দেশ
২০২০: ভারতের সব থেকে বিতর্কিত ১০টি রাজনৈতিক বিষয়

খবর অনলাইন ডেস্ক: করোনা-কোভিড করেই কেটে যাচ্ছে প্রায় পুরো একটা বছর। সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক-শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকলেও রাজনৈতিক আকচাআকচির ঘাটতি দেখা যায়নি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশে। সেগুলির অন্যতম ১০টিতে ফের এক বার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
১. দিল্লি দাঙ্গা

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে একের পর এক দাঙ্গা এবং হিংস্রতার ঘটনা শুরু হয়। একটি সূত্রের দাবি, এই ঘটনায় ৪৯ জন নিহত হন এবং প্রায় ২০০ জন আহত হন। নেপথ্যে ছিল নাগরিকত্ব সংশোধন আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) এবং জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধক (এনপিআর) সম্পর্কিত বিষয়গুলির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। দাঙ্গায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন বিধায়ক কপিল মিশ্রের বিরুদ্ধে।
২. লকডাউনে অভিবাসীদের সংকট

করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর খানিকটা অপরিকল্পিত ভাবেই লকডাউন ঘোষণা করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ২৩ মার্চ ঘোষিত ওই লকডাউনে সব থেকে বেশি দুর্দশার শিকার হতে হয় অভিবাসী শ্রমিকদের। ভিন রাজ্যে আটকে পড়ে মহাসংকটে পড়েন তাঁরা। কাজ নেই, খাদ্য নেই, নেই মাথা গোঁজার ন্যূনতম জায়গাও। পায়ে হেঁটে, পণ্যবাহী ট্রাকে করে বাড়ি ফিরতে গিয়ে পথিমধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অনেক। কেন্দ্র তাঁদের জন্য শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালু করলেও তা অনেকটাই দেরিতে। সেই ট্রেন পরিষেবা নিয়েও অব্যবস্থার অভিযোগ ঘিরে সংঘাত বাঁধে কেন্দ্র-রাজ্যের। কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির সমালোচনায় সরব হয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
৩. সুশান্ত সিং রাজপুত

১৪ জুন মুম্বইয়ের বান্দ্রায় নিজের ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের। আত্মহত্যা না কি পরিকল্পতি খুন, তা নিয়েই চলল বিতর্ক। মুম্বই থেকে রহস্য পৌঁছোলো সুশান্তের নিজের রাজ্য বিহারে। আসরে নামলেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। মুম্বই পুলিশ, বিহার পুলিশ হয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে (বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের আবেদনের ভিত্তিতে) তদন্তভার গেল সিবিআই-এর হাতে। বিহার বিধানসভা ভোটের আগে ‘জাস্টিস ফর সুশান্ত’ স্লোগান তুলল বিজেপি। এই ঘটনার রেশ ধরেই মাদক-কাণ্ডে জড়ালেন বলিউডের রথী-মহারথীরা।
৪. ভারত-চিন সংঘর্ষ

লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) গলওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিন সেনার সংঘাত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গড়ায়। ভারত-চিন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করে চিনের সেনাবাহিনী। ১৫ জুন রাতের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন ভারতীয় জওয়ান নিহত হয়েছিলেন বলে দাবি করেন ভারতীয় বাহিনীর কর্মকর্তারা। তবে দু’ পক্ষই বলছে, এই সংঘর্ষে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। এই ঘটনার রেশ ধরে ভারত-চিন কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। দেশের অভ্যন্তরেও তৈরি হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর।
৫. টলমল রাজস্থান

গত জুলাই-আগস্টে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে রাজস্থানে কম নাটক হয়নি। মনে করা হচ্ছিল যে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পথ অনুসরণ করে গেরুয়া শিবিরে ভিড়তে চলেছেন সচিন পাইলট। সহযোগী বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি পাড়ি দেন সচিন। তিনি দাবি করেন, তাঁর সমর্থনে রয়েছেন ১৭ জন বিধায়ক। বিধায়কপদ খারিজের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। ঝোপ বুঝে কোপ মারতে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসে বিজেপি। কিন্তু শেষমেশ সুবিধা করতে পারেনি। অন্য দিকে পাইলট সম্পর্কে অনেক কড়া শব্দ ব্যবহার করলেও গহলৌত তাঁর সঙ্গে সন্ধি করে নেন।
৬. রামমন্দিরের ভিতপুজো

