দেশ
গাজিয়াবাদের কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত ৭
গাজিয়াবাদের মোদীনগর এলাকার ওই মোমবাতি কারখানায় আচমকাই বিস্ফোরণ হয় রবিবার

ওয়েবডেস্ক: দিল্লির পার্শ্ববর্তী শহর উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে (Ghaziabad) একটি মোমবাতি কারাখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হল কমপক্ষে সাত কর্মীর। আহত হয়েছেন চার জন।
গাজিয়াবাদের মোদীনগর এলাকার ওই মোমবাতি কারখানায় (candle factory) আচমকাই বিস্ফোরণ হয় রবিবার। বেলা ৩টে নাগাদ ওই বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানা গিয়েছে।
এ দিন দুপুরে আমচকা বিকট শব্দ শুনতে পান ওই মোমবাতি তৈরির কারখানার আশেপাশের বাসিন্দারা। তারপরই জানা যায় কারখানাতেই হয়েছে বিস্ফোরণ। তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ এবং দমকল।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) ঘটনার বিষয়টি জানার পরেই জেলা শাসক এবং সিনিয়র পুলিশ সুপারকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, যোগী ওই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার নেপথ্য কারণ অনুসন্ধানের কাজ চলছে।
দেশ
আপনি কি জানেন, মাইনে থেকে কেটে নেওয়া মাত্র ২৫ টাকাতেই পাওয়া যায় কয়েক লক্ষ টাকার সুবিধা?
হরিয়ানায় শ্রমকল্যাণ তহবিলে বেসরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে মাসিক ২৫ টাকা কেটে নেওয়া হয়

খবর অনলাইন ডেস্ক: আপনি কি শ্রমকল্যাণ তহবিলের কথা শুনেছেন। হরিয়ানা সরকারের এমনই একটি প্রকল্পে কর্মচারীর বেতন থেকে প্রতি মাসে ২৫ টাকা কেটে নেওয়া হয়। এর বিনিময়ে কয়েক লক্ষ টাকার প্রকল্পে সুযোগ পাওয়া যায়। তবে এটা ইএসআই অথবা মেডিক্লেম নয়। এটা রাজ্যের শ্রমকল্যাণ বোর্ডের তহবিল।
এতে কর্মচারী চশমা হোক বা সাইকেল কেনা থেকে শুরু করে চোয়াল এবং কৃত্রিম অঙ্গগুলি প্রতিস্থাপনের জন্যও আর্থিক সাহায্য পেতে পারেন।
শ্রম বিষয়ক বিশেষজ্ঞ বেচু গিরির বক্তব্য উদ্ধৃত করে নিউজ১৮-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসরকারী কর্মীদের আর্থিক সহায়তার জন্য সরকার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন ধরনের স্কিম রয়েছে। অনেক তহবিল রয়েছে, তবে সবচেয়ে বড়ো সমস্যা হল সাধারণ মানুষ এই সুবিধাগুলি সম্পর্কে সচেতন নন।
হরিয়ানায় শ্রমকল্যাণ তহবিলে বেসরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে মাসিক ২৫ টাকা কেটে নেওয়া হয়, কিন্তু কর্মীরা তা জানেন না বা সংস্থা বা কারখানাগুলিও কর্মীদের সে কথা বলে না। বহুবার দেখা গেছে যে কয়েক মাস কল্যাণ তহবিলে টাকা দেওয়ার পরে মাঝখানে বন্ধ করে দেওয়া হয়। যার কারণে কর্মী সুবিধা পান না। খুব স্বল্প পরিমাণে এর জন্য জমা দেওয়া হলেও কর্মীরা লক্ষ লক্ষ টাকার সুবিধা পেতে পারেন।
কর্মচারীরা কল্যাণ তহবিল থেকে বিভিন্ন রকমের সুবিধা
১. মেয়ের বিয়ে: ৫১ হাজার টাকা।
২. ভ্রমণের জন্য: প্রতি বছরে একবার বেড়াতে যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিটের দাম।
৩. সন্তানের উচ্চশিক্ষা: দু’টি ছেলে এবং তিনটি মেয়ের উচ্চশিক্ষার জন্য আর্থিক সাহায্য। নবম ও দশমের জন্য বার্ষিক চার হাজার, এমবিবিএস পর্যন্ত ১০-১৫ হাজার টাকার বার্ষিক সাহায্য়।
৪. সন্তানের টিউশনের জন্য: বাচ্চাদের টিউশন পড়ানোর জন্য চার হাজার থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকার পর্যন্ত পাওয়া যায়।
৫. কৃত্রিম অঙ্গ: কোনো পরিস্থিতিতে অঙ্গহানি ঘটলে এই তহবিল থেকে একটি বড়ো সুবিধা পাওয়া যায়। শ্রমকল্যাণ তহবিল কৃত্রিম অঙ্গগুলির জন্য পুরো অর্থ সরবরাহ করে।
৬. চশমা, কানের মেশিন, নকল দাঁত: দাঁতের সমস্যার কারণে কর্মচারীকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। কৃত্রিম চোয়ালের জন্য ৫০০০ টাকা, চশমার জন্য ১০০০ টাকা।
৭. সাইকেল, সেলাই মেশিন: সাইকেল কেনার জন্য দেওয়া হয় ৫০০০ টাকা এবং সেলাই মেশিনের জন্য ৩৫০০ টাকা।
৮. মুখ্যমন্ত্রী শ্রম পুরষ্কার: এই প্রকল্পের আওতায় কর্মীকে চার ধরনের পুরস্কার দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর শ্রম রত্ন পুরস্কারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, এক লক্ষ টাকা। এর পরে ৫০ হাজার, ২০ হাজার টাকার দু’টি মিলিয়ে আরও তিনটি পুরস্কার রয়েছে।
৯. মৃত্যুতে পরিবারকে সহযোগিতা: কোনো কর্মী কর্মস্থলে মারা গেলে তাঁর পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা এবং বাইরে মারা গেলে দুই লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।
এক সময় কাটা হতো এক টাকা
হরিয়ানা শ্রমকল্যাণ বোর্ডের (হরিয়ানা লেবার ওয়েলফেয়ার বোর্ড) নিয়ম অনুযায়ী, ২০০২ সালে শ্রমকল্যাণ তহবিলে কর্মচারীর বেতন থেকে এক টাকা কাটা হতো। একই সঙ্গে সংস্থা বা কারখানায় দ্বিগুণ অর্থাৎ, দু’টাকা জমা দিত কর্মচারীর নামে।
এর পরে, ২০০৭ সালের এপ্রিলে এই পরিমাণটি বাড়িয়ে কর্মচারীর জন্য পাঁচ টাকা এবং সংস্থার জন্য ১০ টাকা করা হয়। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে এটা ২৫ টাকা করে দেওয়া হয়। ও দিকে প্রত্যেক কর্মচারীর জন্য সংস্থা জমা দেয় ৫০ টাকা।
আরও পড়তে পারেন: হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবে সেটিং করলে আপনার আলাপচারিতা কেউ দেখতে পাবে না এবং তথ্যও থাকবে নিরাপদে
দেশ
বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতেই মৈত্রী সেতু উদ্বোধনের সম্ভাবনা
২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। সেতুর কাজ শেষ হয়েছে, এখন কেবল উদ্বোধনের পালা। সেই প্রতীক্ষায় দিন গুনছেন রামগড় ও সাবরুমবাসী।

ঋদি হক, রামগড়, খাগড়াছড়ি থেকে:
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষ পালনে ব্যাপক আয়োজন চলছে বাংলাদেশে। সঙ্গে রয়েছে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পালন। সব কিছু ঠিকঠাক চললে এবং পরিবেশ অনুকূল থাকলে বাংলাদেশের মহোৎসবে শামিল হওয়ার কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বিশ্বনেতাদের।
মুজিববর্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নানামুখী প্রকল্প ও কানেক্টিভিটি চলমান রয়েছে। দেশটির বিজয় দিবসের রেশ ধরে ১৭ ডিসেম্বর শুরু হয় চিলাহাটি-হলদিবাড়ি পণ্যবাহী রেলচলাচল। ৫৫ বছর পর। আসছে ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে চালু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-শিলিগুড়ি যাত্রীবাহী ট্রেন। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখতে একের পর এক রেলপথ, জলপথ, সড়কপথ চালু হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের ফেণী নদীর ওপরে নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী-১ সেতুটির উদ্বোধনের ঘণ্টায় বেজে যেতে পারে মুজিববর্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তীতেই।
মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ
মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ। এখন রংতুলির শেষ আঁচড় পড়ছে। বাংলাদেশের রামগড় পৌরসভার মহামুনি প্রান্ত থেকে ত্রিপুরার সাব্রুমের আনন্দপাড়া যেন আগলে রেখেছে মৈত্রী সেতুকে। অর্থনৈতিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে এই সেতুটির মাধ্যমে লালসবুজ ও তেরঙা পতাকার সম্মিলন ঘটতে যাচ্ছে মুজিববর্ষেই।
বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রায় তথা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পালন উৎসবেই বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ দ্বারোদঘাটনের সম্ভাবনার ইঙ্গিত মেলে। মুজিববর্ষেই বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কানেক্টিভিটি নেটওয়ার্কের আওতায় চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। চালু হয়েছে বাংলাদেশের দাউদকান্দি-ত্রিপুরার সোনামুড়া জলপথ। উত্তরের পথে মেঘনার বুক চিরে অসমের করিমগঞ্জে লালসবুজ-গেরুয়া পতাকা উড়িয়ে পণ্যবাহী জলযান গিয়েছে। চলতি বছরেই আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের কাজ সম্পন্ন হবে। জোরকদমে এগিয়ে চলছে কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেপথের কাজ। যেটি সরাসরি অসমের মহিষাসনের সঙ্গে যুক্ত হবে।
