কলকাতা: শেষ পর্যন্ত লালবাজারে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে কথা হল আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের। বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে অবস্থানরত জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি কিছুটা মেনে তাঁদের মিছিলকে লালবাজারের দিকে ১০০ মিটার এগোতে দেয় পুলিশ। তার পরই আন্দোলনকারীদের ২২ জনের প্রতিনিধিদল পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে যান।
প্রায় ঘণ্টাদেড়েক পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা হয় প্রতিনিধিদলের। কথা বলে বেরিয়ে এসে প্রতিনিধিদলের তরফে জানানো হয়, পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। তাঁরা বলেন, “১৪ তারিখের ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁরা স্বীকার করেছেন, এটি পুলিশি ব্যর্থতা। কিন্তু আলোচনার কোনো সদুত্তর আমরা পুলিশ কমিশনারের থেকে পাইনি। আমরা আমাদের দাবিতে এখনও অনড়। নৈতিক দায় নিয়ে সিপির পদত্যাগ করা উচিত বলে আমরা মনে করি।”
জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদল বলেন, “পুলিশ কমিশনারকে আমরা প্রশ্ন করেছিলাম, তিনি এই ঘটনায় নৈতিক দায়ভার নিচ্ছেন কি না। জবাবে সিপি জানিয়েছেন, তিনি নিজের কাজে সন্তুষ্ট। তবে যদি তাঁর কোনো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মনে করেন, তিনি নিজের কাজে ব্যর্থ এবং তাঁকে যদি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, সেটিও তিনি হাসিমুখে মেনে নেবেন।”
লালবাজারে সিপির সঙ্গে বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা। ছবি: রাজীব বসু।
পুলিশ কমিশনারের কথায় সন্তুষ্ট না হলেও আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের অবস্থান তুলে নিয়েছেন। তবে তাঁদের কর্মবিরতি আর ধর্না যে চলবে, তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।
ফিয়ার্স লেনের সামনে থেকে মানববন্ধন করে লালবাজারের দিকে একশো মিটার পথ এগিয়ে যান আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। গান গেয়ে, স্লোগান তুলে একশো মিটার পথ এগিয়ে ব্যাপটিস্ট গির্জার সামনে অপেক্ষা করেন চিকিৎসকেরা। মিছিলের একেবারে সামনের সারিতে মানববন্ধন করে রাখেন চিকিৎসকদের প্রতিনিধিরা। পুলিশ তাদের কথা রাখে। সেখানে কোনো লোহার ব্যারিকেড রাখা হয়নি। এর পরই ২২ জনের প্রতিনিধিদল লালবাজারে যান।
সোমবার থেকে যে প্রতীকী মেরুদণ্ড নিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা, সেটিও সঙ্গে করে নিয়ে যান। তাঁদের কথায়, পুলিশ কমিশনারকে ‘উপহার’ দেওয়া হবে বলে ওটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন
আদালত চত্ত্বরে ‘চোর চোর’ স্লোগান, সন্দীপ ঘোষের ৮ দিনের সিবিআই হেফাজত