টানা দুই দিন ধরে চলা প্রবল বৃষ্টিতে তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবারও অবিরাম বৃষ্টির কারণে বন্যা পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন জায়গায় জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ফলে এই দুই রাজ্যের বেশ কিছু অংশে রেল ও সড়ক পরিবহনও ব্যাহত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সহযোগিতায় উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ মধ্য রেলওয়ে নেটওয়ার্কে জলাবদ্ধতার কারণে এখনও পর্যন্ত ১০০টিরও বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে এবং অন্যান্য কিছু ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার তেলেঙ্গানার আদিলাবাদ, নিজামাবাদ, রাজন্না সিরিসিলা, যাদাদ্রি ভূবনগিরি, ভিকারাবাদ, সাঙ্গারেড্ডি, কামারেড্ডি এবং মহবুবনগর জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হায়দ্রাবাদেও ভারী বৃষ্টির কারণে একাধিক এলাকায় জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে, এবং এই কারণে সোমবার শহরের সমস্ত স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
রহস্যে ঘেরা লাল গ্রহ মঙ্গলের অজানা দিক প্রকাশ্যে আনলেন ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীরা
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী এ রেভন্থ রেড্ডি একটি জরুরি পর্যালোচনা বৈঠক করেন এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। তিনি বন্যা কবলিত এলাকাগুলিতে অবিলম্বে ত্রাণ কাজ চালানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং সাধারণ মানুষকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে বাড়ি থেকে না বের হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির মধ্যে একটি। রবিবার বুদামেরু নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে শহরের অনেক এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু বিজয়ওয়াড়ার আজিত সিংহ নগর এলাকা পরিদর্শন করেন এবং বন্যা কবলিত মানুষদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন।
আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা অনুযায়ী, অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম, বিজয়নগরম, পার্বতীপুরম মন্যম, অলুরি সীতারামা রাজু, কাকিনাডা এবং নন্দ্যালা জেলাগুলিতে সোমবার ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।