ওয়েবডেস্ক: তেলঙ্গানার শাদনগরের স্থানীয় আদালত তরুণী পশু চিকিৎসককে খুনের ঘটনায় চারজন অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল।
সাইবারবাদ পুলিশ ধর্ষণ ও খুনের মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার চারজনকে গ্রেফতার করেছিল। এ দিন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয় মহম্মদ আরিফ (২৫), জলু শিব (২০), জলু নবীন (২০) এবং চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশবুলু (২০)। ট্রাকের ড্রাইভার হিসাবে কাজ করা মহম্মদ আরিফ এই মামলার মূল অভিযুক্ত।
এ দিন তেলঙ্গানার রঙ্গা রেড্ডি জেলা আইনজীবী কাউন্সিল একটি নোটিশ জারি করে। যাতে বলা হয়েছে, তেলঙ্গানার পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তের পক্ষে সংগঠনের কোনো আইনজীবী সদস্য দাঁড়াবেন না।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, “কার্যনির্বাহী কমিটি মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য তাৎক্ষণিক বিচার চেয়ে তেলঙ্গানা সরকারকে একটি পৃথক বিশেষ আদালত প্রতিষ্ঠার দাবি জানাচ্ছে”।
প্রসঙ্গত, হায়দরাবাদের রঙ্গারেড্ডি জেলার ছাদনপল্লী গ্রামের আন্ডারপাস থেকে ২৬ বছরের তরুণী পশু চিকিৎসকের দেহ মিলেছিল। সামসাবাদের বাসিন্দা ওই চিকিৎসক গাচ্চিবাউলি এলাকার একটি ক্লিনিকে গিয়েছিলেন। তাঁকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর খুন করে দুষ্কৃতীরা। তারপর পুড়িয়ে দেয় দেহ। এর পরই পশু চিকিৎসক খুনে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

তোন্ডুপল্লি টোলপ্লাজায় স্কুটার পার্ক করেন তিনি। ক্যাবে চড়ে ক্লিনিকে যান তরুণী পশু চিকিৎসক। সেখান থেকে ঘুরে এসে দেখেন তাঁর স্কুটারের চাকা পাংচার হয়ে রয়েছে। পাশে একটি ট্রাকে দুষ্কৃতীদের দেখতে পান তিনি। তার পরেই নিজের বোনকে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। তাঁর স্কুটারের চাকা যে অপহরণের উদ্দেশ্য নিয়েই পাংচার করা হয়েছিল, সে বিষয়ে নিশ্চিত পুলিশ।
পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় গোটা দেশে যখন নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। অপরাধীর কঠিনতম শাস্তি প্রার্থনা করে তেলঙ্গানা-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মিছিল করেন প্রতিবাদীরা।