দেশ
বিনা বেতনে পাঁচ বছর পর্যন্ত ছুটি, কর্মীদের চিহ্নিত করতে কমিটি গড়ল এয়ার ইন্ডিয়া
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উপরোক্ত কর্মীদের চিহ্নিত করতে একটি কমিটি গড়ল সংস্থা।

নয়াদিল্লি: ‘অপ্রয়োজনীয় এবং উদ্বৃত্ত’ কর্মীদের পাঁচ বছর পর্যন্ত বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উপরোক্ত কর্মীদের চিহ্নিত করতে একটি কমিটি গড়ল সংস্থা।
ছ’মাস থেকে শুরু করে পাঁচ বছর পর্যন্ত নির্দিষ্ট শ্রেণীর কর্মীকে বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠাবে এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)। সংবাদ সংস্থা এএনআই একটি চিঠিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, “অপ্রয়োজনীয়/উদ্বৃত্ত’ কর্মীদের চিহ্নিত করতে এয়ার ইন্ডিয়া একটি কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটি আঞ্চলিক অধিকর্তাদের দফতরে আগামী ১১ আগস্টের মধ্যে রিপোর্ট জমা করবে”।
জানা গিয়েছে, কমিটিতে রয়েছেন জেনারেল ম্যানেজার (পার্সোনেল) , জেনারেল ম্যানেজার (ফিনান্স), ডিপার্টমেন্ট হেড এবং আঞ্চলিক অধিকর্তার একজন প্রতিনিধি। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে থাকছেন জেনারেল ম্যানেজার (পার্সোনেল), বাকিরা সদস্য। এই উচ্চ পর্যায়ের চার কর্তা নির্দিষ্ট শ্রেণীর কর্মীদের চিহ্নিত করবেন। রিপোর্ট সম্পূর্ণ হওয়ার পর তা আঞ্চলিক অধিকর্তার কাছে পাঠানো হবে। পরে যা চলে যাবে সদর দফতরে।
কাদের ‘নির্বাসনে’ যেতে হবে?
গত সপ্তাহে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি নির্দেশিকায় বলা হয়ে, উপযুক্ততা, দক্ষতা, যোগ্যতা, কার্য সম্পাদনের গুণমানের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট কর্মীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। এমনকি অসুস্থ অথবা আগে কাজ ছিল, কিন্তু বর্তমানে সেই পদের অস্তিত্ব নেই, এমন কর্মীদেরও শনাক্ত করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সদর দফতরের পাশাপাশি আঞ্চলিক দফতরগুলির পরিচালকদের উপরোক্ত বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে কর্মীদের মূল্যায়ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ১৪ জুলাইয়ের নির্দেশে লিভ উইদ আউট পে বা এলডব্লিউপির বিকল্প ব্যবহার করা যেতে পারে এমন ক্ষেত্রগুলিকেও চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।
আচমকা কেন এ ধরনের পদক্ষেপ?
এমনিতে কয়েক বছর ধরে লোকসানে জর্জরিত এয়ার ইন্ডিয়া। সংস্থার বেসরকারিকরণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় কেন্দ্রীয় সরকার। তার উপর করোনাভাইরাস লকডাউনের (Coronavirus lockdown) কারণে দেশের বিমান পরিষেবা ব্যবসায় চরম ধাক্কা লেগেছে। গত ২৪ মার্চের পর থেকে টানা কয়েক মাস আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ। লকডাউনের নিয়ম শিথিল হলেও নির্দিষ্ট সংখ্যক ঘরোয়া পরিষেবা শুরু হলেও তাতে চিঁড়ে ভেজার মতো নয়! ব্যয় কমাতে একাধিক বিমান সংস্থা কর্মী সংকোচন এবং বেতন হ্রাসের পথও ধরছে বলে জানা গিয়েছে।
দু’মাসের বিরতির পর গত ২৫ মে থেকে ঘরোয়া উড়ান চালু হয়। এ ক্ষেত্রে সর্বাধির ৪৫ শতাংশ পরিষেবার অনুমোদন দেওয়া হয় কোভিড-১৯ সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে। স্বাভাবিক ভাবেই উড়ান সংস্থাগুলির যাত্রী সংখ্যা বহন ক্ষমতার ৫০-৬০ শতাংশে পৌঁছেছে।
