রাজ্যবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি মেনে ভারতের ব্রড গেজ রেল মানচিত্রে ঢুকে গেল ত্রিপুরা। রবিবার আগরতলায় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু যাত্রা সূচনা করেন আগরতলা-দিল্লি আনন্দবিহার টার্মিনাল ‘ত্রিপুরাসুন্দরী এক্সপ্রেস’-এর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়, মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মজিবুল হক-সহ ভারত আর বাংলাদেশের আরও বেশ কিছু আধিকারিক।
শুধু ত্রিপুরাই নয়, এই ট্রেনটির ফলে সুবিধা হল মণিপুর, মিজোরাম আর দক্ষিণ অসমের মানুষেরও। প্রথম বার ভারতের রেল মানচিত্রে ত্রিপুরার প্রবেশ ঘটে ২০০৮ সালে যখন অসমের বদরপুর থেকে মিটারগেজ রেললাইন আগরতলা পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ২২৭ কিমি দীর্ঘ সেই লাইনটিকে ব্রডগেজে রূপান্তরিত করার কাজ শেষ হয় এই বছরের গোড়ার দিকেই। এই কাজে মোট খরচ হয়ে ২০১৬ কোটি টাকা।
এই আনন্দ-উৎসবের সাক্ষী থাকতে আগরতলা স্টেশনে ভিড় জমিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। শঙ্খধ্বনিতে যাত্রা-সুচনার মুহূর্তকে স্মরণীয় করে তোলেন অনেকে। উত্তর সীমান্ত রেলের এক আধিকারিক জানান, “এই পরিকল্পনায় আপাতত খরচ হয়েছে ২০১৬ কোটি টাকা। লংথরাই উপত্যকা আর আথারামুড়া পাহাড়ে দু’টি বড় টানেল আর ২৩৩টি ছোটবড়ো ব্রিজ বানাতে হয়েছে”। প্রায় ২ কিমি দীর্ঘ লংথরাই টানেলটি পূর্ব ভারতে দীর্ঘতম রেল টানেল।
এই মুহূর্তে আগরতলা থেকে সাব্রুম পর্যন্ত ১১২ কিমি দীর্ঘ পথে ব্রডগেজ লাইন পাতার কাজ চলছে, যেটি ২০১৮-এর মার্চের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে বলে রেল মনে করে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, “আগরতলা-সাব্রুম ট্রেন শুরু হয়ে গেলে বাংলাদেশের বন্দর-শহর চট্টগ্রামের সাথে যোগাযোগ ব্যাবস্থা আরও সুবিধাজনক হয়ে যাবে।” সাব্রুম থেকে চট্টগ্রাম ৭৫ কিমি।
সাপ্তাহিক ত্রিপুরাসুন্দরী এক্সপ্রেসটি আগরতলা থেকে ছাড়বে প্রত্যেক বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোয় আর আনন্দবিহার পৌঁছবে শনিবার দুপুর ১টায়। ফিরতি ট্রেনটি আনন্দবিহার থেকে ছাড়বে প্রত্যেক সোমবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে আর আগরতলা পৌঁছবে বুধবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে। ট্রেনটি চলাচল করবে লামডিং-গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি-বারৌনি-মোগলসরাই-কানপুর হয়ে।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।