচিতে বদল, কলকাতায় পৌঁছেই নেতাজি ভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
বিতর্ক শুরু হতেই সূচিতে বদল।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) কলকাতার সফরসূচিতে প্রথমে বাদ পড়েছিল নেতাজি ভবন (Netaji Bhavan)। এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তর্জাও। কিন্তু এক্কেবারে শেষ মুহূর্তে মোদীর সফরসূচিতে বদল আনা হয়। শনিবার বিকেলে কলকাতায় পৌঁছেই নেতাজি ভবনে চলে যান মোদী।
উল্লেখ্য, মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) প্রধানমন্ত্রীর দিকে সরাসরি নিশানা করে বলেছিলেন, নেতাজিকে ভোটের জন্য় ব্য়বহার করতে চাইছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচিতে নেতাজি ভবন বাদ থাকায় বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। সম্ভবত, রাজনৈতিক বিতর্ক এড়াতেই শেষ মুহূর্তে সফরসূচিতে বদল করা হয়।
এ দিন বিকেল দমদম বিমানবন্দরে নেমে প্রথমেই নেতাজি ভবন চলে যান মোদী। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান চন্দ্র বসু, ছিলেন সুগত বসুও। বসু পরিবারের সদস্য়রা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাড়ির মধ্য়ে প্রবেশ করলেও বিজেপির অন্য কোনো নেতা মোদীর সঙ্গে নেতাজি ভবনে প্রবেশ করেননি। তবে মোদীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
নেতাজি ভবনের বিভিন্ন ঘর ঘুরে দেখেন মোদী। কথা বলেন বসু পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। এর পর ন্যশনাল লাইব্রেরির দিকে রওনা দেয় মোদীর কনভয়। ন্যশনাল লাইব্রেরি থেকে মোদীর গন্তব্য ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, যেখানে তাঁর সঙ্গে একই মঞ্চে থাকবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
রেড রোডের সভা থেকে কেন্দ্রকে নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
কলকাতা
কলকাতায় আসছে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, টহল শুরু এ সপ্তাহেই
শনিবার রাজ্যে ১২ কোম্পানি বাহিনী এসে পৌঁছেছে

খবরঅনলাইন ডেস্ক: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে আর কিছু দিনের মধ্যেই কলকাতায় এসে পৌঁছোবে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই সপ্তাহ থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দেওয়া শুরু করার কথা তাদের।
লালবাজার সূত্রের খবর, এসএসবি-র তিন কোম্পানি কলকাতায় আসবে বিভিন্ন এলাকায় টহল দেওয়ার জন্য। শহরে আসার পরে তাদের রাখা হবে কাশীপুরের সেকেন্ড ব্যাটালিয়নের অফিসে এবং এ জে সি বসু রোডের পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে।
সেখান থেকেই তাদের মোতায়েন করা হবে কলকাতা পুলিশের ন’টি ডিভিশনে। এক পুলিশকর্তা জানান, ৭২টি থানা এলাকার কোথায় কত বাহিনী সকালে ও বিকেলে রুট মার্চ করবে, তা ঠিক করবেন ডিভিশনাল ডেপুটি কমিশনারেরা।
উল্লেখ্য, শনিবার প্রথম দফায় রাজ্যে এসেছে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিধাননগর-সহ বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যেই রুট মার্চ বা টহলদারি শুরু করেছে তারা। বীরভূমের নলহাটিতেও টহল দেওয়া শুরু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ওই আধাসেনার টহলদারি শুরু হতেই ভোটের দামামা কার্যত বেজে গিয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও তাদের রাশ থাকবে পুলিশের হাতে। পুলিশই ঠিক করবে, কোথায় কোথায় রুট মার্চ করানো হবে। ভোট ঘোষণা না হলেও রাজনৈতিক হিংসা শহরের বিভিন্ন জায়গায় অল্পবিস্তর চলছে। গত সপ্তাহেই বেলেঘাটা এবং ফুলবাগান থানা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দুই যুযুধান পক্ষের সংঘর্ষে। যাতে জখম হন এক পুলিশ অফিসারও।
আগামী বৃহস্পতিবার উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের কলকাতায় আসার কথা। রাজ্যের এবং কলকাতার পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হবে তাঁর। লালবাজারের আশা, সেখানেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক হবে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
তিন দিন পর মহারাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমণ ছ’হাজারের নীচে, ব্যাপক পতন সংক্রমণের হারেও
কলকাতা
ভাষা দিবসে উত্তর কলকাতার অলিতেগলিতে ‘বর্ণপরিচয় ওয়াক’
‘ওয়াক ক্যালকাটা ওয়াক’-এর উদ্যোগে হাটা।