দেশ
Coronavirus Second Wave: মুম্বইয়ে সংক্রমণ থিতু হওয়ার ইঙ্গিতের মধ্যেই আজ রাত থেকে মহারাষ্ট্রে ‘জনতা কার্ফু’
মুম্বইয়ে সংক্রমণের হার ধীরে ধীরে কমছে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: পুরোপুরি লকডাউনের ঘোষণা করলেন না উদ্ধব ঠাকরে। বদলে জানিয়ে দিলেন আজ, বুধবার রাত থেকে মহারাষ্ট্র জুড়ে জারি হচ্ছে ‘জনতা কার্ফু।’ ১ মে সকাল ৭টা পর্যন্ত এই কার্ফু জারি থাকবে রাজ্যে। তবে এরই মধ্যে মুম্বইয়ে সংক্রমণের গ্রাফ কিছুটা থিতু হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যবাসীর উদ্দেশে ভাষণে উদ্ধব জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্র সরকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতিতে কাজ করে চলেছে। কিন্তু যে ভাবে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর প্রবল প্রভাব পড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওই বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘এখন রাজনীতি করার সময় নয়। প্রতিনিয়ত অক্সিজেনের চাহিদা বাড়ছে, হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা কমে আসছে, ওষুধের চাহিদাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। তাই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’ পুরো মহারাষ্ট্রেই জমায়েত রুখতে জারি করা হচ্ছে জনতা কার্ফু।
বিশেষ কারণ ছাড়া বাইরে বেরনোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি পরিষেবা, প্রতিষ্ঠান, কাজকর্ম বন্ধ রাখতে হবে। তবে চালু থাকবে জরুরি পরিষেবা। খোলা থাকবে থাকবে হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্বাস্থ্যবিমা অফিস, ওষুধের দোকান ও ওষুধ-কারখানা। স্যানিটাইজার, মাস্ক, টিকা সরবরাহ ও দেওয়ার কাজ চলবে সমান তালে। বিমান, ট্রেন, ট্যাক্সি, অটো, বাস চলবে। বন্ধ থাকবে শপিং মল, সিনেমা হল।
তবে রেস্তরাঁ থেকে শুধু খাবার কিনে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকবে। রাজনৈতিক সভা, বিয়ে বাড়ি ও শ্রাদ্ধের মতো অনুষ্ঠান করতে হবে নামমাত্র লোক নিয়ে। উদ্ধবের আশা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
এ দিকে মুম্বইয়ের পরিসংখ্যান একটু হলেও আশার আলো দেখাচ্ছে। সোমবার এই শহরে ৩৯ হাজার ৩৯৩টি টেস্টের বিপরীতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬ হাজার ৯০৫ জন। মঙ্গলবার ৪৯ হাজারের কিছু বেশি টেস্টের বিপরীতে সংক্রমিত হয়েছেন ৭ হাজার ৮৯৮ জন। অর্থাৎ সংক্রমণের হার যেটা সোমবার ছিল ১৭ শতাংশের ওপরে, সেটা মঙ্গলবার কমে হয়েছে ১৬.০১ শতাংশ।
পাশাপাশি, পর পর দু’দিনে শহরে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার কমেছে শহরে। এটাই এখন আশার আলো স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে। যদিও মহারাষ্ট্রের সামগ্রিক পরিস্থিতি এখনও যথেষ্ট খারাপ। গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
দেশ
অভিবাসী শিশুদের অবস্থা জানাতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
অপ্রত্যাশিত লকডাউন। সংকটে অভিবাসী পরিবার। শিশুদের সংখ্যা এবং মৌলিক অধিকার নিয়ে কেন নেই কোনো তথ্য?

নয়াদিল্লি: কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে অভিবাসী শিশুদের সংখ্যা এবং তাদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যগুলির কাছে রিপোর্ট চাইল। এ বিষয়ে যথাযথ দিকনির্দেশনা চেয়ে একটি আবেদন জমা পড়েছিল সর্বোচ্চ আদালতে। মঙ্গলবার সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই রাজ্যগুলিকে অভিবাসী শিশুদের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এএস বোপান্না এবং ভি রামসুব্রাহ্মণ্যমের বেঞ্চ এই মামলার পক্ষ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত সমস্ত রাজ্যকে এই বিষয়ে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রবীণ আইনজীবী জয়না কোঠারি আবেদনকারীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
শীর্ষ আদালত ৮ মার্চ সমস্ত রাজ্যে এটি কার্যকর করেছিল এবং কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে অভিবাসী শিশুদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য দিকনির্দেশনা চেয়ে চাইল্ড রাইটস ট্রাস্ট এবং বেঙ্গালুরুর বাসিন্দার দায়ের করা আবেদনে নোটিশ জারি করেছিল।
আবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংকটের তীব্রতার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার দেশব্যাপী লকডাউন জারি করেছিল। এই সময়ে অভিবাসী শিশুরা চরম ভাবে প্রভাবিত হয়, তাদের বড়োসড়ো ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হয়। অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হলেও অভিবাসী শিশু এবং মহিলাদের জন্য নেওয়া বিশেষ পদক্ষেপ সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। যারা সংশ্লিষ্ট জেলার বিভিন্ন ত্রাণশিবির এবং কোয়ারান্টিন সেন্টারে আটকে পড়েছিল।
আবেদনকারীর দাবি, অপ্রত্যাশিত লকডাউন অভিবাসী শিশুদের সামনেও সংকট ডেকে নিয়ে এসেছিল। তাদের মৌলিক এবং মানবাধিকার সংকটের মুখে পড়েছিল।
বিভিন্ন পঞ্চায়েত এবং ওয়ার্ড অফিসের মাধ্যমে নথিভুক্ত অভিবাসী পরিবারগুলির শিশুদের সংখ্যা এবং তাদের অবস্থার বিশদ তথ্য প্রকাশের নির্দেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আবেদনকারী।
আরও পড়তে পারেন: বাড়ির কাছাকাছি রেশন দোকান কোনটা, খুব সহজেই জেনে নিতে পারেন ‘মেরা রেশন’ মোবাইল অ্যাপ থেকে
দেশ
UP Panchayat Polls: শেষ মুহূর্তে ভোটার তালিকায় নাম বাদ! ক্ষোভ চরমে
ভোটের আগেই খেলা ‘শেষ’? শেষ মুহূর্তে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ অনেকের!

খবর অনলাইন ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, তালিকা থেকে নাম কাটার আগে ভোটার অথবা তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানাতে হয়। তবে উত্তরপ্রদেশ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে অনেক ক্ষেত্রেই এই নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটার আগে বিধি মেনে নোটিশ দেওয়া দূরের কথা,বুথ লেভেল অফিসার এ বিষয়ে না জানিয়েই নাম কেটে দিয়েছেন।
এই ঘটনার জেরে একটা বড়ো সংখ্যক ভোটার নিজের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে বিএলও থেকে তহসিল অফিসে যাতায়াত করছেন। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নাম অন্তর্ভুক্তির শেষ তারিখ অর্থাৎ, ৪ এপ্রিলের পর নতুন করে যেমন নাম বাতিল করা যাবে না, তেমনই নাম অন্তর্ভুক্ত করাও সম্ভব নয়।
এ ভাবে নাম কেটে ফেলার কারণে ভোটারদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই ভোটারদের ক্ষোভ ভোটের দিন যে কোনো জায়গায়ই ফুটে উঠতে পারে। অতীতেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটার তালিকায় গোলমাল ও তার জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশে।
উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গ্রামীণ পঞ্চায়েত, ক্ষেত্র পঞ্চায়েত এবং জেলা পঞ্চায়েতের জন্য ১৫, ১৯, ২৬ এবং ২৯ এপ্রিল চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৬ মার্চ ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভোট গণনা আগামী ২ মে।
তথ্যসূত্র: অমর উজালা
আরও পড়তে পারেন: Bengal Polls 2021: শীতলকুচি নিয়ে মন্তব্যের জেরে এ বার দিলীপ ঘোষকে নোটিশ নির্বাচন কমিশনের
-
ক্রিকেট1 day ago
IPL 2021: কাজে এল না সঞ্জু স্যামসনের মহাকাব্যিক শতরান, পঞ্জাবের কাছে হারল রাজস্থান
-
প্রবন্ধ2 days ago
First Man In Space: ইউরি গাগারিনের মহাকাশ বিজয়ের ৬০ বছর আজ, জেনে নিন কিছু আকর্ষণীয় তথ্য
-
দেশ2 days ago
Kumbh Mela 2021: করোনাবিধিকে শিকেয় তুলে এক লক্ষ মানুষের সমাগম, আজ কুম্ভের প্রথম শাহি স্নান হরিদ্বারে
-
ক্রিকেট2 days ago
IPL 2021: সাড়ে ৭টায় খেলা শুরু হওয়া নিয়ে তীব্র অসন্তুষ্ট মহেন্দ্র সিংহ ধোনি