দেশের বহু মানুষের কাছে এখনও পর্যন্ত ‘আধার’ কার্ড নেই, অথচ সেই সময়ে টেলিকম দফতর সিদ্ধান্ত নিল, এ বার থেকে নতুন সিম মিলবে ‘আধার’ কার্ডের নম্বর দিয়ে ই-কেওয়াইসি-র মাধ্যমে। সঙ্গে লাগবে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক প্রমাণ হিসাবে আঙুলের টিপ ছাপ। দফতরের দাবি, এই পদ্ধতি পরিবেশবান্ধব। এতে কাগজের ব্যবহার কমবে, ফলে বছরে ৫০ হাজার গাছ বাঁচবে।
ইউনিক আইডেনটিটি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ইউআইডিএআই)-এর হিসাব অনুযায়ী দেশের ৯৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের কাছে ‘আধার’ কার্ড পৌঁছে গেছে। কিন্তু এই পদ্ধতি চালু হয়ে গেলে যাঁদের কাছে আধার কার্ড এখনও অবধি পৌঁছয়নি তাঁদের কি সমস্যায় পড়তে হবে? উঠছে প্রশ্ন।
দফতর জানাচ্ছে, প্রতি বছর প্রায় আট কোটি মানুষ নতুন সিম নেন। চলতি ব্যবস্থায় এত মানুষের বিভিন্ন প্রমাণপত্রের জন্য কাগজের ২৪ কোটি পাতা খরচ হয়। এটা বন্ধ করা সম্ভব হবে নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে। এতে গাছ বাঁচবে, যা পরিবেশের জন্য উপকারী।
এই ঘোষণাতে বলা হয়েছে, পদ্ধতিতে অনলাইনেই গ্রাহকের যাবতীয় প্রমাণ দাখিল করতে হবে। ই-কেওয়াইসি-র মাধ্যমে তাঁদের ছবি, সই, জন্ম তারিখ, ঠিকানা, গ্রাহকের লিঙ্গ, আধার নম্বর ও বায়োমেট্রিক প্রমাণ দিতে হবে নির্দিষ্ট টেলিকম সংস্থাকে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে খরচ অনেকটা কমবে বলে মনে করছে দফতর। তবে সবার পক্ষে এই ই-পদ্ধতি অনুসরণ করা সম্ভব কতটা? সেটা সময়ই বলে দেবে।
তবে ইউআইডিএআই জানাচ্ছে, এই বিষয়ে এজেন্ট, ডিসট্রিবিউটার, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং যাবতীয় তথ্য যথাযথ ভাবে মিললে তার পর গ্রাহককে নতুন সিমের সংযোগ দেওয়া হবে। এই ডিজিটাল পদ্ধতির ফলে সংযোগ পাওয়া অনেক বেশি দ্রুত হবে।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।