শ্রয়ণ সেন
চমৎকার একটি বাড়ি। সাবেকি। লম্বা টানা রক। সবুজ খড়খড়ি আর দরজা। নামটাও তার চমৎকার– ‘চমৎকার বাড়ি।’
হাঁদাভোঁদা, বাঁটুল দি গ্রেট, ছবিতে রামায়ণ, মহাভারত, সব কিছুই এই বাড়ি থেকেই প্রকাশিত হয়। কারণ এই বাড়িতেই যে রয়েছে দেব সাহিত্য কুটিরের প্রেস। উত্তর কলকাতার ঝামাপুকুর লেনের এই বাড়িটায় এক সময়ে বরেণ্য সব মানুষের যাতায়াত লেগে থাকত। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সেই গোলাপি মলাটের ‘বর্ণপরিচয়’ও তো পরবর্তী কালে এই বাড়ি থেকেই প্রকাশিত হয়।
‘বর্ণপরিচয়’-এর মধ্যে দিয়ে সংস্কৃত ভাষার অযৌক্তিক শাসনজাল থেকে বাংলা ভাষাকে মুক্ত করেন বিদ্যাসাগর। সেই সঙ্গে যুক্তি ও বাস্তবতাবোধের প্রয়োগ করে বর্ণমালাকে সংস্কার করেন তিনি। সেই কারণেই রবিবার উত্তর কলকাতা অলিতে গলিতে ঘুরিয়ে দেখার বিশেষ যে পরিকল্পনা ‘ওয়াক ক্যালকাটা ওয়াক’ করেছিল, তার নামকরণ হয়েছিল ‘বর্ণপরিচয় ওয়াক’।
সংগঠনের দুই কান্ডারি – দীপ ভট্টাচার্য আর অয়ন মণ্ডল। ২০১৯ সালে এই দু’ জনের উদ্যোগে জন্ম ‘ওয়াক ক্যালকাটা ওয়াক’-এর। উদ্দেশ্য ছিল, নিজেরা যেমন কলকাতার সঙ্গে পরিচিত হবেন, তেমনই অন্যদেরও শহরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবেন। আমার সঙ্গে দু’ জনেরই পরিচয় হল গত মাসে। ২৬ জানুয়ারিও এমনই একটা হাঁটা হেঁটেছিলাম আমরা। তেমনই আজ আবার পথে। আগের বারের মতো এ বারও কোভিডের সব রকম বিধি কঠোর ভাবে মেনেই হাঁটা হয়েছে।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মিলিত হয়ে হাঁটা শুরু। প্রথমে দাঁড়ানো হল সংস্কৃত কলেজের সামনে। বিদ্যাসাগর মহাশয় এই কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন এই কলেজের পরিচিতি বাড়ে। এই কলেজের নিয়মনীতি সংস্কার করে ১৮৫১-এর জানুয়ারিতে কায়স্থদের এবং ১৮৫৪-এর ডিসেম্বরে সব বর্ণের হিন্দুদের জন্য কলেজের দরজা খুলে দেওয়া হয়।

এ দিনের হাঁটায় মাঝেমধ্যেই ফিরে এসেছেন বাঙালির সমাজসংস্কারের অন্যতম কান্ডারি বিদ্যাসাগর। তবে সংস্কৃত কলেজের পর আমাদের গন্তব্য ছিল উত্তর কলকাতার এক বিখ্যাত মিষ্টির দোকান, পুঁটীরাম (দোকানের সাইনবোর্ডে এই বানানই লেখা)। উদ্দেশ্য প্রাতরাশ করা। আলুর তরকারি-সহ চারটে কচুরি, নতুন গুড়ের রসগোল্লা এবং ১০০ গ্রামের এক ভাঁড় মিষ্টি দই খেয়ে ফের হাঁটা শুরু।
কলেজ স্কোয়ারে ডেভিড হেয়ারের সমাধিস্থল, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মৃত্যু বরণ করা বাঙালি সেনাদের সৌধটি দেখে চলে এলাম উত্তর কলকাতার বিখ্যাত গলিগুলিতে। এই রাস্তাগুলোর পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস। এখান দিয়ে হাঁটলে এবং বাড়িগুলোর দিকে তাকালে সময় যে কয়েক দশক পিছিয়ে যাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
হাঁটতে হাঁটতেই এগিয়ে চলা। ঝামাপুকুর লেন দিয়ে হাঁটতে হাঁটতেই চলে এল রামকৃষ্ণ সংঘ। এটা আদতে দিগম্বর মিত্রের বাড়ি, যা পরিচিত ছিল ঝামাপুকুর রাজবাড়ি হিসেবে। দাদা রামকুমারের হাত ধরে কলকাতায় পৌঁছে ঝামাপুকুর লেনের এই বাড়িতেই উঠেছিলেন গদাধর চট্টোপাধ্যায় তথা শ্রীরামকৃষ্ণ। বাড়িটি খুব ভালো ভাবে সংস্কার করা হয়েছে। ঠাকুর দালানে শ্রীরামকৃষ্ণ, জগজ্জননী সারদা দেবী এবং স্বামী বিবেকানন্দের ছবি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। নিত্য পুজো হয় সেখানে।

