দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন আগে আম আদমি পার্টির (আপ) জন্য বড় ধাক্কা। দল ছাড়ার একদিনের মধ্যেই ৮ জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিলেন।
যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিলেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বন্দনা গৌর (পালাম), রোহিত মেহরৌলিয়া (ত্রিলোকপুরী), গিরীশ সোনি (মাদিপুর), মদনলাল (কস্তুরবা নগর), রাজেশ ঋষি (উত্তম নগর), বিএস জুন (বিজওয়াসন), নরেশ যাদব (মেহরৌলি) এবং পবন শর্মা (আদর্শ নগর)।
এর আগে মেহরৌলির বিধায়ক নরেশ যাদবকে প্রার্থী করেছিল আপ। কিন্তু পঞ্জাবে ধর্মগ্রন্থ অবমাননার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তিনি টিকিট ফিরিয়ে দেন। পরে দল তাঁকে সরিয়ে মহেন্দ্র চৌধুরীকে প্রার্থী করে। এরপরই নরেশ যাদব শুক্রবার বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে এই বিধায়করা দিল্লি বিধানসভার স্পিকারের কাছে নিজেদের ইস্তফাপত্র জমা দেন। পরে বিজেপির জাতীয় সহ-সভাপতি বিজয়ন্ত পাণ্ডা ও দিল্লি ইউনিটের সভাপতি বিরেন্দ্র সচদেবার উপস্থিতিতে তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেন।
নতুন সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে বিজয়ন্ত পাণ্ডা বলেন, “আজ এক ঐতিহাসিক দিন। তাঁরা আপদ (AAPda) থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর দিল্লিও আপের হাত থেকে মুক্তি পাবে।”
এর আগে পালামের বিধায়ক ভাবনা গৌর আপের জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে চিঠি লিখে জানান, তিনি কেজরিওয়াল এবং দলের উপর বিশ্বাস হারিয়েছেন। একই মত প্রকাশ করেন কস্তুরবা নগরের বিধায়ক মদনলাল।
আপ ইতিমধ্যেই দিল্লি নির্বাচনের জন্য তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। আদর্শ নগরে মুকেশ গোয়েল, জনকপুরীতে প্রবীণ কুমার, বিজওয়াসনে সুরেন্দ্র ভারদ্বাজ, পালামে যোগিন্দর সোলাঙ্কি, কস্তুরবানগরে রমেশ পেহলওয়ান এবং ত্রিলোকপুরীতে অঞ্জনা পারচাকে প্রার্থী করেছে আপ।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল দিল্লিতে টানা তৃতীয়বার সরকার গঠনের লক্ষ্যে লড়ছে, যেখানে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি গত ২৭ বছর ধরে দিল্লির ক্ষমতার বাইরে রয়েছে। কংগ্রেসও লড়াইয়ে রয়েছে তৃতীয় শক্তি হিসেবে।
দিল্লিতে ভোটগ্রহণ আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি। আর ভোট গণনা হবে ৮ ফেব্রুয়ারি।