কলকাতা: বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে অবস্থানরত চিকিৎসকদের তিনটি দাবি ছিল – এক, চিকিৎসকদের মিছিলকে লালবাজারের দিকে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট ও বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের সংযোগস্থল পর্যন্ত এগোতে দিতে হবে; দুই, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল নিজে এসে অবস্থানরত চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করবেন। তাঁকে স্মারকলিপি পড়ে শোনানো হবে এবং তিনি সেটি গ্রহণ করবেন; এবং তিন, এর কোনোটিই না হলে পুলিশ কমিশনারকে পদত্যাগ করতে হবে।
আপাতত কিছুটা পিছু হটল পুলিশ। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কিছুটা এগোতে দেওয়া হচ্ছে। তবে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট ও বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের মোড় পর্যন্ত নয়, মিছিল আটকাতে এখন যেখানে ব্যারিকেড রয়েছে, সেখান থেকে আরও ১০০ মিটার এগোতে পারবেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।
পুলিশের নমনীয়তায় আন্দোলনকারীদের মনোবল আরও বেড়েছে। তাঁরা সমস্বরে গান ধরেন – ‘আমরা করব জয়’। ফিয়ার্স লেনের সামনে থেকে ব্যারিকেড সরানো হয়ে গিয়েছে। আন্দোলনরত চিকিৎসকরা বলেছিলেন, তাঁরা ১০০ মিটার এগোবেন, কিন্তু তার পর কোনো ব্যারিকেড রাখা চলবে না। মিছিলের সামনে থাকবে মানববন্ধন। সেইমতো মানববন্ধন তৈরি হয়েছে।
ফিয়ার্স লেনের সামনে চিকিৎসকদের অবস্থান। ছবি:ডা. অনির্বাণ সিনহা।
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের সুদীর্ঘ মিছিল সোমবার দুপুরে কলেজ স্কোয়ার থেকে লালবাজারের দিকে রওনা হয়। লালবাজার থেকে আধ কিলোমিটার দূরে মিছিল আটকে দেওয়া হয়। সেখানেই বসে পড়েন মিছিলকারীরা। সোমবার সারা রাত জেগে কাটান তাঁরা। ভোরের দিকে অনেককেই রাস্তার উপরেই শুয়ে একটু বিশ্রাম করে নিতে দেখা যায়। মঙ্গলবার বেলা গড়াতেই আন্দোলনকারীদের ভিড় বাড়তে থাকে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদও বাড়তে থাকে। তারই মধ্যে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে অনেকে ছাতা খুলে বসে থাকেন। এরই মধ্যে হয়ে যায় ত্রিপল টাঙানোরও ব্যবস্থা। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অবস্থানরত চিকিৎসকদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। আশেপাশে টয়লেটের কী ব্যবস্থা আছে সে সম্পর্কেও খোঁজখবর চলে।
সোমবার থেকে দফায় দফায় অবস্থানরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয় পুলিশেরকর্তাদের। সোমবার রাতে, মঙ্গলবার সকালে, দুপুরে। আন্দোলনকারীদের দাবি, কোনো ব্যারিকেড রাখা যাবে না। তাঁরা মানববন্ধন করে ভিড় সামলাবেন। শেষ পর্যন্ত তা-ই হল।
আরও পড়ুন
‘শেষের শুরু’! সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতারের পর মন্তব্য রাজ্যপালের