বাড়ির দালানে বেশ কিছুটা সময় জিরিয়ে নেওয়া গেল। ফের হাঁটা শুরু। এসে পৌঁছোলাম সেই চমৎকার বাড়িতে।
দেব সাহিত্য কুটির-এর বীজ বুনেছিলেন বরদাপ্রসাদ মজুমদার। কলকাতার বটতলা অঞ্চলে থাকতেন তিনি। বটতলা তখন ছিল কলকাতার প্রকাশনার এক কেন্দ্র। তাঁর যে স্বল্প সঞ্চয় ছিল তা-ই নিয়ে তিনি আবির্ভূত হলেন পুস্তকবিক্রেতা হিসাবে। এই কাজে আয়ও হচ্ছিল ভালোই।
বরদাপ্রসাদ শীঘ্রই বেশ কিছু টাকা জমিয়ে নিজের একটা ছোটো প্রেস খুললেন।বরদাপ্রসাদের সেজো ছেলে আশুতোষ উত্তরাধিকারসূত্রে বাবার ব্যবসার অধিকারী হলেন। সেই সময় থেকেই তিনি ডিকশনারি প্রকাশের পরিকল্পনা করেন। শীঘ্রই এই ডিকশনারি প্রকাশিত হল।
এর পর ১৯২৪ সালে তিনি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অনেক পাঠ্যপুস্তকের স্বত্বও কিনে নেন। তার মধ্যে অবশ্যই ছিল বর্ণপরিচয়। ওই বছরই প্রতিষ্ঠিত হল ‘দেব সাহিত্য কুটির’। ব্যবসায় লক্ষ্মী মুখ তুলে চাইলেন। প্রচুর সম্পত্তি হল আশুতোষ দেবের।

প্রায় ৩০টি বাড়ির মালিক হলেন তিনি। ঝামাপুকুর লেনে ৫টি বাড়ি কেনেন তিনি। ২১ নম্বর লেনের বাড়ির নাম রাখলেন নিজের স্ত্রী, চমৎকার সুন্দরী দাসীর নামে – চমৎকার বাড়ি। আর তার পাশে ২১/১-এর নাম – বরদাকুটীর।
পথ চলতে চলতে ফের বিদ্যাসাগর মশাই এসে গেলেন। সেই সূত্র ধরেই এ বার তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যাওয়া। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রথম জীবনে নিজে কোনো বাড়ি তৈরি না করলেও পরে তাঁর বিপুল গ্রন্থসম্ভার রাখার জন্য ১৮৭৬-এ মধ্য কলকাতায় ২৫ বৃন্দাবন মল্লিক লেনে, অধুনা ৩৬ বিদ্যাসাগর স্ট্রিটে এক খণ্ড জমির ওপরে একটি দোতলা বাড়ি তৈরি করেন৷ জীবনের শেষ চোদ্দো বছর মাঝেমধ্যে তিনি কাটিয়েছেন এই বাড়িতে৷ এই বাড়িতেই মারা যান তিনি।

বাড়িটিতে এখন সংস্কারের কাজ চলছে। তাই সামনের বাগানটার বেশি এগোতে পারলাম না। সংস্কারের কাজ শেষ হলে একদিন সবাই আসব, এই প্রতিজ্ঞা করে শেষ দফার হাঁটা শুরু হল। এ বার আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রোড পেরিয়ে ঢুকলাম গড়পাড় রোডে। কিছুটা এগোতেই ডান দিকে দেখলাম এক বিদ্যালয় ভবন।
ঢোকার দরজার ওপরে একটি ফলকে লেখা এথেনিয়াম ইনস্টিটিউশন। পাশেই রয়েছে তিন মহাপুরুষের মূর্তি। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, সুকুমার রায় এবং সত্যজিৎ রায়। ১৯১৪ সালে উপেন্দ্রকিশোর ১০০এ গড়পাড় রোডের ওপর এই বাড়িটি তৈরি করেন। এখানেই ১৯২১ সালের ২ মে জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়। ঐতিহাসিক এই বাড়িটি এথেনিয়াম বিদ্যালয় কিনে নেয় ১৯৩১ সালে।

এখানেই শেষ হল রবিবারের ‘বর্ণপরিচয় ওয়াক।’ শেষ করার আগে ফের একবার স্লোগান উঠল, ‘শহর চিনতে হলে হেঁটে দেখো বন্ধু।’ সেই সঙ্গে আওয়াজ উঠল “আসছে মাসে আবার হবে।” ‘বর্ণপরিচয় ওয়াক’ হয়তো শেষ, কিন্তু হাঁটা শেষ করছে না ‘ওয়াক ক্যালকাটা ওয়াক।’ ফের রাস্তায় নামবে তারা, হয়তো সামনের মাসেই।
কলকাতা
সিপিএমের ব্রিগেড ভরাতে ভরসা যখন ‘টুম্পা সোনা’, বিজেপির ভোটের গান ফ্যাসিবাদ বিরোধী ‘বেলা চাও’-এর সুরে
প্রশ্ন উঠছে কেন ‘বেলা চাও’-এর মতো ফ্যাসিবাদ বিরোধী গানের সুর বেছে নিল বিজেপি?

খবর অনলাইন ডেস্ক: শুক্রবারই প্রকাশ পেয়েছিল বামেদের ব্রিগেডের প্রচারে জনপ্রিয় ‘টুম্পা সোনা’-র প্যারোডি গান। তার ঠিক পরদিন বিজেপি প্রকাশ করল তাদের ভোটের গান।
গানের সুর ইতালির লোকসঙ্গীত ‘বেলা চাও’ সুরে। যে গানটি হয়ে উঠেছিল ফ্যাসীবাদ বিরোধী আন্দোলনের গান। সারা বিশ্বে এই গানটি ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে প্রতিরোধের গান হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
উইকিপিডিয়া অনুযায়ী গানটি উৎস বেশ পুরোনো। পরবর্তীকালে এই গানটিকে ব্যবহার করা হয় ১৯ শতকে খেতে কাজের পরিবেশ, দীর্ঘ সময় ধরে কাজ এবং স্বল্প বেতনের বিরুদ্ধে। শ্রমিকরা প্রতিবাদের সময় এই গানটি গাইতেন।
ইতালি ভাষায় ‘বেলা চাও’ কথাটির বাংলা অর্থ হল ‘বিদায় সুন্দরী’। এই গানটির কথা পালটে নিয়ে ভোটের গান প্রকাশ করেছে গেরুয়া শিবির। ‘বেলা চাও’-এর বদলে হয়েছে ‘পিসি যাও’।
নেটফ্লিক্সে জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘মানি হাইস্ট’-য়েও গানটি ব্যবহার হয়েছিল।
টুইটারে গানটি শেয়ার করেছেন বিজেপি-র পশ্চিমবঙ্গের সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। উল্লেখ্য, তাঁর টুইটে কিছু আগেই তৃণমূল ভোটের স্লোগান বাংলা নিজেরে মেয়েকেই চায় প্রকাশ করেছে।
অমিত মালব্য টুইটারে লিখেছেন, ‘‘যাঁরা স্লোগান প্রকাশ করা নিয়ে আগ্রহী, তাঁদের জন্য একেবারে বাঙালি ঢঙে একটি স্লো গান (ধীর সঙ্গীত) প্রকাশ করা হল।’’
দুনীর্তি থেকে বেকারত্ব, ‘পিসি’ , ‘ভাইপো’ সবই উঠে এসেছে বিজেপির প্রকাশিত গানে।
প্রশ্ন উঠছে কেন ‘বেলা চাও’-এর মতো ফ্যাসিবাদ বিরোধী গানের সুর বেছে নিল বিজেপি? এখানে কী ‘আত্মনির্ভর’ হওয়া গেল না?
রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, এই গানের লক্ষ্য এক ঢিলে দুই পাখি মারা। জনপ্রিয় এক গানের সুরকে ব্যবহার করে শাসকদলকে আক্রমণ, দুই, বিজেপিকে ‘ফ্যাসিবাদী দল’ যারা মনে করে তাদেরও কাছে টানার চেষ্টা।
উল্লেখ্য সিএএ-র বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময়ও এই গানটি গাওয়া হয়েছিল।
আসল গানটির ভিডিও
গানটি নিয়ে অবশ্য তৃণমূল কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।
আরও পড়ুন : বামেদের ব্রিগেড প্রচারে ‘টুম্পাসোনা’, প্যারোডি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
-
প্রযুক্তি5 hours ago
রান্নার গ্যাসের ভরতুকির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কি না, কী ভাবে দেখবেন
-
প্রযুক্তি2 days ago
এ ভাবেই তৈরি করুন সদ্যোজাত শিশুর আধার কার্ড, জানুন কী কী লাগবে
-
বিনোদন2 days ago
পর্ন ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ থেকে আয় কোটি টাকা, অ্যাপের মাধ্যমে চিত্রনাট্য-সহ পরিবেশিত হচ্ছে অশ্লীলতা
-
রাজ্য2 days ago
দেড় ঘণ্টা পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ছাড়লেন সিবিআই আধিকারিকরা