Home খবর কলকাতা পোস্তায় জগদ্ধাত্রী পুজো উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

পোস্তায় জগদ্ধাত্রী পুজো উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

0

বুধবার কলকাতার পোস্তায় মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই চন্দননগরের ১০টি পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন তিনি। উল্লেখযোগ্য ভাবে, জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নিয়ে সতর্কবার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী যে পুজোগুলির উদ্বোধন করেন, সেগুলি হল নিয়োগীবাগান নব বালক সংঘ, উর্দিবাজার সার্বজনীন, হাটখোলা দৈবকপাড়া সার্বজনীন, কুন্ডুঘাট দালান সার্বজনীন, ব্রাহ্মণপাড়া সার্বজনীন, নতুনপাড়া সার্বজনীন, গোন্দলপাড়া সার্বজনীন, ভদ্রেশ্বর নেহরু বিদ্যাপীঠ সার্বজনীন, গোলদিঘির ধার সার্বজনীন এবং বেশোহাটা সার্বজনীন।

New Project 59

মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন লাগলে শুধুমাত্র দমকলকে দোষ দিলেই হবে না। স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির ওপরও দায়িত্ব বর্তায় অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থার দিকে নজর দেওয়া।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘‘পোস্তা বাজার বা জোড়াসাঁকোর কাছাকাছি কোনো এলাকায় আগুন লাগলে দমকলের দোষ দেওয়া হবে কেন? ঘরের সামনে এত দাহ্য পদার্থ রাখার প্রয়োজন কী?’’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘অনেকেই বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ এবং প্লাস্টিক ছড়িয়ে রাখেন, যা খুব বিপজ্জনক। এটি নিয়ে পোস্তা বাজার কমিটি পুলিশ, দমকল এবং কলকাতা পুরসভার সঙ্গে বৈঠক করে আগুন লাগার সম্ভাবনা রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিক।’’

এছাড়া এলাকার একাধিক জরাজীর্ণ বাড়ি নিয়েও সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা পুরসভা কোনও বাড়িকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করে নোটিশ দিলে, বাড়ির মালিকদের উচিত সহযোগিতা করা। পুরসভার সঙ্গে বৈঠক করে নতুনভাবে বাড়ি তৈরি বা মেরামত করে নিরাপদে থাকার পরিকল্পনা করতে হবে।’’

ভোট প্রসঙ্গেও ইঙ্গিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ‘‘এখানে ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের প্রার্থী জিতেছে, কিন্তু লোকসভায় এই অঞ্চলে আমরা জিততে পারিনি। ভোট শেষ হয়ে গেলে কেউ কাউকে খুঁজে পায় না। কিন্তু আমি আছি, সারা বছর থাকব। কোকিলকে সাময়িক দেখা যায়, কিন্তু আমি কাকের মতো আছি, সারা বছর দেখা পাবেন।’’

মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য পোস্তা বাজার এলাকার স্থানীয় প্রশাসন, ব্যবসায়ী সমিতি এবং বাসিন্দাদের জন্য অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষ জোর দেয়।

ছবি: রাজীব বসু

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version