২০ ফুটের ওপরে মানব পিরামিড তৈরি করে দহি হান্ডি উদযাপন করার আর্জি জন্মাষ্টমীর প্রাক্কালেই নাকচ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মুম্বইয়ের শহরতলি ঠানেতে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ৪৯ ফুট ছুঁল মানব পিরামিডের উচ্চতা।এই জন্মাষ্টমী উদযাপনের উদ্যোক্তা অবিনাশ যাদব অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি যা করেছেন, সবটাই মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরের আদেশ মেনে। টি-শার্টে জ্বল জ্বল করছে মারাঠি ভাষায় দেওয়া বার্তা, ‘আমরা আইন ভাঙবই’। উদ্ধত অবিনাশ এ-ও বললেন, “আমরা আমাদের উৎসব কী ভাবে উদযাপন করব, তা সুপ্রিম কোর্ট কখনওই ঠিক করে দিতে পারে না।” এই আইন ভেঙে জেলে যেতেও রাজি অবিনাশ।
রাজ ঠাকরে তাঁর কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, জন্মাষ্টমী পালন হবে ঠিক সে ভাবেই, যে ভাবে তাঁরা করতে চেয়েছিলেন। তাই একে একে সুপ্রিম কোর্টের প্রতিটা আইন ভাঙতে থাকা হয়। পিরামিডের উচ্চতা ছোঁয় ৩৫ ফুট। গান বাজানো হয় ১০০ ডেসিবেলে, যা মুম্বইয়ের মতো শহরে বেঁধে দেওয়া মাত্রার দ্বিগুণ। কোথায় একটা ফাঁক থেকে গেল না ? না, সেটুকুও রাখেননি অবিনাশ যাদব এবং তাঁর কর্মীরা। ছোট্ট শিশুগুলো বুঝি বাদ পড়ে যাবে এই বীভৎস আনন্দ থেকে? তা কি হয়? সুপ্রিম কোর্ট যে নাবালকদের অংশগ্রহণ বন্ধ করেছে নিয়ম করে। তাই শিশুদের তো চাইই চাই!
গত বছর এই দহি হান্ডি উদযাপন করতে গিয়েই মহারাষ্ট্রে প্রাণ হারান এক জন, আহত হন প্রায় ৩০০ জন। পিরামিড থেকে পড়ে আহত হয় বহু শিশুও। তার পরেই মানব পিরামিডের সর্বাধিক উচ্চতা বেঁধে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এ বছর জন্মাষ্টমীর আগে থেকেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তুলে নেওয়ার আবেদন করা হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আবেদন নাকচ করে বলে দহি হান্ডি আমাদের দেশকে অলিম্পিক মেডেল তো দিচ্ছে না, তা হলে এত ঝুঁকি কীসের জন্য? মেডেল নয়, লক্ষ্য আসলে বিশ্ব রেকর্ড। কয়েক বছর আগে ৪৩ ফুটের মানব পিরামিড বানিয়ে গিনেস বুকে নাম তুলেছিল মহারাষ্ট্রের এক দল। এ বার যে তাই টেক্কা দেওয়া চাই তাকে।
এবং বিকেল পর্যন্ত খবর, দহি হান্ডি ভাঙতে গিয়ে ইতিমধ্যেই ৪৯ জন ‘গোবিন্দা’ আহত হয়েছেন।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।