কলকাতা
পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী কোভিড পজিটিভ
শুভেন্দুবাবুর মা কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভরতি হাসপাতালে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: কোভিডে (Covid 19) আক্রান্ত হলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari)। তবে মৃদু উপসর্গ থাকায় আপাতত বাড়িতেই রয়েছেন তিনি। যদিও তাঁর মা গায়ত্রী দেবী কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শুভেন্দুবাবুর র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট হয়। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর আরটি-পিসিআর টেস্ট করা হয়। তাতেও রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তবে তিনি বাড়িতেই থাকবেন না কি হাসপাতালে ভরতি হবেন, সে ব্যাপারে শুক্রবার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি।
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে চিকিৎসার জন্য শুভেন্দুবাবুর মা গায়ত্রীদেবীকে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। সে সময়ে তাঁর শরীরের একটি অস্ত্রোপচারও হয়। তার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতেই কোভিডে আক্রান্ত হন তিনি। তাঁকে বৃহস্পতিবার রাতেই শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
দিন কয়েক আগে শুভেন্দুবাবুর ভাইপো কোভিডে আক্রান্ত হন। মনে করা হচ্ছে শুভেন্দুবাবুদের যৌথ পরিবার হওয়ায় সহজেই ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে পরিবহণমন্ত্রীর বাবা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী ও কাঁথি লোকসভার সাংসদ শিশির অধিকারীকে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
এক দিনে রেকর্ড সংখ্যক কোভিড পরীক্ষা ভারতে, দৈনিক সংক্রমণের হারে রেকর্ড পতন

খবরঅনলাইন ডেস্ক: গত বছর এই মার্চেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মেট্রো পরিষেবা। তার পর পুজোর ঠিক আগেই পরিষেবা চালু হলেও টোকেন ব্যবস্থা ফেরানো হয়নি। অবশেষে সেটি আবার ফিরতে চলেছে কলকাতা মেট্রোয়, প্রায় এক বছর পর।
সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৫ মার্চ থেকে কলকাতা মেট্রোর উত্তর-দক্ষিণ এবং ইস্ট-ওয়েস্ট লাইনে ফের আগের মতোই টোকেন ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা।
সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় যাত্রী পরিষেবা আগের মতো স্বাভাবিক করতে চাইছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তারই অঙ্গ হিসেবে টোকেন ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি মেট্রো চলাচলের সময়সীমা বাড়ানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
বুধবার থেকে উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয় ট্রেনের সংখ্যা ২৪৪ থেকে বাড়িয়ে ২৫২ করা হচ্ছে। সকালে দক্ষিণেশ্বর থেকে প্রথম ট্রেন সকাল ৭টার পরিবর্তে ৬টা ৫০ মিনিটে ছাড়বে। একই ভাবে দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বরগামী এবং দমদম থেকে কবি সুভাষগামী ট্রেনও সকাল ৭টার পরিবর্তে ৬টা ৫০ মিনিটে ছাড়বে।
কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরগামী প্রথম ট্রেনের সময়েও আগের সকাল ৭টা থেকে ১০ মিনিট এগিয়ে ৬টা ৫০ মিনিট হচ্ছে। দক্ষিণেশ্বর থেকে আগের ৭৯টি ট্রেন বেড়ে নতুন সূচিতে ৮৫টি ট্রেন চলবে। দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বরগামী ট্রেনের সংখ্যা ৩টি থেকে বাড়িয়ে ৫টি করা হচ্ছে। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরগামী ট্রেনের সংখ্যাও ৭৯টি থেকে বাড়িয়ে ৮৭টি করা হচ্ছে।
রাতের অন্তিম ট্রেন দক্ষিণেশ্বর থেকে ৯টা ১৮ মিনিটের পরিবর্তে রাত ৯টা ২৮ মিনিটে ছাড়বে। একই ভাবে দমদম থেকে কবি সুভাষগামী রাতের অন্তিম ট্রেন সাড়ে ৯টার পরিবর্তে ওই দিন থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ছাড়বে।
শনিবার ২২৮টি-র পরিবর্তে ২৩২টি ট্রেন চলবে। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে সারাদিনে ১৫৬টির পরিবর্তে ১৬০টি ট্রেন চলবে। রবিবার মেট্রোয় ট্রেনের সংখ্যা ১০২ থেকে বাড়িয়ে ১০৪ করা হচ্ছে। যার মধ্যে, ১০২টি ট্রেন কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে চলবে। তবে রবিবার উত্তর-দক্ষিণ মেট্রো পরিষেবা শুরু হবে সকাল ৯টায়। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় অবশ্য এখনই ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে না।
আপাতত, সব ক’টি স্টেশনে একটি করে টোকেনের কাউন্টার খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চাহিদা বাড়লে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ সাপেক্ষে টোকেনের কাউন্টারের সংখ্যা বাড়ানো যাবে। তবে টোকেন দেওয়া এবং নেওয়ার ক্ষেত্রে কী ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
রাজ্যে পাল্লা ভারী তৃণমূলেরই, জানাল আরও একটি সমীক্ষা
কলকাতা
রেলের ভবনে আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, উদ্ধার রেলের ডেপুটি সিসিএম ও রক্ষীর দেহ
তিন তলায় অফিস, কিন্তু আধিকারিকের দেহ মিলল ১২ তলায়।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: স্ট্র্যান্ড রোডে নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ে বিধ্বংসী আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৯। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (সিসিএম) পার্থসারথি মণ্ডলও।
