দেশ
অসমে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ, বিপন্ন কাজিরাঙার বন্যপ্রাণও
কাজিরাঙা মৃত ৬৬ বন্যজন্তু

খবরঅনলাইন ডেস্ক: গত দু’ দিনের প্রবল বৃষ্টিতে অসমের (Assam Floods 2020) বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। নতুন করে দু’ জনের মৃত্যু হওয়ায় বর্তমানে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৮।
অসম স্টেট ডিজাজটার ম্যানেজমেন্ট অথোরিটি (ASDMA) জানিয়েছে, বন্যার প্রভাব পড়েছে রাজ্যের ৩০টি জেলায়। এই সব জেলায় মোট সাড়ে চার হাজার গ্রামে বন্যায় দুর্গত কমপক্ষে ৪৮ লক্ষ ৭ হাজার মানুষ।
বন্যায় সব থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ধেমাজি, লখিমপুর, বিশ্বনাথ, শোণিতপুর, চিরাং, উদালগুড়ি, গোলাঘাট, জোরহাট, মাজুলি, শিবসাগর, ডিব্রুগড়, তিনসুকিয়া জেলাগুলির। রাজ্যে জুড়ে ৪৮৭টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই বন্যা হচ্ছে অসমে। বর্ষার আগেই ঘূর্ণিঝড় উম্পুনের দাপটে তিন দিনের প্রবল বৃষ্টিতে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই বন্যার জল নামতে না নামতেই আবার ফের বন্যা দেখা দিল অসমে।
কাজিরাঙা মৃত ৬৬ বন্যজন্তু
বন্যার কারণে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে (Kaziranga National Park) ৬৬ বন্যজন্তুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে অসমের বন দফতর। জাতীয় উদ্যানের ডিরেক্টর পি শিবকুমার বলেন, “গত বেশ কয়েক বছরের মধ্যে এটাই কাজিরাঙায় হওয়া সব থেকে ভয়াবহ বন্যা। এখনও পর্যন্ত ৬৬ বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছেন। ১৭০টি প্রাণীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল কাজিরাঙায় আসবেন বলে জানিয়েছেন শিবকুমার।
দেশ
বার্ড ফ্লু: মাংস এবং ডিম ভালো ভাবে সেদ্ধ করে খাওয়ার পরামর্শ এফএসএসএআই-এর
অর্ধ সেদ্ধ ডিম এবং সঠিক ভাবে রান্না না করা মুরগির মাসং এড়িয়ে চলতে হবে।

খবর অনলাইন ডেস্ক: সারা দেশে বার্ড ফ্লু (Bird flu) ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ভারতের খাদ্য সুরক্ষা ও মানদণ্ড কর্তৃপক্ষ (FSSAI)) একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যেটিতে বলা হয়েছে, বার্ড ফ্লু চলাকালীন অর্ধ সেদ্ধ ডিম এবং সঠিক ভাবে রান্না না করা মুরগির মাসং এড়িয়ে চলতে হবে। এ ছাড়া মুরগির মাংস খোলা জায়গায় না রাখার কথাও বলা হয়েছে।
ভারতের খাদ্য সুরক্ষা গুণমান নির্ধারণের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের তরফে একই সঙ্গে বলা হয়েছে, বার্ড ফ্লু নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
কেন সতর্কতা?
