দেশ
আয়করে এই ৫টি পরিবর্তন আসতে পারে এ বারের বাজেটে

ওয়েবডেস্ক: আগামী ৫ জুলাই ২০১৯-২০ বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। দ্বিতীয় ‘নরেন্দ্র মোদী সরকার’-এর প্রথম বাজেটে বড়োসড়ো পরিবর্তন দেখা দিতে পারে আয়কর পরিকাঠামোয়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সে সবই-
উচ্চ আয়কর ছাড় সীমা
ব্যক্তিগত ভাবে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বার্ষিক তিন লক্ষ টাকা করা হতে পারে বলে জানাচ্ছে ব্লুমবার্গের একটি সূত্র। বর্তমানে বার্ষিক আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কর ছাড় পাওয়া যায়। ক্লিয়ারট্যাক্স নামে অন্য একটি সংস্থার প্রতিনিধি অর্চিত গুপ্তা মনে করছেন, এ বারের বাজেটে করছাড়যোগ্য বার্ষিক আয়ের পরিমাণ তিন লক্ষ টাকা করা হতে পার। অর্থাৎ, মাসিক আড়াই হাজার টাকা বাড়তি করছাড় পাওয়ার প্রত্য়াশা করছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রথম বাজেটে এই করছাড় যোগ্য আয়ের পরিমাণ দুই লক্ষ টাকা থেকে প্রথমবার আড়াই লক্ষ করা হয়।
৮০সি ধারায় বিয়োগর পরিমাণ বৃদ্ধি
অর্থ মন্ত্রক ৮০সি ধারায় আয়করহীন স্চয়ের আয়তন বাড়াতে পারে বলেই ধারণা করছে ব্লুমবার্গ। তারা জানাচ্ছে, বর্তমানে বার্ষিক দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৮০সি ধারায় আয়করহীন স্চয় করার সুবিধা এ বারের বাজেটে আরও বাড়ানো হতে পারে। অন্য দিকে অপর একটি সূত্র বলছে, সমস্ত শ্রেণির রোগীর চিকিৎসার জন্য ৮০ডি ধারায় আয়তন ২৫-৩৫ হাজারের সীমাও বাড়তে পারে।
বর্তমানে মূল্যবৃদ্ধির দিকে তাকিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
এলটিসিজির উচ্চ সীমা
২০১৮ সালের বাজেটে ইক্যুইটিতে ১ লক্ষ টাকার উপর এলটিসিজি বা লং টার্ম ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্সের প্রবর্তন করেছিল এনডিএ সরকার। এ বারের বাজেটে ওই ঊর্ধবসীমা বাড়তে পারে। তালিকাভুক্ত ইক্যুইটি শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট থেকে প্রাপ্ত আয় যদি বছরে এক লক্ষ টাকা অতিক্রম করে তা হলে এই এলটিসিজি প্রদেয়।
করমুক্ত বন্ড পুনরায় চালু করা
২০১৯-২০ বাজেটে করমুক্ত বন্ডগুলি পুনরায় চালু করা নিয়ে বড়োসড়ো ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র। এই বন্ডগুলিকে করমুক্ত বলা হয়, কারণ এই বন্ডে বিনিয়োগ করা অর্থের উপর প্রাপ্ত আয় অথবা সুদ সম্পূর্ণ ভাবে করমুক্ত। সরকারি সংস্থার পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রয়োজনীয় অর্থ বাজার থেকে তুলতে এই বন্ড ছাড়া হয়। করমুক্ত বন্ডের মেয়াদ সাধারণত ১০ বছর বা তার বেশি। সড়ক প্রকল্পে সরকারের তৎপরতা বৃদ্ধিতে ন্যাশনাল হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ (এনএইচআইআই) এই সিদ্ধান্তের সুবিধাভোগী হতে পারে।
এনপিএসে আয়কর ছাড়
গত বছর ডিসেম্বরে এনপিএস থেকে তোলা টাকার উপর আয়কর ছাড়ের সীমা বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। এনপিএস থেকে তোলা টাকার ৬০ শতাংশ পর্যন্ত করছাড়ের সুযোগ নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছিল সরকার। এ বার হয়তো সম্পূর্ণ প্রত্যাহারই আয়কর ছাড়ের আওতায় চলে যেতে পারে।

