মায়ানমারের অনলাইন প্রতারণা চক্র থেকে মুক্ত হয়ে প্রায় ৩০০ ভারতীয় দেশে ফিরলেন। থাইল্যান্ড হয়ে সোমবার তাঁরা দেশে ফেরেন বলে এএফপি সূত্রে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় আরও ২৫৭ জন ভারতীয়কে দেশে ফেরানো হবে।
সম্প্রতি মায়ানমারে চিন পরিচালিত একাধিক স্ক্যাম সেন্টারে আন্তর্জাতিক তদন্তের পর বড়সড় ধরপাকড় শুরু হয়েছে। এই প্রতারণার কেন্দ্রগুলি মূলত মায়ানমারের আইনশৃঙ্খলাহীন সীমান্ত অঞ্চলে গড়ে উঠেছে, যেখানে বিদেশি কর্মীদের অনলাইন জালিয়াতি কাজে ব্যবহার করা হয়। প্রেম ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়।
ভারতীয় দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে ২৬৬ জন পুরুষ ও ১৭ জন নারীকে সাতটি বাসে করে থাইল্যান্ডের মে সট বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের সঙ্গে অতিরিক্ত তিনটি বাসে তাঁদের মালপত্র পাঠানো হয়। ভারত সরকার সি-১৭ পরিবহন বিমান পাঠিয়ে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে এনেছে।

অন্যদিকে, চিন ইতিমধ্যেই ২,০০০-এর বেশি নাগরিককে দেশে ফিরিয়েছে। তবে চিন কর্তৃপক্ষ তাঁদের দেশে ফেরার পরই হাতে হাতকড়া পরিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
প্রতারণার শিকার হওয়া অনেকেই জানান, তাঁদের ভালো চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মায়ানমারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে সেখানে জোর করে প্রতারণার কাজে বাধ্য করা হয়। কাজ করতে না চাইলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা এই প্রতারণার শিকার হয়েছেন। মায়ানমারে পরিচালিত এই চক্রের বিরুদ্ধে ভারত ও চিনসহ একাধিক দেশ যৌথভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে এখনো বহু মানুষ প্রতারণার শিকার হয়ে সীমান্ত অঞ্চলে আটকে রয়েছেন।