সারা দেশের প্রায় ১০টি রাজ্যে বার্ড ফ্লু-এর হদিশ মিলেছে। দিল্লি-সহ অন্যান্য রাজ্যগুলিতে বার্ড ফ্লু সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণ মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। তবে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে হাঁস-মুরগির ডিম এবং মাংস খাওয়ায় কোনো সমস্যার কারণ নেই বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র। সে কথাই আবার এক বার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে এফএসএসএআই।
এক গুচ্ছ নির্দেশিকা অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে এফএসএসএআই। বলা হয়েছে, এই নির্দেশিকাগুলি অনুসরণ করলেই বার্ড ফ্লু থেকে যে কোনো রকমের বিপদ এড়িয়ে চলা সম্ভব।
[আরও পড়তে পারেন: বার্ড ফ্লু: অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ছড়াতে পারে মানুষের শরীরেও, সুরক্ষিত থাকার ৫টি উপায়]
হরিয়ানার পোল্ট্রি ফার্মে ২০ হাজার মুরগির মৃত্যু
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বার্ড ফ্লু আতঙ্কের মধ্যেই হরিয়ানায় কয়েক হাজার পাখি মারা গেছে। সেখানকার কোহুন্ড এলাকায় কৈলাশ পোল্ট্রি এবং ওম পোল্ট্রি ফার্মের পরে এখন রাওয়াল পোল্ট্রি ফার্মে প্রায় ২০ হাজার মুরগির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
পোল্ট্রি ফার্মের মালিকরা এই খবর জানানোর পর থেকেই আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের টিম শুধু পরিদর্শন করেই চলে যায় এবং পাখিদের রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ নেয় না। রাওয়াল পোল্ট্রি ফার্মের মালিক মদল লাল জানান, “আমাদের খামারে প্রায় ৫৫ হাজার মুরগি রয়েছে। যার মধ্যে ২০ হাজার মুরগি মারা গেছে”।
[আরও পড়তে পারেন: আতঙ্কিত হবেন না, শীতকালে বার্ড ফ্লু নতুন নয়: কেন্দ্র]

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ভারতে কোভিডে নতুন করে কত জন আক্রান্ত হচ্ছেন, সেটা এখন পুরোপুরি কেরলের ওপরে নির্ভরশীল। কেরলে যে হেতু আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য কমেছে, সে কারণে ভারতেও সংখ্যাটা আগের দিনের তুলনায় কমল। তবে চিন্তার বিষয় হল, সাড়ে ১৪ হাজার নতুন আক্রান্তের মধ্যে কেরলেই প্রায় সাড়ে ছ’ হাজার।
নতুন আক্রান্ত ১৫ হাজারের একটু বেশি
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৬ লক্ষ ২৫ হাজার ৪২৮। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৫৪৫ জন।
এ দিন ভারতে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৬৮৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী কমেছে ৩ হাজার ৬২০ জন। বর্তমানে দেশে মাত্র ১.৭৭ শতাংশ কোভিডরোগী বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
কী ভাবে লাগাম পড়ছে সংক্রমণে
সংক্রমণ কী ভাবে কমছে, সেটা সংক্রমণের হারটা দেখে বুঝতে হয়। বর্তমানে দেশে দৈনিক সংক্রমণের হার ২ শতাংশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। অর্থাৎ এখন দেশে প্রতি ১০০ টেস্টে দৈনিক আক্রান্ত হচ্ছেন গড়ে ২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ লক্ষ ২৪২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। ফলে এ দিন দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ১.৮১ শতাংশ। এ দিকে সামগ্রিক সংক্রমণের হার আরও কমছে।
২২ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতে মোট ১৯ কোটি ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর বিপরীতে এখন মাত্র ৫.৫৮ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এই সংক্রমণের হার আগামী দিনে আরও কমবে এই আশা করাই যায়।
সংক্রমণ কোথায় কেমন?