৫ আগস্ট অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের বর্ণাঢ্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠান হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে। তিনি বলেন, “রামমন্দির অযোধ্যার অর্থনীতিকে বদলে দেবে”। অনুষ্ঠানে প্রায় ১৭৫ জন আমন্ত্রিতের মধ্যে ছিলেন ১৩৫ জন পুরোহিত এবং আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব। ৪০ কেজি ওজনের রুপোর ইট দিয়ে প্রতীকী ভাবে রামমন্দির নির্মাণের ভিস্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল এই বিতর্কিত জমি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ফের শুরু হল রামমন্দির নির্মাণের কাজ।
৭. কঙ্গনা বনাম মহারাষ্ট্র সরকার

মহারাষ্ট্রের শাসক শিবিরের সঙ্গে তীব্র সংঘাত, পালি হিলে তাঁর অফিস ভাঙা-সহ চমকদার ঘটনার উপর ভর করে খবরের শিরোনামে থাকলেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনাউত। কঙ্গনার ফ্ল্যাটে ‘অবৈধ’ নির্মাণ ভাঙতে তৎপর হয় শিবসেনা পরিচালিত বৃহন্মুম্বই পুরসভা, জল গড়ায় আদালতে। কঙ্গনাকে ভিডিয়ো বার্তায় এমনটাও বলতে শোনা যায়, “উদ্ধব ঠাকরে, তোর কী মনে হয়, ফিল্ম মাফিয়াদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমার ঘর ভেঙে বদলা নিবি! আজ আমার ঘর ভেঙেছে, কাল তোর অহংকার ভাঙবে”।
৮. হাথরস গণধর্ষণকাণ্ড

১৪ সেপ্টেম্বর মায়ের সঙ্গে বাড়ির কাছেই খেতে কাজ করছিলেন বছর উনিশের ওই তরুণী। অভিযোগ, উচ্চবর্ণের চার যুবক তাঁকে খেতের ভিতরে টেনে নিয়ে যায়। গণধর্ষণ করে আহত তরুণীকে ফেলে পালায় ধর্ষকরা। ক্ষতবিক্ষত তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হয় জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে। ২২ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে মারা যান তিনি। পরিবারের সদস্যদের আড়ালে রেখেই তরুণীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করে দেয় পুলিশ। হাথরসকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে প্রতিবাদে নামে আমজনতা থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। গত ১ অক্টোবর, ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও ফরেন্সিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে। সেখানে দেখা যায়, গণধর্ষণ তো নয়ই, ধর্ষণের প্রমাণও মেলেনি! গত ১৮ ডিসেম্বর ফরেন্সিক রিপোর্টের দাবি খারিজ করে দিয়ে সিবিআই জানিয়ে দেয়, হাথরসের তরুণী ধর্ষিতা হয়েছিলেন। ঘটনায় অভিযুক্ত চার জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং খুনের ধারায় মামলা করে সিবিআই।
৯. বিজেপির স্বস্তি বিহারে

অক্টোবর-নভেম্বরে হয়ে গেল বিহার বিধানসভা নির্বাচন। ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট ক্ষমতায় ফিরবে, না কি মহাজোট পরিবর্তন ঘটাবে, তা নিয়েই তৈরি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর মিলল ফলাফলে। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে এনডিএ জোটের দখলে ১২৫, মহাজোটের ঝুলিতে ১১০ এবং অন্যরা জয় পেল ৮টি আসনে। ফের এক বার মুখ্যমন্ত্রী হলেন নীতীশ কুমার। উল্লেখযোগ্য ভাবে, এনডিএ শরিক প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের দল এলজেপি এ বার জোটের বিরুদ্ধেই লড়ল।
১০. কৃষি আইন

গত সেপ্টেম্বর মাসের সংসদীয় অধিবেশেন পাশ হয়ে যায় তিনটি বিতর্কিত কৃষি বিল। সংসদে নাটকীয় ভাবে বিল পাশ হয়ে সেগুলি আইনে পরিণত হয়। নতুন আইনের বিরুদ্ধে নভেম্বরের শেষ দিক থেকে পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানের মতো বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে প্রতিবাদী কৃষকরা দিল্লির বিভিন্ন সীমানায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এই ইস্যুতেও ভারত বন্ধ-ও দেখেছে দেশবাসী। বিক্ষোভের জেরে কেন্দ্র সংশোধনে সম্মত হলেও নয়া তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা।
দেশ
ধর্ষককে বিয়ে করতে বলেননি, জানিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতির
বোবদের বক্তব্য তাঁর কথার পুরোপুরি ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে

খবরঅনলাইন ডেস্ক: তিনি কখনোই ধর্ষককে বিয়ে করার নিদান দেননি। শুধুমাত্র একটা প্রশ্ন করেছিলেন। কিন্তু তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে পরিষ্কার জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে।
গত সপ্তাহের সোমবার, ১ মার্চ বোবদের একটি বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তুমুল হইচই পড়ে যায়। দেশ জুড়ে নারী অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারীরা তীব্র সমালোচনা শুরু করেন বোবদের। বোবদেকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতেও বলা হয়।
যদিও বোবদের বক্তব্য তাঁর কথার পুরোপুরি ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতকে এমন ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে যাতে মনে হয়, মহিলাদের অসম্মান করেছে সুপ্রিম কোর্ট। অথচ এটা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ সুপ্রিম কোর্ট বরাবরই নারীদের সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করে এসেছে।’’
ধর্ষণের মতো অপরাধকে ‘লঘু’ করার চেষ্টা করেছে সুপ্রিম কোর্ট, এমনই অভিযোগ উঠেছিল দেশের প্রধান বিচারপতি বোবদের বিরুদ্ধে। গত সোমবার, ১ মার্চ, একটি ধর্ষণ মামলার রায় নিয়ে এই বিতর্কের সূত্রপাত। ওই মামলায় ধর্ষণে অভিযুক্ত মোহিত সুভাষ চবনের জামিনের আবেদনের শুনানি চলছিল আদালতে।
মহারাষ্ট্রের সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থার কর্মী মোহিতের বিরুদ্ধে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল। পকসো আইনে অভিযুক্ত মোহিতের বিরুদ্ধে ওই মামলার শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট মোহিতকে বলে, ‘‘যদি তুমি (ধর্ষিতকে) বিয়ে করতে চাও, আমরা সাহায্য করতে পারি। যদি না চাও, তবে তুমি তোমার চাকরি খোয়াবে। তোমাকে জেলেও যেতে হবে।’’
সুপ্রিম কোর্টে মামলাটির শুনানি চলছিল প্রধান বিচারপতি বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। মামলাটির শুনানিতে তিনি বলেন, ‘‘তুমি মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেছ। তবে আমরা তোমাকে জোর করছি না। কারণ সে ক্ষেত্রে পরে তুমি বলবে আদালত তোমাকে বাধ্য করেছে।’’ সুপ্রিম কোর্টের এই রায়েরই নিন্দায় সরব হয় দেশের বিভিন্ন মহল।
বিষয়টিকে নারীদের প্রতি অবমাননাকর আখ্যা দেন দেশের বিদ্বজ্জন ও নারীবাদীরা। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, ধর্ষণের মতো অপরাধকে কী ভাবে প্রধান বিচারপতি এ ভাবে ‘লঘু’ করে দেখাতে পারেন। তিনি কি বিয়েকে ধর্ষণের মতো অপরাধের ‘প্রতিকার’ হিসাবে প্রতিপন্ন করতে চাইছেন? বিষয়টির তীব্র নিন্দা করে প্রধান বিচারপতিকে ক্ষমা চাইতে বলেন তাঁরা। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে সই করেন ৫ হাজারের বেশি মানুষ।
এই সমালোচনা ওঠার পরেই প্রধান বিচারপতি বোবদে এ দিন পরিষ্কার বুঝিয়ে দিলেন তিনি কী বলতে চেয়েছিলেন।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
বিজেপিকে ভোট নয়, এটাই একুশের ডাক – কেন?

খবরঅনলাইন ডেস্ক: বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দফার শুরুতেই হুলস্থুল কাণ্ড ঘটল সংসদে। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এমন কাণ্ড হল শুরুতেই, যে রাজ্যসভার অধিবেশন সকালে শুরু হওয়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যে মুলতুবি করে দিতে হল।
সভার শুরুতে কংগ্রেসের সাংসদরা পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সংসদে বিতর্কের জন্য স্লোগান দিতে থাকেন। পেট্রল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের দাম লাফিয়ে বেড়েছে সাম্প্রতিক অতীতে। যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলের অনেক নেতানেত্রীকেই। সোমবার কলকাতায় পেট্রলের দাম ৯১.৩৫, ডিজেলের দাম ৮৪.৩৫। রান্নার গ্যাসের দাম ৮৪৫.৫০ টাকা।
রবিবার কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশের দিন মমতা উত্তরবঙ্গ সফরে হাতিয়ার করেন পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিকেই। সেখানে গ্যাসের সিলিন্ডারের কাট আউট নিয়ে মিছিল করেন। তার পর এই হারে দাম বাড়া নিয়ে সরাসরি বেঁধেন মোদীকে।
সোমবার সংসদের অধিবেশনের শুরুতেই দেখা গেল বিরোধীদের কণ্ঠেও রান্নার তেল ও গ্যাসের দাম বাড়া নিয়ে প্রতিবাদের এক সুর। যার জেরে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নায়েডুকে বলতে হল, ‘‘প্রথম দিনই আমি কোনো চরম পদক্ষেপ করতে চাই না।’’
তার আগে অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, বাকি বিষয় বাদ রেখে শুধু পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েই আলোচনা হোক। কিন্তু মল্লিকার্জুনের দাবি নস্যাৎ করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান।
এ দিকে ভোটের কথা মাথায় রেখে সংসদের অধিবেশন স্থগিত রাখার আবেদন জানান তৃণমূলের দুই সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ডেরেক চিঠিতে লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন সামনে। তাই সংসদের এই অধিবেশনে তৃণমূল সাংসদরা উপস্থিত থাকতে পারবেন না।” কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
টিকিট পেয়েও বিজেপিতে যাওয়ার জল্পনা, হাবিবপুর রাতারাতি প্রার্থী বদল করল তৃণমূল

