ওয়েবডেস্ক: রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) অফিসিয়াল নির্দেশ অনুযায়ী জানা গিয়েছে, দক্ষতা, স্বাস্থ্য এবং অতিরিক্তের মতো বিভিন্ন কারণের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট শ্রেণির কর্মীদের শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁদের বিনা বেতনে (LWP) বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হবে।
ইকনোমিক্স টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, চেয়ারম্যান অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব বনশলের নেতৃত্বাধীন বিমান সংস্থাটির পরিচালন পর্যদ স্থির করেছে, এই ধরনের কর্মীদের শনাক্তকরণের পর তাঁদের ছ’ মাস অথবা দু’ বছরের (পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে) জন্য বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠানো হবে।
কাদের ‘নির্বাসনে’ যেতে হবে?
গত মঙ্গলবারের একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, উপযুক্ততা, দক্ষতা, যোগ্যতা, কার্য সম্পাদনের গুণমানের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট কর্মীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। এমনকি অসুস্থ অথবা আগে কাজ ছিল, কিন্তু বর্তমানে সেই পদের অস্তিত্ব নেই, এমন কর্মীদেরও শনাক্ত করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সদর দফতরের পাশাপাশি আঞ্চলিক দফতরগুলির পরিচালকদের উপরোক্ত বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে কর্মীদের মূল্যায়ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে, গত ১৪ জুলাইয়ের নির্দেশে এলডব্লিউপির বিকল্প ব্যবহার করতে পারে এমন ক্ষেত্রগুলিকেও চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।
নির্দেশে বলা হয়েছে, এ ধরনের কর্মীদের নামের তালিকা সদর দফতরে জেনারেল ম্যানেজার (পার্সোনেল)-কে পাঠাতে হবে। সেখান থেকেই প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেবেন সিএমডি।

তবে ইকনোমিক্স টাইমস-এর প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার মুখপাত্রের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলেও কোনো বিশদ মন্তব্য পাওয়া যায়নি। মুখপাত্র জানান, “আমরা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাই না”।
ধাক্কা লকডাউনের
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস লকডাউনের কারণে দেশের বিমান পরিষেবা ব্যবসায় চরম ধাক্কা লেগেছে। গত ২৪ মার্চের পর থেকে টানা কয়েক মাস আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ। লকডাউনের নিয়ম শিথিল হলেও নির্দিষ্ট সংখ্যক ঘরোয়া পরিষেবা শুরু হলেও তাতে চিঁড়ে ভেজার মতো নয়! ব্যয় কমাতে একাধিক বিমান সংস্থা কর্মী সংকোচন এবং বেতন হ্রাসের পথও ধরছে বলে জানা গিয়েছে।
দু’মাসের বিরতির পর গত ২৫ মে থেকে ঘরোয়া উড়ান চালু হয়। এ ক্ষেত্রে সর্বাধির ৪৫ শতাংশ পরিষেবার অনুমোদন দেওয়া হয় কোভিড-১৯ সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে। স্বাভাবিক ভাবেই উড়ান সংস্থাগুলির যাত্রী সংখ্যা বহন ক্ষমতার ৫০-৬০ শতাংশে পৌঁছেছে।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।