দেশে এখন সব থেকে বেশি দৈনিক সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে কেরলেই। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৬,৩৩৪ জন। দুশ্চিন্তা রেখে দৈনিক সংক্রমণের হারও দশ শতাংশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। অন্য দিকে, কেরলের পর সব থেকে বেশি সংক্রমণ মহারাষ্ট্রে (২,৮৮৬) হলেও সেখানে সংক্রমণের হার ছিল ৪ শতাংশের সামান্য বেশি।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে যে জায়গায় সংক্রমণ তিন অঙ্কে থাকলেও তুলনামূলক ভাবে বেশি ছিল সেগুলি হল কর্নাটক (৬৭৪), তামিলনাড়ু (৫৯৬), ছত্তীসগঢ় (৫৬০), গুজরাত (৪৭১) এবং পশ্চিমবঙ্গ (৪১২)।
সুস্থ হলেন ১৮ হাজার
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ২ জন সুস্থ হয়েছেন। এর ফলে দেশে এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ২ লক্ষ ৮৩ হাজার ৭০৮ জন। দেশে সুস্থতার হার বর্তমানে রয়েছে ৯৬.৭৮ শতাংশ।
সুস্থতার হারের নিরিখে দেশে শীর্ষ দশটি স্থানে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ (৯৯.৪০%), অন্ধ্রপ্রদেশ (৯৯.০২%), ওড়িশা (৯৯%), দাদরা ও দমনদিউ (৯৯.৮০%), ত্রিপুরা (৯৮.৭০%), মিজোরাম (৯৮.৩৪%), অসম (৯৮.৩১%), বিহার (৯৮.৩১%), আন্দামান (৯৮.৩০%), হরিয়ানা (৯৮.২০%)।
মৃতের সংখ্যা একটু বাড়ল
মৃতের সংখ্যাটি সামান্য বেড়ে, গত ২৪ ঘণ্টায় সেটা ১৬৩ হয়েছে। এর ফলে এখনও পর্যন্ত ভারতে মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৩২ জনের। ভারতে মৃত্যুহার বর্তমানে রয়েছে ১.৪৪ শতাংশ।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
শীত জোরালো হল দক্ষিণবঙ্গে, সোমবার থেকে সামান্য বাড়লেও ফেব্রুয়ারিতে ফের কমবে তাপমাত্রা
দেশ
কৃষি আইন স্থগিতের প্রস্তাব ফেরালেন কৃষকরা, প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড়
২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে ট্র্যাক্টর মিছিল হবেই, কৃষকরা অনড়!

খবরঅনলাইন ডেস্ক: কৃষকরা অনড়। আইন প্রত্যাহার ছাড়া অন্য কিছুতেই রাজি হবেন না তাঁরা। বৃহস্পতিবার কৃষকদের জেনারেল বডি মিটিংয়ের পর সংযুক্ত কিষান মোর্চার তরফ থেকে বলা হয় যে তারা সরকারের প্রস্তাব খারিজ করছে।
উল্লেখ্য, বরফ গলানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল যে আপাতত দেড় বছরের জন্য আইন চালু করা হবে না, তত দিন একটি কমিটি কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করবে ধারাগুলি নিয়ে। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে দিলেন কৃষকরা।
এই মর্মে একটি বিবৃতি পেশ করে কৃষক সংগঠনগুলি জানিয়েছে যে তিনটে আইনই প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে আইনি গ্যারান্টি দিতে হবে কেন্দ্রকে।
এই আন্দোলন চলাকালীন ১৪৩ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনগুলি। তাঁদের আত্মত্যাগ যাতে বৃথা না যায়, সেই জন্যই এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে ট্র্যাক্টর মিছিল করার দাবিতে অনড় কৃষকরা। কোনো ভাবেই দিল্লি পুলিশের অনুরোধ মানা হবে না, সে ব্যাপারেও এককাট্টা কৃষকরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার দশম দফার বৈঠকে কেন্দ্রের তরফ থেকে অবস্থান নরম করে বলা হয় যে আপাতত দেড় বছরের জন্য কৃষি আইনকে ঠান্ডা ঘরে পাঠাতে তারা প্রস্তুত যদি এই আন্দোলন বন্ধ করেন কৃষকরা। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিতেও রাজি ছিল কেন্দ্র।
কৃষিমন্ত্রী আশা করেছিলেন, এই প্রস্তাব মেনে নেবে চাষিরা। কিন্তু এ দিনের বৈঠকে এই প্রস্তাবের সঙ্গে সহমত হলেন না বিক্ষোভকারীরা। শুক্রবার ফের কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রের বৈঠক আছে। কিন্তু তাতে আদৌ কোনো সমাধানসূত্র বেরোবে কি না, সে বিষয়ে সন্দিহান সব পক্ষই।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
কর্নাটকের খাদানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত কমপক্ষে ৮, এলাকা জুড়ে ভূমিকম্প
-
রাজ্য3 days ago
বুধবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ
-
প্রবন্ধ3 days ago
শিল্পী – স্বপ্ন – শঙ্কা: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে যেমন দেখেছি, ৮৭তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য
-
দেশ2 days ago
রবিবার পর্যন্ত করোনাহীন ছিল লাক্ষাদ্বীপ, পরের দু’ দিনে পজিটিভ ১৫
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার3 days ago
৯১ হাজার ফ্রেশার নিয়োগ করতে পারে বৃহত্তম চার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা