কলকাতার বৌবাজার এলাকায় ফের মেট্রোর নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে জল ঢুকে বিপত্তি দেখা দিয়েছে। শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা মেট্রো রেলের নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে জল ঢোকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে যান কলকাতা মেট্রোরেল কর্পোরেশন লিমিটেড (কেএমআরসিএল)-এর আধিকারিকেরা। কিন্তু পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে তাঁরা বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিক্ষোভের আঁচ পৌঁছায় সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনেও।
লালবাজার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গে জল ঢুকতে শুরু করে। দুর্গা পিতুরি লেন এলাকার ১১টি বাড়ি, যার বাসিন্দা সংখ্যা মোট ৫২ জন, তাঁদের হোটেলে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কলকাতা পুরসভার আধিকারিক এবং স্থানীয় কাউন্সিলরও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
কেএমআরসিএল-এর তরফে জানানো হয়েছে, গত ১ সেপ্টেম্বর পূর্বমুখী সুড়ঙ্গের সঙ্গে সংযোগরক্ষাকারী বিশেষ উদ্ধার পথ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছিল। তবে বুধবার রাত ১০টা নাগাদ পূর্বমুখী সুড়ঙ্গের প্রাচীর কাটার সময় জল ঢোকা শুরু করে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বর্ষাকাল এবং উচ্চ জলস্তরের কারণেই এই ঘটনা ঘটতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাজারে ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া, ঘাটতি রপ্তানিতেও, সমাধান কোন পথে?
প্রসঙ্গত, এর আগে প্রায় দু’বছর আগে বৌবাজার এলাকায় মেট্রোরেলের সুড়ঙ্গে সমস্যা দেখা দেওয়ায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল ধরেছিল। সেই সময়ও মেট্রো কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং সুড়ঙ্গের মেরামতির কাজ করা হয়েছিল। তবে নতুন করে আবারও এই ধরনের ঘটনা ঘটায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিন সকালে সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের ভিতরে ঢুকে স্টেশনের ভিতরে মাটিতেই বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মেট্রোর প্রবেশপথ তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্বে ছিলেন খোদ কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। তিনি বলনে, “দীর্ঘ ৫ বছর ধরে চলছে ভোগান্তি। আমি কনফিউজড। ২০১৯ সাল থেকে এই নিয়ে ৪টে ডিজাস্টার হল। হোটেল আর বাড়ি করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। এর শেষ কোথায়? আমাকেও তো জনপ্রতিনিধি হিসেবে জবাব দিতে হবে। এরা কোথায় যাবে?” পুলিশ এসে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনে।