দেশ
নতুন নিয়মে খুলছে তাজমহল!
সৌধগুলিতে প্রবেশের জন্য প্রত্যেক দর্শনার্থীকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। প্রবেশ পথে থাকবে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা।

ওয়েবডেস্ক: প্রায় সাড়ে তিন মাস বন্ধ থাকার পর ফের খুলছে তাজমহল। সূত্রের খবর, কোভিড-১৯ মহামারির (Covid-19 pandemic) মধ্যেই আগামী ৬ জুলাই থেকে ফের দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হতে পারে।
আগরার (Agra) পর্যটন শিল্পের বৃহত্তম অংশ নির্ভরশীল তাজমহলের (Taj Mahal) উপরেই। ফলে তা খুলে দেওয়া হলে এই শিল্পে নতুন করে প্রাণসঞ্চার হতে পারে।
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (ASI) একটি সূত্র জানাচ্ছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের যাবতীয় পদক্ষেপ বজায় রেখেই আনলক-২ পর্বেই তাজমহল খুলে দেওয়ার আশা করা হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে।
কী ভাবে খোলা হবে?

দু’টি শিফটে খোলা হতে পারে তাজমহল। প্রত্যেক শিফটে সর্বাধিক পাঁচ হাজার এবং আড়াই হাজার করে দর্শনার্থীকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
একই ভাবে আগরা দুর্গেও সকালের শিফটে ১২০০ এবং দুপুরের শিফটে ১৩০০ দর্শনার্থীকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
সৌধগুলিতে প্রবেশের জন্য প্রত্যেক দর্শনার্থীকে অবশ্য়ই মাস্ক পরতে হবে। প্রবেশ পথে থাকবে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা। ভিতরের ঢোকার পরেও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আপাতত হাতে-হাতে টিকিটের পরিবর্তে ই-টিকিটিং ব্যবস্থাকেই বেছে নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
বন্ধ হওয়ার আগে

গত ১৭ মার্চ থেকে দর্শনার্থীদের জন্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় তাজমহল।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে দর্শনার্থীর সংখ্যা হু হু করে কমতে শুরু করে। লকডাউনে ধর্মীয়, পর্যটনস্থানগুলি বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি দর্শনার্থীর সংখ্য়া হ্রাসও একটা বড়ো কারণ।
বিদেশি পর্যটকদের ভিসার উপর কড়াকড়ি শুরু হওয়ার পর তাঁরা আর আগের মতো ভিড় জমাতেন না।
বন্ধ হওয়ার সপ্তাহে সার্বিক দর্শনার্থীর সংখ্যায় উল্লেখ্য়নীয় পতন ঘটে। রবিবার ছুটির দিনে যেখানে ২৫ হাজারের বেশি দর্শনার্থীর সমাগম হতো, সেখানে ওই সপ্তাহে দর্শনার্থীর সংখ্যা ঠেকে ১৩ হাজারে। অথচ শনিবার তা ছিল ১৫ হাজারের বেশি, বৃহস্পতিবার ১৬ হাজারের বেশি। অন্য দিকে রবিবার বিদেশি দর্শনার্থীদের সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ে তিন হাজারের কম-বেশি থাকলেও ওই সপ্তাহে তা হয় মাত্র ১২০০।
এক দিকে মারণ ভাইরাস নিয়ে দর্শনার্থীদের মনে সংশয় এবং অন্য দিকে বেশ কিছু কড়াকড়ি দর্শনার্থী সংখ্য়ায় ভাটার সৃষ্টি করে।
পর্যটনে খুশির খবর

টানা কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর ফের তাজমহল খোলার খবর শুনে আগরা টুরিস্ট ওয়েলফেয়ার চেম্বারের প্রেসিডেন্ট প্রহ্লাদ আগরওয়াল উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আগরা পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় চার লক্ষ মানুষ স্বস্তি পাবেন। আশা করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু হওয়ার পর পরিস্থিতি ধীরে হলেও আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসবে”।
অন্য দিকে টুরিজম গিল্ড অব আগরার চেয়ারম্যান হরি সুকুমার বলেন, “এই সিদ্ধান্ত সারা বিশ্বকে ইতিবাচক বার্তা দেবে-আগরা পর্যটকদের জন্য নিরাপদ”।
দেশ
স্বামী থাকতেও প্রেমিক খুঁজছেন ভারতের বিবাহিত মহিলারা! এটা কি খারাপ খবর?
ব্যভিচারের আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তাৎপর্যপূর্ণ রায়ের দু’বছর পরে পরিস্থিতিটা ঠিক কী রকম?