পার্থসারথিবাবুর অফিস তিন তলায়। কিন্তু তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ১২ তলায় লিফটের ভেতরে। সেখান থেকে উদ্ধার হয় তাঁর রক্ষী সঞ্জয় সাহানির দেহ। অন্য লিফ্টে মেলে ৪ দমকলকর্মী-সহ ৭ জনের দেহ।
দমকলের তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রে খবর, লিফটের মধ্যে আটকে ঝলসে, দমবন্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন ডেপুটি সিসিএম ও তাঁর রক্ষী। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগে মৃত্যুর কারণ নিয়ে নিশ্চিত করে তাঁরা মন্তব্য করতে নারাজ। অনেকগুলি সম্ভাবনা উঠে এলেও কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়।
পার্থসারথিবাবু বসতেন কয়লাঘাট ভবনের ৩ তলায়। তবে অফিসের কাজে সর্বত্রই যাতায়াত করেতে হত তাঁকে। মনে করা হচ্ছে সোমবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের সময় কোনো কাজে ১২ তলায় গিয়েছিলেন তিনি। এটাও হতে পারে যে, আগুন লাগার আগে থেকেই তিনি অফিসের কাজে ১২ বা ১৩ তলায় ছিলেন।
উপরে ওঠার সময় তিনি অগ্নিকাণ্ডের খবর জানতেন না, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আগুন দেখে তাড়াহুড়ো করে লিফ্টে নামার চেষ্টা করেন। অথবা লিফ্টে উপরে ওঠার পর আর সেখান থেকে বেরোতেই পারেননি। যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিকল হয়ে যায় লিফ্ট। ফলে লিফটের দরজাও খুলতে পারেননি।
রেলের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকের মৃত্যু যে গোটা ঘটনাটিকে একটা নতুন মোড় দিল, তা বলাই বাহুল্য।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
কলকাতা
নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিং-এ রেলের দফতরে আগুন, ৭ জনের মৃত্যু, ২ জন নিখোঁজ
রেলের সার্ভার রুম ভস্মীভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে রেলের টিকিট বুকিং-এর কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

কলকাতা: মহানগরীর স্ট্র্যান্ড রোডে নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিং-এ আগুন লেগে মারা গেলেন সাত জন। এঁদের মধ্যে ৪ জন দমকলকর্মী, ১ জন পুলিশ অফিসার, ১ জন রেলের অফিসার এবং আরও এক জন নিরাপত্তাকর্মী। আরও ২ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এই ভবনেই রয়েছে রেলের অফিস। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা এই খবর দিয়েছেন।
মৃত ৭ জনের মধ্যে ৫ জনের দেহ ১২ তলায় লিফ্টের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে। লিফ্টের মধ্যেই দমবন্ধ তাঁরা মারা গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাত ১১টা নাগাদ ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, “৭ জন মারা গিয়েছেন। পুলিশ কমিশনার বলেছেন, আরও ২ জন নিখোঁজ থাকতে পারেন। আগুনের সময় লিফ্ট চলেছিল বলেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারবর্গকে ১০ লক্ষ টাকা করে আমরা দেব।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা রেলের সম্পত্তি। রেলের একটা দায়িত্ব আছে। বিল্ডিং-এর কোনো ম্যাপ রেল দিতে পারেনি। এই মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে কোনো রাজনীতি করতে চাই না, কিন্তু রেলের তরফে কেউ ঘটনাস্থলে আসেননি।”
এই ভবনটি একাধারে পূর্ব রেল ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ১৪ তলা ভবনটির ১৩ তলায় আগুন লাগে। এবং তার পর তা ১২ তলায় ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে রেলের সার্ভার রুম। সেটি ভস্মীভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে রেলের টিকিট বুকিং-এর কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকলের অন্তত ১৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। আগুন অত্যন্ত উঁচুতে লাগায় আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। আগুন নেভানোর কাজে হাইড্রোলিক ল্যাডার ব্যবহার করা হচ্ছে। আগুন যাতে আশেপাশের বাড়িগুলিতে ছড়িয়ে না পড়ে তার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দমকলকর্মীরা।
কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, রেল ও পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। ঘটনাস্থলে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরাও।
দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, নিয়ম হল আগুন লাগলে কখনও লিফ্ট চালানো উচিত নয়। কেন লিফ্ট চালানো হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে।
নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিং-এর কাছেই আইসিইউ সুবিধাযুক্ত কয়েকটি অ্যাম্বুল্যান্স তৈরি রাখা হয়েছে। উদ্ধারকাজে আলোর ব্যবস্থার জন্য কয়েকটি জেনারেটর আনা হয়েছে। স্ট্র্যান্ড রোডের একাংশ বন্ধ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা হচ্ছে।
-
রাজ্য3 days ago
কেন তড়িঘড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, সরব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য
-
রাজ্য3 days ago
লড়াই মুখোমুখি! নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
রাজ্য3 days ago
অস্বস্তি বাড়াচ্ছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ, কলকাতাতেও বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা
-
দেশ3 days ago
স্বামী থাকতেও প্রেমিক খুঁজছেন ভারতের বিবাহিত মহিলারা! এটা কি খারাপ খবর?