ব্যাটারি চালিত গাড়ির চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। ফলে বাড়ছে বাজারও। সেই বর্ধিত বাজার সঙ্গে তাল মিলিয়ে গাড়ি সংস্থাগুলি ব্যাটারি চালিত গাড়ি এবং স্কুটারের নতুন নতুন মডেল বাজারে আনছে। তেমন এক ব্যাটারি চালিত স্কুটার এনেছে দেশীয় সংস্থা এথার এনার্জি।
কলকাতায় একটি হোটেলে সংস্থাটি লঞ্চ করল রিজতা নামে নতুন ফ্যামিলি স্কুটার এবং প্রথম স্মার্ট হেলমেট হ্যালো।
স্কুটারের সঙ্গে পরিবার শব্দটি অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। রিজতায় বাড়তি কিছু সুবিধা যুক্ত করে পরিবারের কাছে আরও গ্রহণযোগ্যতা বাড়তে চেয়েছে সংস্থাটি। টাচ স্ক্রিন এই স্কুটারের রয়েছে গুগুল ম্যাপ। সংস্থাটির দাবি, বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় স্কুটার হল রিজতা, যাতে যুক্ত রয়েছে গুগুল ম্যাপ। এর বাড়তি সুবিধ হল, রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হচ্ছে, পরিবারের উৎকণ্ঠা কটাতে লাইভ লোকেশন পাঠিয়ে দিতে পারবেন সহজে।
অনুষ্ঠানে এথার এনার্জি -এর চিফ বিজনেস অফিসার রবনীত সিং ফোকেলা বলেন, “এথার-এর ৪৫০ সিরিজের স্কুটার। এর সংস্থার স্কুটার তার পারফরম্যান্সের জন্য কলকাতায় আমাদের গ্রাহকদের কাছে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। রিজতা -এর মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য হলো পরিবারের স্কুটার জন্য একটি পছন্দ উপভোক্তাদের চাহিদা পূরণ করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘রিজতায় আরামদায়ক এবং বড় আসন, পর্যাপ্ত স্টোরেজ স্পেস, বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ব্যবহারিক বৈশিষ্ট্য একে পরিবারের জন্য উপযুক্ত করে তোলে। কলকাতার ব্যস্ত রাস্তায় এবং সরু বাইলেনে সহজে চলাচলের সুবিধা দেয়।”
রিজতা দুটি মডেল এবং তিনটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যায়। রিজতা এস এবং রিজটা জেড, উভয়ই ২.৯ কিলোওয়াট প্রতি ঘণ্টা ব্যাটারি সহ পাওয়া যায়। সর্বোচ্চ মডেল রিজতা জেড, যা ৩.৭ কিলোওয়াট প্রতি ঘণ্টা ব্যাটারি সহ আসে। ২.৯ কিলোওয়াট আওয়ার ভ্যারিয়েন্টগুলো ১২৩ কিমি পূর্বাভাসিত আইডিসি রেঞ্জ সরবরাহ করে, আর ৩.৭ কিলোওয়াট আওয়ার ভ্যারিয়েন্টটি ১৫৯ কিমি রেঞ্জ প্রদান করে। রিজতা এস তিনটি মনোটোন রঙে পাওয়া যায়, যেখানে রিজতা জেড সাতটি রঙে উপলব্ধ, যার মধ্যে তিনটি মনোটোন এবং চারটি ডুয়াল-টোন অপশন রয়েছে। পরিবারের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা রিজতা আরাম, সুবিধা এবং নিরাপত্তার উপর গুরুত্ব দেয়। বড় ফ্লোরবোর্ডটি রাইডারের জন্য যথেষ্ট লেগ স্পেস সরবরাহ করে।
রিজতার স্কিডকন্ট্রোল একটি স্বতন্ত্র ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম যা মোটরের টর্ক ম্যানেজ করে বালি, জল, বা তেলতে ট্র্যাকশন হারানোর প্রতিরোধ করে। অতিরিক্ত নিরাপত্তা ফিচার হিসেবে রয়েছে ফলসেফ, ইমারজেন্সি স্টপ সিগন্যাল (ইএসএস), থেফট এবং টো ডিটেক্ট, এবং পিং মাই স্কুটার।
সব তিনটি ভ্যারিয়েন্টের সর্বোচ্চ গতি ৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টা এবং দুটি রাইডিং মোড রয়েছে – জিপ এবং স্মার্টইকো। রিজটায় এমন রাইড অ্যাসিস্ট ফিচার রয়েছে যেমন ম্যাজিকটুইস্ট, অটোহোল্ড।
এথার এদিন হালো হেলমেটটির সম্পর্কেও ব্যাখ্যা করে। একটি অত্যাধুনিক স্মার্ট হেলমেট যা হারম্যান কার্ডন অডিও সহ সজ্জিত। এটি স্বতন্ত্র অটো ওয়্যারডিটেক্ট প্রযুক্তি, ওয়্যারলেস চার্জিং, এবং মিউজিক ও কলের জন্য হ্যান্ডেলবার কন্ট্রোলের অসাধারণ অভিজ্ঞতা তুলে ধরে। হালো হেলমেটটিতে এথার চিটচ্যাট রয়েছে, যা রাইডার এবং পিছনে বসা যাত্রীর মধ্যে হেলমেট-টু-হেলমেট যোগাযোগের সুবিধা দেয়। এটি দুটি রঙের বিকল্পে আসে এবং একটি স্লিক। ভবিষ্যতে আরও ডিজাইন আসবে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
এথার রিজটা এস ২.৯ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি সহ কলকাতায় এক্স-শোরুম মূল্য ১,১১,৪৬৯ টাকা। এথার রিজটা জেড ২.৯ কিলোওয়াট এবং ৩.৭ কিলোওয়াট ব্যাটারিগুলো কলকাতায় এক্স-শোরুম মূল্য যথাক্রমে ১,২৬,৪৬৯ টাকা এবং ১,৪৬,৪৬৯ টাকায় পাওয়া যাবে।
তবে দাম নিয়ে মধ্যবিত্তের মনে একটু অস্বস্তি থাকতেই পারে। সংস্থার যুক্তি, নিরপত্তা গুরুত্ব এবং অন্য যে সমস্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে। সে দিক থেকে দেখলে দাম বেশি লাগবে না।