উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় রহস্যজনকভাবে ১৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে। প্রত্যেকের দেহ রাস্তা থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিনে তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে এ মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শহরের সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে গরমে অসুস্থ হয়ে ভর্তির সংখ্যা ৫০ শতাংশ বেড়েছে। নয়ডা জেলা হাসপাতালে চিফ মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্ট (সিএমএস) রেণু আগরওয়াল জানিয়েছেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে। বেশির ভাগ মৃত্যুই পথচারী এবং পুলিশকর্মীদের মধ্যে ঘটেছে।
এক বেসরকারি হাসপাতালের ডিরেক্টর অজয়কুমার গুপ্ত জানান, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে হিট স্ট্রোকের উপসর্গ দেখা গিয়েছে। কেউ পেটের সমস্যায়, কেউ বমি বমি ভাব নিয়ে ভর্তি হয়েছেন, আবার কারও প্রচণ্ড জ্বরের উপসর্গ ধরা পড়েছে। অজয়কুমার বলেন, “গত বছরের তুলনায় এ বছরে গরমে অসুস্থের সংখ্যা ৪০-৪৫ শতাংশ বেড়েছে।”
গত দু’দিনে দিল্লি এবং নয়ডায় হিট স্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নয়ডায় তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিল্লি এবং এনসিআরে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। ঠান্ডা হাওয়ার কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে ২৩ জুন থেকে তাপমাত্রা আবার বাড়বে এবং তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসও রয়েছে। ২৪ এবং ২৫ জুন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা জনসাধারণকে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন। গরমের মধ্যে বাড়ির বাইরে না যাওয়ার এবং পর্যাপ্ত জল পানের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।