খবরঅনলাইন ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে মহারাষ্ট্রের কোভিড পরিস্থিতি ততই খারাপ হচ্ছে। কার্যত লাগামছাড়া ভাবে সংক্রমণ বাড়ছে সেখানে। যদিও বাকি দেশের পরিস্থিতির আহামরি কিছু অবনতি হয়নি। গোটা দেশের নতুন রোগীর ৬০ শতাংশই এসেছে এই মহারাষ্ট্র থেকে। সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও ক্রমশ বেড়ে চলেছে উদ্বেগজনক ভাবে।
নতুন আক্রান্ত সাড়ে ১৮ হাজার
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ১২ লক্ষ ২৯ হাজার ৩৯৮। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৫৯৯ জন।
এ দিন ভারতে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৪৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ৪,২২৪ জন। বর্তমানে দেশে ১.৬৮ শতাংশ কোভিডরোগী চিকিৎসাধীন।
দৈনিক সংক্রমণের হারের ওঠানামা
দেশে দৈনিক সংক্রমণের হার এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। কিন্তু কয়েকটি রাজ্যের কারণে সামগ্রিক ভাবে সেটা বাড়তে শুরু করেছে। সোমবার দেশে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৬৪টি। এর ফলে দেশে দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৩.৪৫ শতাংশ।
এ দিকে ৮ মার্চ পর্যন্ত ভারতে মোট ২২ কোটি ১৯ লক্ষ ৬৮ হাজার ২৭১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর বিপরীতে এখন ৫.০৫ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এই সংক্রমণের হার আগামী দিনে আরও কমবে এই আশা করাই যায়।
সংক্রমণ কোথায় কেমন
গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ১৪১ জন। এই রাজ্যের সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে মাত্রাছাড়া জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে। তবে দেশের বাকি অংশে কিছুটা হলেও সংক্রমণ কমেছে। কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২১০০ জন, যা সেখানকার পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ারই লক্ষ্মণ।
এর বাইরে এখন সব থেকে বেশি চিন্তার কেন্দ্রবিন্দু পঞ্জাব (১,০৪৩), কর্নাটক (৬২২) এবং মধ্যপ্রদেশ (৪২৯)। রাজস্থান (১৭৬) এবং হরিয়ানাও (৩০৫) চিন্তা বাড়াচ্ছে। তবে পরিস্থিতির নতুন করে অবনতি হয়নি তামিলনাড়ু (৫৬৭), দিল্লি (২৮৬) এবং পশ্চিমবঙ্গে (১৮৮)।
সুস্থ হলেন ১৪ হাজারের একটু বেশি
তবে আক্রান্তের সংখ্যায় বৃদ্ধি আসা মানে স্বাভাবিক ভাবে ধীরে ধীরে সুস্থতার সংখ্যাতেও বৃদ্ধি আসা। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ২৭৮ জন সুস্থ হয়েছেন দেশে। এর ফলে দেশে এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হলেন ১ কোটি ৮ লক্ষ ৮২ হাজার ৭৯৮ জন। দেশে সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৬.৯৫ শতাংশ।
মৃতের সংখ্যা একশোর কম
মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ লাগামছাড়া ভাবে বাড়লেও মৃতের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কমই রয়েছে। এর ফলে দেশে মৃতের সংখ্যাও রেকর্ড করা হচ্ছে একশোর নীচেই। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের। এর ফলে এখনও পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৮৫৩ জন। দেশে এখন মৃত্যুহার ১.৪১ শতাংশ রয়েছে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
রাজ্যের পাঁচ জেলায় সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা দশের কম
-
রাজ্য3 days ago
কেন তড়িঘড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, সরব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য
-
রাজ্য2 days ago
লড়াই মুখোমুখি! নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
রাজ্য2 days ago
অস্বস্তি বাড়াচ্ছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ, কলকাতাতেও বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা
-
রাজ্য2 days ago
বিজেপির ব্রিগেড: বাংলা চায় প্রগতিশীল বাংলা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী