ওয়েবডেস্ক: দ্বিতীয় মেয়াদে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য সরকার গঠনের দাবিতে শনিবার রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন মনোহরলাল খট্টর। দিল্লিতে অমিত শাহের নেতৃত্বে বিজেপি-জেজেপি মেলবন্ধনের পর ত্রিশঙ্কু হরিয়ানা বিধানসভায় সরকার গঠনে আর কোনো সমস্যা রইল না খট্টরের।
গত শুক্রবার থেকেই দিল্লিতে ছিলেন খট্টর, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরদিনই ত্রিশঙ্কু হরিয়ানা বিধানসভার কর্তৃত্ব বজায় রাখতে দেখা করেন বিজেপি কার্যকরী সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে। দিল্লিতেই জোট স্থির হয়ে যায় দুশ্যন্ত চৌতালার জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি)-র সঙ্গে । এর পরই দলের সভায় যোগ দিতে শনিবার সকালে চণ্ডীগড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন খট্টর। সেখানে এ দিন তিনি বিধানসভা দলের নেতা নির্বাচিত হবেন।
নেতা নির্বাচিত হওয়ার পরেই খট্টর জেজেপির সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে পরবর্তী সরকার গঠনের দাবি জানাবেন। কেন্দ্রী অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এবং বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং বিজেপি পরিষদীয় দলের সভায় পর্যবেক্ষক হিসাবে যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে।

বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এক সাংবাদিক বৈঠকে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর এবং জেজেপি সুপ্রিমো দুশ্যন্ত চৌতালার উপস্থিতিতে বলেন, “জনগণের আদেশের কথা মাথায় রেখে বিজেপি এবং জেজেপির নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে দু’টি দল এক সঙ্গে হরিয়ানায় সরকার গঠন করবে। মুখ্যমন্ত্রী হবেন বিজেপি থেকে এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী জেজেপি থেকে”।
বর্তমান শক্তি অনুযায়ী, ৯০ সদস্যের বিধানসভায় জোট সরকারের কর্তৃত্ব থাকবে ৫৭টি আসনে। এর মধ্যে বিজেপি ৪০,জেজেপি ১০টি এবং সরকারি দলের সঙ্গেই থাকছেন সাত জন নির্দল বিধায়ক।

সাংবাদিক বৈঠকে খট্টর বলেন, “স্থিতিশীল সরকার গঠনের জন্য, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে বিজেপি এবং জেজেপি হরিয়ানায় এক সঙ্গে চলবে। হরিয়ানা এর আগেও জোট সরকার দেখেছে। শনিবার এই জোট সরকারের কাজ শুরু হবে”।

অন্য দিকে চৌতালা বলেন, “হরিয়ানার রূপান্তর দরকার। বিজেপি এবং জেজেপি একত্রে হরিয়ানার উন্নয়ন মূলক কাজকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে এগিয়ে নিয়ে যাবে। উন্নয়ন এবং প্রগতিই আমাদের মূল লক্ষ্য। বাকি সিদ্ধান্ত রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর নেওয়া হবে”।