ভারত বাংলাদেশের পারস্পরিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে এ বার সেতুবন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছে রামগড়-সাবরুম মৈত্রী সেতু। বাংলাদেশের পাঁজরঘেষা উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যটির নাম ত্রিপুরা। অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকা রাজ্যটির সঙ্গে চলতি বছরেই চালু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু। উভয় দেশের প্রাধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সেতুর উদ্বোধন করবেন। এ নিয়ে ঊভয়দেশের উচ্চ পর্যায়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গিয়েছে।
রামগড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কী বলেন
রামগড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বপ্রদীপ কুমার কারবারী ‘খবর অনলাইন’কে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরত্ব থাকায় পণ্যবাহী লরি ত্রিপুরায় পৌঁছাতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ৫ ঘন্টা। এই সাশ্রয়ী পণ্যপরিবহনের সুযোগ ভোগ করবে উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সাধারণ বাসিন্দা। পাশাপাশি দু’ দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক প্রসারও ঘটবে। সুগম হবে দু’দেশের আর্থসামাজিক সম্পর্ক। সেতুটি ঘিরে এরই মধ্যে ত্রিপুরার সাবরুম এলাকায় গড়ে ওঠছে অর্থনৈতিক জোন। সেতুটির ৮০ শতাংশ পড়েছে বাংলাদেশ প্রান্তে।
বিশ্বপ্রদীপবাবু আরও জানালেন, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম গড়ে উঠতে যাচ্ছে অর্থনৈতিক হাব হিসেবে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, বে-টার্মিনাল, মেরিন ড্রাইভ মহাসড়ক, এ সব গড়ে ওঠার সুবিধাভোগী হবে উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলো। কারণ এখান থেকে দিনে দিনে পণ্য পরিবাহিত হতে পারবে রাজ্যগুলোতে। তাতে ভারতের পিছিয়ে পড়া রাজ্যগুলোর অর্থনৈতিক সুবিধা হবে। পাশাপাশি মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর সিঙ্গাপুর থেকে কাছে হওয়ায় তা ব্যবহার করতে পারবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও অন্য রাজ্যগুলো। অর্থনৈতিক সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে শেখ হাসিনার হাত ধরেই।
বিশ্বপ্রদীপবাবু জানান, পদ্মাসেতু হওয়ার ফলে বাংলাদেশের মংলা বন্দর ব্যবহার করে উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে পণ্যপরিবহনের ক্ষেত্র এখন অনেক সহজ হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা না হলে বাংলাদেশে কোনো দিন পদ্মাসেতু হত বলে মনে হয় না।
রামগড় পৌরসভার মেয়র কী বলেন
রামগড় পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, রামগড়ে মৈত্রীসেতু ঘিরে এখানে গড়ে উঠছে স্থলবন্দর। এতে করে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ছোঁয়া লাগবে পাহাড়ে। আয় বাড়বে পৌরসভারও। কানেক্টিভিটি হচ্ছে সভ্যতার প্রতীক এ কথা উল্লেখ মেয়র বলেন, বাংলাদেশকে ব্যবহার করলে ভারতের উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলোতে পণ্যপরিবহন সাশ্রয়ী হবে। সব মিলিয়ে আগামী দিনে রামগড়কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য যে পাখনা মেলবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এ জন্য রামগড়বাসীর তরফে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানান।
সরেজমিন রামগড় ঘুরে দেখা গেল সেতুটি চালুর অপেক্ষায় দিন গুণছেন রামগড় তথা পাশ্ববর্তী এলাকার সাধারণ মানুষ। সেতুকে ঘিরে সকলেই আবেগাপ্লুত। এরই মধ্যে গত ৬ জানুয়ারি জাপান উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) প্রতিনিধি দল মৈত্রী সেতুসহ সড়কে নির্মীয়মাণ সেতু-কালভার্ট পরিদর্শন করেন। এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর পরিদর্শন করে গেছেন ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার মো. জাবেদ হোসেন।
সেতু নির্মাণের দায়িত্বে এনএইচআইডিসিএল
ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েস অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তানিশ চন্দ্র আগারভাগ ইনপাকন প্রাইভেট লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে ৮২.৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রামগড়ের মহামুনিতে ২৮৬ একর জমির ওপর ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৪.৮০ মিটার প্রস্থের আন্তর্জাতিক মানের মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১২টি পিলার সংবলিত সেতুটির বাংলাদেশ অংশে নির্মাণ করা হয়েছে আটটি এবং ভারতের অংশে চারটি পিলার। যাতে স্প্যান রয়েছে ১১টি। এর বাংলাদেশ অংশে সাতটি ও ভারত অংশে চারটি। নদীর অংশে ৮০ মিটারের স্প্যান এবং নদীর দু’পাড়ের ৫০ মিটারের দুটিসহ মোট ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ তিনটি স্প্যানই হচ্ছে সেতুর মেন স্প্যান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি সফরকালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে রামগড়-সাবরুম স্থলবন্দর চালুর যৌথ সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশের মধ্যে ট্রানজিট সুবিধা, যাতায়াত ব্যবস্থা সহজতর করা এবং আমদানি-রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নামে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত সেতুটির শিলান্যাস করেন। ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। সেতুর কাজ শেষ হয়েছে, এখন কেবল উদ্বোধনের পালা। সেই প্রতীক্ষায় দিন গুনছেন রামগড় ও সাবরুমবাসী।
দেশ
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
১৯ জানুয়ারি প্রথম বৈঠক করবে সুপ্রিম কোর্টের গঠিত কমিটি।

নয়াদিল্লি: বিতর্কিত তিন কৃষি আইন নিয়ে শুক্রবার কেন্দ্র-কৃষক নবম দফার বৈঠক শেষ হল বিজ্ঞান ভবনে। তবে এ দিনেও কাটল না জট!
কৃষি আইন বাতিলের দাবি অনড় কৃষকরা, কেন্দ্র স্থির রয়েছে নিজের অবস্থানে। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর একাধিক বার জানিয়েছেন, সংশোধনের প্রস্তুত থাকলেও আইন বাতিলের পথে যাবে না কেন্দ্র।
এ দিন বৈঠক শুরুর আগে মন্ত্রী বলেন, আজকের বৈঠকে তিনটি কৃষি আইন নিয়ে আলোচনা হবে এবং সরকার আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবে।
কৃষি আইন খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সুপ্রিম কোর্ট (এক জন নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন)। সেই কমিটির প্রথম বৈঠক হবে ১৯ জানুয়ারি। ওই একই দিনে কেন্দ্র এবং কৃষকদের মধ্যে ফের বৈঠক হবে বেলা ১২টায়।
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী বলেন, “ভারত সরকার সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। যখন সুপ্রিম কোর্টের গঠিত কমিটি সরকারকে ডাকবে, আমরা তখন আমাদের মতামত তাদের কাছে জানাব”।
বৈঠকে উপস্থিত কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা

আলোচনায় যা উঠে এল
হরিয়ানার করনালের কাছে একটি গ্রামে গত রবিবার কৃষকদের উপর আক্রমণ এবং তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা দায়েরের ঘটনা নিয়ে সরব হলেন কৃষক প্রতিনিধিরা।
বৈঠকে অবধারিত ভাবেই কৃষক ইউনিয়নগুলি কৃষি আইন বাতিল করার জন্য চাপ অব্যাহত রাখে। অন্যদিকে কেন্দ্র জানায়, অচলাবস্থার কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে পরামর্শ চাইছে। তবে ইউনিয়নগুলির নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকলে সরকার “আরও আলোচনার জন্য চাপ দিতে পারে না”।
কৃষক নেতা রকেশ টিকাইত জানান, কৃষক সংগঠনগুলি এ দিনের বৈঠকে সরকারকে বলেছে, তারা সুপ্রিম কোর্টের গঠিত কমিটিকে গ্রহণ করবে না। এক মাত্র সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব।
আরও পড়তে পারেন: দিল্লি যাচ্ছেন শতাব্দী রায়, জিইয়ে রাখলেন অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা
-
বিদেশ3 days ago
১৯৫৩ সালের পর থেকে প্রথম কোনো মহিলার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল মার্কিন সরকার
-
শিল্প-বাণিজ্য3 days ago
ফের বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম!
-
বিনোদন3 days ago
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘অভিযাত্রিক’, সিনেমার ‘মাস্টার’দের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি
-
দেশ1 day ago
করোনার টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হলে দায় নেবে না কেন্দ্র