বৃহস্পতিবার অহমদাবাদের কাছে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০৪ জন। কিন্তু সেই দুর্ঘটনার মাঝেও আশ্চর্যজনকভাবে প্রাণে বেঁচে গেলেন একজন যাত্রী — রমেশ বিষ্বাসকুমার বুছারভাড়া।
৩৮ বছরের রমেশ ব্রিটেনের নাগরিক। তিনি ছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার AI171 নম্বর বিমানে এবং বসেছিলেন ১১A নম্বর সিটে, যা জরুরি নির্গমন পথের একেবারে পিছনের আসন। তাঁর এই অবস্থানের কারণেই তিনি রক্ষা পেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনার পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একটি ভিডিও, যেখানে রক্তাক্ত ও আহত অবস্থায় রমেশকে একটি অ্যাম্বুলেন্সের দিকে হাঁটতে দেখা যায়। পাশে থাকা লোকজন তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, বাকিদের কী হয়েছে। উত্তরে গুজরাটিতে তিনি বলেন, “বিমানটা বিস্ফোরিত হয়েছে… সবাই পেছনের দিকে রয়ে গিয়েছে।”
আহমেদাবাদ পুলিশ কমিশনার জি.এস. মালিক সংবাদসংস্থা ANI-কে জানান, “১১A সিটের এক যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কত জন মারা গিয়েছেন তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ বিমানটি আবাসিক এলাকায় ভেঙে পড়েছে।”
১১A: জরুরি নির্গমনের কাছেই আসন
Aerolopa নামক একটি অনলাইন বিমানের আসনের পরিকল্পনা সংক্রান্ত ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং 787-8 ড্রিমলাইনারে ১১A সিটটি ইকনমি ক্লাসের প্রথম সারিতে, ডানদিকে জানালার পাশে অবস্থিত। এটি বিমানের ডানদিকের জরুরি নির্গমন পথের একদম পিছনে, যা অনেক সময় বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
এই বিমানটি লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। তবে টেক-অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি ভেঙে পড়ে। রাডার তথ্য বলছে, বিমানটি মাত্র ৬২৫ ফুট উঁচুতে উঠতে পেরেছিল। এরপরই সেটি ভেঙে পড়ে B J মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রাবাস ভবনে।
বিমানটিতে মোট ২৪২ জন ছিলেন— ২৩০ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু সদস্য।
ঘটনার পরপরই এয়ার ইন্ডিয়া একটি হেল্পলাইন চালু করেছে। ভারতীয় নাগরিকদের জন্য হেল্পলাইন নম্বর: 1800 5691 444। বিদেশি নাগরিকদের জন্য নম্বর: +91 8062779200।