নয়াদিল্লি: শনিবার টিকাকরণ কর্মসূচির প্রথম দিনে টিকা পেয়েছেন ১ লক্ষ ৯১ হাজার মানুষ। ঠিক পরের দিনই কংগ্রেসের তরফে প্রশ্ন তোলা হল, প্রত্যেক দেশবাসী, বিশেষ করে গরিব এবং সুবিধাবঞ্চিতদেরও বিনামূল্যে করোনা টিকা (Corona vaccine) দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তো কেন্দ্রীয় সরকারের?
মহামারি এবং করোনা সংক্রমণের তুলনামূলক ভাবে বেশি ঝুঁকি রয়েছে এমন কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত চিকিৎসক, নার্স, অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হচ্ছে করোনা টিকা কোভিশিল্ড (Covishield) এবং কোভ্যাক্সিন (Covaxin)।
কংগ্রেসের প্রশ্ন

কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা (Randeep Singh Surjewala) বলেন, “সরকার দাবি করছে প্রথম দফায় তিন কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। তবে দেশের বাকি মানুষের টিকাকরণ নিয়ে এখনও কোনো পরিকল্পনার কথা জানায়নি কেন্দ্র। তাঁরা কি বিনামূল্যেই এই টিকা পাবেন”?
তাঁর আরও প্রশ্ন, “সরকার এ বিষয়টি কি জানে, যে খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় ৮১.৩৫ কোটি মানুষ ভরতুকিতে রেশন পাওয়ার যোগ্য? তফসিলি (SC), তফসিলি উপজাতি (ST), অনগ্রসর (BC), অন্যান্য অনগ্রসর (OBC), দারিদ্র সীমার উপরে (APL), দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী (BPL)-দের মতো দরিদ্র এবং সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য সরকার কি বিনামূল্যে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করবে? হ্যাঁ অথবা না”?
চাই উত্তর

রণদীপ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে…কারা বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাবেন? ঠিক কত সংখ্যক মানুষ বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন পাবেন? কোথা থেকে সেই বিনামূল্যের ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে”?
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন তৈরি করেছে ভারতীয় সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট। অন্যদিকে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (ICMR)-এর সহায়তায় ভ্যাকসিন তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক। তাদের ভ্যাকসিনের জন্য সরকার কেন অতিরিক্ত ৯৫ টাকা খরচ করছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক।
তাঁর প্রশ্ন, “অ্যাস্ট্রাজেনেকা-সেরাম ইনস্টিটিউটের চেয়ে ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিনের দাম কি কম হওয়া উচিত নয়? কেন খোলা বাজারে ডোজ প্রতি করোনার ভ্যাকসিনের দাম এক হাজার টাকা?” তাঁর মতে, ভ্যাকসিন তৈরির খরচ এবং মুনাফার বিষয়ে সংস্থাগুলির কাছ থেকে সরকারের স্বচ্ছতা দাবি করা উচিত।
আরও পড়তে পারেন: প্রথম দিনে কোন রাজ্যে কতজন ভ্যাকসিন পেলেন
দেশ
দিল্লিতে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার কমে ০.৪৪ শতাংশ
অনেকটাই স্বস্তি! নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ২৯৫।

