নিজস্ব প্রতিবেদন :আজ শিক্ষক দিবস। তবে বিগত পাঁচ মাস ধরেই বন্ধ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তা হলে কী ভাবে পালিত হবে এবারের শিক্ষক দিবস?
পড়ার ব্যাচে শিক্ষককে উপহার দেওয়া হবে না? স্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে না? সবাই মিলে এক সঙ্গে চেঁচিয়ে ‘হ্যাপি টিচার্স ডে’ বলে ওঠা হবে না? এসব ভেবে মন খারাপ গৃহবন্দি পড়ুয়াদের।
তবে মন খারাপের মাঝেই ৫বছরের ছোট্ট পেখম বানিয়েছে কার্ড। ভিডিওকলেই তাদের বন্ধুরা কার্ড দেখাবে, তাদের শিক্ষিকাকে।
অন্যদিকে ক্যালকাটা পাবলিকের একাদশ শ্রেণির রীতিশা এবং তার কয়েকজন বন্ধু সকালেই উপস্থিত হবে তার শিক্ষকের বাড়ি। তাদের কথায়, ‘‘এটাই আমাদের স্কুলের শেষবার শিক্ষক দিবস, তাই আমরা একবার স্যারের বাড়ি যাবো, কিছু উপকার কিনেছি, কেক কিনেছি’’
বারাসাত গার্লস এর সৃজা জানিয়েছে, ‘‘আমরা সকাল ৮টা থেকে একে একে সবাই মিলে হোয়াটসঅ্যাপে দিদিদের শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা ও প্রণাম জানাবো।’’
টানা পাঁচ মাসে করোনা সম্পর্কে পড়ুয়ারা যথেষ্ট সচেতন হয়েছে। তাদের অধিকাংশই শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে ভিড় বাড়াতে চায় না।
স্কটিশ চার্চের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া আকাশ জানিয়েছে, ‘‘করোনার কারণে অবশ্যই আমরা স্যারের বাড়ি পৌঁছে ভিড় করবো না, তবে আমরা একটি ওয়েবনারের মাধ্যমে গান, আবৃত্তি এবং অবশ্যই সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণননের জীবনের কিছু বক্তব্য তুলে ধরবো।’’
করোনা আবহে ‘সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং’ যখন দস্তুর। তখন এ বছর অনলাইনকে ভরসা করেই পালিত হচ্ছে শিক্ষক দিবস।