ওয়েবডেস্ক: ‘ব্যভিচার’ সব সময়েই একটি বহুল চর্চার বিষয়। সেটা হতে পারে আইনি অথবা নৈতিক দিক থেকে। তবে পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য প্রযোজ্য নিয়মগুলি বেশ কিছু ক্ষেত্রেই আলাদা ছিল। এ দেশের পুরুষরা নিজের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো অন্য কারও বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারতেন। কিন্তু অনুরূপ পরিস্থিতিতে কোনো নারীর এই অধিকার ছিল না পুরনো আইনে। তবে ব্যভিচার আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তাৎপর্যপূর্ণ রায়ের দু’বছর পরে পরিস্থিতিটা ঠিক কী রকম?
সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে একটা বড়ো অংশের মহিলা বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের পক্ষেই এবং তাঁদের বেশিরভাগই ইতিমধ্যে মা হয়েছেন।
কী বলছে সমীক্ষা?
এই সমীক্ষাটি করেছে ফ্রান্সের বিবাহ-বহির্ভূত ডেটিং অ্যাপ ‘গ্লিডেন’। এটা এমন একটা প্ল্যাটফর্ম, যা মহিলাদের জন্য তৈরি এবং মহিলারাই পরিচালনা করেন। বিশেষত নিরাপদ এবং বিচক্ষণ সম্পর্ক গড়ার হদিশ দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে অ্যাপটি। বর্তমানে ভারতে এই অ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ লক্ষ।
সমীক্ষকদের দাবি, সারা ভারত জুড়ে ৩০-৬০ বছর বয়সের শহুরে, শিক্ষিত এবং আর্থিক ভাবে স্বতন্ত্র মহিলাদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটেছে এই সমীক্ষায়। তাতে দেখা গিয়েছে, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক জড়ানো ৪৮ শতাংশ ভারতীয় মহিলা শুধু বিবাহিত-ই ছিলেন না, তাঁদের সন্তানও রয়েছে।
দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত ওই সমীক্ষা রিপোর্ট বলা হয়েছে, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে সমীক্ষায় অংশ নেওয়া এমন ৬৪ শতাংশ মহিলা জানিয়েছেন, যৌন সম্পর্কের ঘাটতির কারণেই তাঁরা এ ধরনের সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন।
পুরুষরা আরও বেশি ব্যভিচারী?
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে ভালোবাসার সন্ধানে ৭৬ শতাংশ মহিলা শিক্ষিত এবং আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী ছিলেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পাশ্চত্যের নারীদের মধ্যে এ ধরনের ‘আনুগত্যহীন’ হয়ে ওঠার প্রবণতা দেখা যায়। তবে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নারীর তুলনায় পুরুষরা আরও বেশি করে ব্যভিচারী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। ‘হোয়েন ইউ আর দ্য ওয়ান হু চিটস’-এর লেখক ট্যামি নেলসন বলছেন, “মহিলারা শুধু আরও প্রতারণা করছেন তা নয়, বরং প্রায়শই এখান থেকে পালিয়ে যেতেও পারেন”।
২০২০ সালে গ্লিডেনের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫৫ শতাংশ মানুষই মেনে নিয়েছেন তাঁরা নিজেদের সঙ্গীকে প্রতারণা করেছেন। এঁদের মধ্যে মহিলার হার ৫৬ শতাংশ। ২৫ থেকে ৫০ বছর বয়সি ১,৫২৫ জন বিবাহিত ভারতীয় নারী-পুরুষের মধ্যে পরিচালিত এই সমীক্ষায় ৪৮ শতাংশই স্বীকার করে নেন, একই সময়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেম করা সম্ভব।
হয়তো বা সংখ্যাতত্ত্বে বোঝানো যেতে পারে যে বিবাহিত মহিলাদের মধ্যে ব্যভিচার বাড়ছে। তবে অন্য গবেষণাগুলির তথ্যের সাহায্যে সংখ্যার পরিবর্তনটি আনুগত্যহীনতা সম্পর্কে পিতৃতান্ত্রিক মনোভাবের পরিবর্তনের প্রতিফলন ঘটাতে পারে।
দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন কী ভাবে?
আদতে পুরুষদের জন্য ‘ঐতিহ্য’গত ভাবে ছাড় থাকলেও মহিলাদের মধ্যে আনুগত্যহীনতা পুরোপুরি ‘নিষিদ্ধ’ ছিল। তবে ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট সর্বসম্মত ভাবে জানায়, ৪৯৭ ধারা অসাংবিধানিক, এবং ব্যভিচার আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়। শীর্ষ আদালত বলে, “ব্যভিচারকে কিছু সামাজিক পরিস্থিতিতে কারণ হিসেবে ধরা যেতে পারে, যেমন বিবাহ বিচ্ছেদ, কিন্তু তা কখনোই অপরাধমূলক বলে গণ্য হতে পারে না। ব্যভিচার নারীর নিজস্ব সত্তাকে আঘাত করে।”
শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, স্বামীরা সে অর্থে স্ত্রীর প্রভু নন। এই ধারণা পাল্টানোর সঙ্গেই মহিলারা বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও লিঙ্গবৈষম্য ঘোচানোয় জোর দিচ্ছেন। আইনগত পরিবর্তন, মহিলাদের যৌনতা সম্পর্কে সচেতনতা এবং তাঁদের দেহের প্রতি নিজের অধিকার নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
অন্তর্নিহিত সমস্যার লক্ষণ
আরও বেশি মহিলা প্রতারণা করছেন কি না, সম্ভবত সেটা আসল প্রশ্ন নয়। কিন্তু প্রশ্নটা হল, বিবাহিত দম্পতিদের কেন প্রতারণার প্রয়োজন? পুরুষরা বিশ্বজুড়ে মহিলাদের চেয়ে বেশি প্রতারণা চালিয়ে যান এবং এখনও তাঁদের বয়স বা অন্যান্য অবস্থান সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হয় না। ইউএস জেনারেল সোশ্যাল সার্ভে বলছে, ২০ শতাংশ পুরুষ নিজের স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। বিপরীতে স্ত্রীদের ক্ষেত্রে এই হার ১৩ শতাংশ।
মোদ্দাকথা, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক বেছে নেওয়ার নেপথ্যে রয়েছে শারীরিক এবং মানসিক ঘাটতি পূরণ। বৈবাহিক সম্পর্কে যেগুলিতে দু’জনেরই সমান অধিকার। ফলে ‘বিশ্বাসভঙ্গ’কে কারণ হিসেবে না দেখে অন্তর্নিহিত সমস্যার লক্ষণ হিসেবেই দেখছেন সমীক্ষকরা।
আরও পড়তে পারেন: শুধু স্ত্রী এবং সন্তানেরা নয়, ছেলের উপার্জনের ভাগিদার বাবা-মা, তাৎপর্যপূর্ণ রায় আদালতের
দেশ
ফের বাড়ছে উদ্বেগ! ৮টি রাজ্যেকে বিশেষ করোনা-পরামর্শ কেন্দ্রের
৬৩টি জেলা “উদ্বেগের কারণ” হয়ে উঠেছে।

খবর অনলাইন ডেস্ক: ফের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণের দৈনিক পরিসংখ্যান। শনিবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আট রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে বিশেষ পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
নমুনা পরীক্ষা, কোভিডরোগীদের চিহ্নিতকরণ এবং চিকিৎসা শুরুর প্রক্রিয়া কার্যকরের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। আটটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, গোয়া, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি এবং চণ্ডীগড়। এই রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে, নমুনা পরীক্ষা বাড়িয়ে সন্দেহজনকদের চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। একই সঙ্গে অত্যধিক সংক্রমণ প্রবণ এলাকায় টিকাকরণ কর্মসূচিতেও জোর দিতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, আটটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৬৩টি জেলা “উদ্বেগের কারণ” হয়ে উঠেছে। এই জেলাগুলিতে মোট পরীক্ষা হ্রাস পাচ্ছে, আরটি-পিসিআর পরীক্ষা কম হচ্ছে। অন্যদিকে সাপ্তাহিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলেছে, এই ঘটনা প্রতিবেশী রাজ্যগুলির জন্যও ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠতে পারে। সরকারি ভাবে দিল্লির ৯টি, হরিয়ানার ১৫টি, অন্ধ্রপ্রদেশে ১০টি, ওড়িশার ১০টি, হিমাচলপ্রদেশের ৯টি, উত্তরাখণ্ডের ৭টি, গোয়ার ২টি এবং চণ্ডীগড়ের ১টি জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, ইতিমধ্যেই পঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্রে উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হয়েছে। কোভিড -১৯ নজরদারি, নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগগুলিকে সহায়তা করার জন্যই ওই দলগুলি পাঠানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ১১ লক্ষ ৯২ হাজার ৮৮। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৩২৭। যা আগের দিন ছিল ১৬ হাজার ৮৩৮ জন।
আরও পড়তে পারেন: বাড়ল অস্বস্তি! এক ধাক্কায় ১৮ হাজারের উপর দৈনিক কোভিড আক্রান্ত
দেশ
নিজস্ব শিক্ষা পর্ষদ গঠন করছে দিল্লি, বড়ো ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের
দিল্লির মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হল প্রস্তাব। নিজস্ব বোর্ড গঠন করে সিবিএসই বোর্ডের অনুমোদন ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

