কলকাতা: রাজ্যের দুই নবনির্বাচিত বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেনের শপথগ্রহণ নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, বৃহস্পতিবার তা সমাধান করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, দুই বিধায়কের শপথগ্রহণে কোনও বাধা নেই। তিনি এই দায়িত্ব ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে দিয়েছেন। আশিসের উপস্থিতিতেই বিধানসভায় শপথ নিতে পারবেন দুই বিধায়ক।
তবে বিধানসভা সূত্রে খবর, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, তিনি এই দায়িত্ব নিতে চান না। ফলে শপথগ্রহণ নিয়ে নতুন জটিলতা তৈরি হতে পারে।
সংবিধান অনুযায়ী, ভোটে জয়ী হওয়ার পর নবনির্বাচিত বিধায়কেরা রাজ্যপালের উপস্থিতিতে শপথগ্রহণ করেন। রাজ্যপাল কাউকে এই কাজে নিযুক্ত করলে, তাঁর উপস্থিতিতেও শপথগ্রহণ সম্ভব। সেই নিয়ম মেনে ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্যপাল।
— Raj Bhavan Kolkata (@BengalGovernor) July 4, 2024
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি রাজভবন থেকে কোনও চিঠি পাননি। তাই এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারবেন না। তবে রাজভবন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার কলকাতা ফিরে বিকেলেই রাজ্যপাল দুই বিধায়কের শপথের দায়িত্ব ডেপুটি স্পিকারকে দিয়ে দিয়েছেন। শুক্রবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। সেখানেই সায়ন্তিকা ও রায়াতের শপথ হবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন চিহ্ন থেকে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে রাজ্যপাল সংবিধানের নিয়ম উল্লেখ করে জানান, বিধায়কদের শপথগ্রহণে রাজভবন এবং বিধানসভার ভূমিকা কী। এরপর তিনি জানান, বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব ডেপুটি স্পিকারকে দিচ্ছেন।
অতীতে বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে জয়ী বাবুল সুপ্রিয়ের শপথগ্রহণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তখনও ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় শপথগ্রহণের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন। তখন রাজ্যপাল সিদ্ধান্ত বদল করে বাবুলের শপথের দায়িত্ব স্পিকারকে দেন। এবারও তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয় কিনা, সেটাই দেখার বিষয়।
রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে এই বিষয়ে আলোচনা তুঙ্গে। সকলের নজর এখন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের দিকে। তিনি দায়িত্ব না নিলে, রাজ্যপাল আবারও কি সিদ্ধান্ত বদল করবেন? পরবর্তীতে সে দিকেও নজর থাকবে।
প্যারাটিচার ও চুক্তিভিত্তিক শিক্ষাকর্মীদের অবসর ভাতা বাড়াল রাজ্য, কত? জানুন