নয়াদিল্লি: শেষ ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে কোভিড-১৯ (Covid-19) আক্রান্তের সংখ্যা ২৯৫। ফলে দৈনিক সংক্রমণের হার ঠেকেছে ০.৪৪ শতাংশে। রবিবার এমনটাই দাবি করলেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (Satyendar Jain)।
বেশ কয়েক দিন ধরেই দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণের হার রয়েছে ১ শতাংশের নীচে। দৈনিক নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও রয়েছে ৫০ হাজারের উপরে।
তবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপের জন্য এখনও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়ে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই পরিসংখ্যান থেকেই “আমরা ধরে নিতে পারি যে দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় কোভিড-১৯-এর ‘তৃতীয় ঢেউ’ শেষ হয়ে গিয়েছে”।
এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সত্যেন্দ্র বলেন, শনিবার দিল্লির ৮১টি কেন্দ্র থেকে করোনা টিকা নিয়েছেন ৪ হাজার ৩১৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী। পরবর্তীতে টিকা কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭৫টি এবং ধারাবাহিক ভাবে বাড়িয়ে তা এক হাজার করা হবে। শনিবার টিকাকরণের পর এখনও পর্যন্ত ৫১ জনের মধ্যে টিকার বিরূপ প্রভাবের খবর পাওয়া গিয়েছে।
তিনি বলেন, ২২ বছরের এক স্বাস্থ্যকর্মী টিকা নেওয়ার পরে মারাত্মক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে এইমস-এ রেখে চিকিৎসা চলছে। তবে টিকা নেওয়ার ৩০ মিনিট পরেই একাংশকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, ৫১ শতাংশের উপর পর্যবেক্ষণ চলছে।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৩২ হাজার ১৭৯। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬ লক্ষ ১৮ হাজার ৭৫৪ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২ হাজার ৬৯১ জন কোভিডরোগী। মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৭৩৮ জনের।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৭৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে সারা দেশে। ফলে এ দিন দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ১.৯৪ শতাংশ।
আরও পড়তে পারেন: দৈনিক সংক্রমণ অপরিবর্তিত, সক্রিয় রোগী কমল দু’হাজারের উপর
দেশ
বার্ড ফ্লু: ভারতের ডিম, মুরগির বাচ্চা আমদানি নিষিদ্ধ করল বাংলাদেশ
চোরাপথেও যাতে এ সব প্রাণী দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর প্রশাসনকে সতর্ক করে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: ভারতের ১০টি রাজ্যে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অ্যাভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস (বার্ড ফ্লু) ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও ভাইরাসটির সংক্রমণ যাতে ছড়াতে না পারে সেই কারণে ভারতের সব ধরনের হাঁস-মুরগি, ডিম ও বাচ্চা আমদানি অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিষিদ্ধ করেছে সে দেশের সরকার। বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রক বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চোরাপথেও যাতে এ সব প্রাণী দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর প্রশাসনকে সতর্ক করে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রকের সচিব রওনক মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের কোনো জেলায় এখনও পর্যন্ত বার্ড ফ্লু-র সংক্রমণ দেখা যায়নি। এখানে খামারি বা ক্রেতার আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। ভারতের যে যে স্থানে বার্ড ফ্লু শনাক্ত হয়েছে, সেই সব জায়গা বাংলাদেশ থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূরে। এ ছাড়া ভারতও ওই সব এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে।
প্রাণীসম্পদ মন্ত্রকের সচিব বুলেন, মাঠকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কোনো প্রকার উপসর্গ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পূর্বের অভিজ্ঞতা তো রয়েছেই। আতঙ্কিত হয়ে হাঁস-মুরগি বা ডিম খাওয়া বন্ধ না করতে ভোক্তাদের অনুরোধ করেন এই আধিকারিক। তবে ভারতে রোগটি ছড়িয়ে পড়ার বার্তা পাওয়ার পরই বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাঁস-মুরগি-ডিম আমদানি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে মঙ্গলবারই আলাদা আলাদা করে তিনটি চিঠি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক ও বিভাগে পাঠানোর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়েছে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রকের তরফে।
ভারত থেকে কোনো ভাবেই যাতে মুরগির বাচ্চা, হাঁস-মুরগি, পাখি ও ডিম আমদানি করা না হয় সে জন্য বাণিজ্য মন্ত্রককে অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি অনুপ্রবেশ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জননিরাপত্তা বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সমুদ্র, নৌ এবং স্থলবন্দর দিয়ে মুরগির বাচ্চা, প্যারেন্টস্টক, হাঁস-মুরগি, পাখি ও ডিমের অনুপ্রবেশ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট বন্দর র্কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রককে অনুরোধ জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতেই মৈত্রী সেতু উদ্বোধনের সম্ভাবনা
-
রাজ্য1 day ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ2 days ago
করোনার টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হলে দায় নেবে না কেন্দ্র
-
দেশ2 days ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
প্রযুক্তি2 days ago
হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবে সেটিং করলে আপনার আলাপচারিতা কেউ দেখতে পাবে না এবং তথ্যও থাকবে নিরাপদে