খবর অনলাইন ডেস্ক: শনিবার একটি বড়োসড়ো ঘোষণা করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি এ দিন বলেন, জাতীয় রাজধানীতে এ বার নিজস্ব শিক্ষা পর্ষদ থাকবে। দিল্লির মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে।
কেজরিওয়াল জানান, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন করা দরকার। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে বেশ কিছু স্কুল নতুন বোর্ডের অধীনে পঠনপাঠন শুরু করবে।
বর্তমানে দিল্লিতে শুধুমাত্র সিবিএসই / আইসিএসই বোর্ড রয়েছে। তবে এখন অন্যান্য রাজ্যের মতো দিল্লিরও নিজস্ব শিক্ষা বোর্ড থাকবে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, এখন এ ধরনের শিক্ষা পরিকাঠামো তৈরি করা হবে যাতে পড়াশোনা করার পরে কর্মসংস্থানের জন্য চাপ না থাকে।
তিনি জানান, “আজ আমরা দিল্লির মন্ত্রীসভায় দিল্লি স্কুল অব এডুকেশন বোর্ড গঠনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছি। এটা কোনো গৌণ বোর্ড নয়। একটি শিক্ষাবোর্ড তৈরি করার জন্য এটা দরকার ছিল। কারণ গত ছ’বছরেই আমরা প্রতিবছর দিল্লির বাজেটের প্রায় ২৫ শতাংশ শিক্ষার জন্য ব্যয় করতে শুরু করেছি। সরকারি স্কুলের জন্য ভালো বাড়ি, ভাল শ্রেণিকক্ষ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা করা শুরু হয়েছে”।
রাজধানীতে এক হাজার সরকাররি এবং ১,৭০০টি বেসরকারি স্কুল রয়েছে। সমস্ত সরকারি এবং বেশিরভাগ বেসরকারি স্কুল সিবিএসই অনুমোদিত। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ভাবে ২০-২৫ টি সরকারি বিদ্যালয়কে নতুন রাজ্য শিক্ষা বোর্ডের আওতায় নিয়ে আসা হবে এবং সিবিএসই অনুমোদন ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
তবে যে স্কুলগুলিকে দিল্লির নিজস্ব শিক্ষা পর্ষদের আওতায় নিয়ে আসা হবে, সেগুলির অধ্যক্ষ, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে দিল্লি সরকার নিজস্ব শিক্ষা বোর্ড গঠন এবং পাঠ্যক্রম সংস্কারের জন্য পরিকল্পনা এবং পরিকাঠামো প্রস্তুত করার জন্য দু’টি কমিটি গঠন করেছিল।
আরও পড়তে পারেন: মহিলা ক্ষমতায়নের পথে ২০ বছর সঙ্গী বন্ধন ব্যাঙ্ক
-
রাজ্য1 day ago
পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
-
গাড়ি ও বাইক2 days ago
আরটিও অফিসে আর যেতে হবে না! চালু হল আধার ভিত্তিক যোগাযোগহীন পরিষেবা
-
ভ্রমণের খবর3 days ago
ব্যাপক ক্ষতির মুখে পর্যটন, রাঢ়বঙ্গে ভোট পেছোনোর আর্জি নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন
-
রাজ্য1 day ago
বিধান পরিষদ গঠন করে প্রবীণদের স্থান দেওয়া হবে, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বললেন মমতা