দেশ
নির্দিষ্ট শ্রেণির কর্মীদের বিনা বেতনে পাঁচ বছর পর্যন্ত ছুটিতে পাঠাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া!
গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিনা বেতনে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হবে ওই কর্মীদের।

ওয়েবডেস্ক: রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) অফিসিয়াল নির্দেশ অনুযায়ী জানা গিয়েছে, দক্ষতা, স্বাস্থ্য এবং অতিরিক্তের মতো বিভিন্ন কারণের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট শ্রেণির কর্মীদের শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁদের বিনা বেতনে (LWP) বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হবে।
ইকনোমিক্স টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, চেয়ারম্যান অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব বনশলের নেতৃত্বাধীন বিমান সংস্থাটির পরিচালন পর্যদ স্থির করেছে, এই ধরনের কর্মীদের শনাক্তকরণের পর তাঁদের ছ’ মাস অথবা দু’ বছরের (পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে) জন্য বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠানো হবে।
কাদের ‘নির্বাসনে’ যেতে হবে?
গত মঙ্গলবারের একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, উপযুক্ততা, দক্ষতা, যোগ্যতা, কার্য সম্পাদনের গুণমানের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট কর্মীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। এমনকি অসুস্থ অথবা আগে কাজ ছিল, কিন্তু বর্তমানে সেই পদের অস্তিত্ব নেই, এমন কর্মীদেরও শনাক্ত করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সদর দফতরের পাশাপাশি আঞ্চলিক দফতরগুলির পরিচালকদের উপরোক্ত বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে কর্মীদের মূল্যায়ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে, গত ১৪ জুলাইয়ের নির্দেশে এলডব্লিউপির বিকল্প ব্যবহার করতে পারে এমন ক্ষেত্রগুলিকেও চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।
নির্দেশে বলা হয়েছে, এ ধরনের কর্মীদের নামের তালিকা সদর দফতরে জেনারেল ম্যানেজার (পার্সোনেল)-কে পাঠাতে হবে। সেখান থেকেই প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেবেন সিএমডি।

তবে ইকনোমিক্স টাইমস-এর প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার মুখপাত্রের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলেও কোনো বিশদ মন্তব্য পাওয়া যায়নি। মুখপাত্র জানান, “আমরা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাই না”।
ধাক্কা লকডাউনের
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস লকডাউনের কারণে দেশের বিমান পরিষেবা ব্যবসায় চরম ধাক্কা লেগেছে। গত ২৪ মার্চের পর থেকে টানা কয়েক মাস আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ। লকডাউনের নিয়ম শিথিল হলেও নির্দিষ্ট সংখ্যক ঘরোয়া পরিষেবা শুরু হলেও তাতে চিঁড়ে ভেজার মতো নয়! ব্যয় কমাতে একাধিক বিমান সংস্থা কর্মী সংকোচন এবং বেতন হ্রাসের পথও ধরছে বলে জানা গিয়েছে।
দু’মাসের বিরতির পর গত ২৫ মে থেকে ঘরোয়া উড়ান চালু হয়। এ ক্ষেত্রে সর্বাধির ৪৫ শতাংশ পরিষেবার অনুমোদন দেওয়া হয় কোভিড-১৯ সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে। স্বাভাবিক ভাবেই উড়ান সংস্থাগুলির যাত্রী সংখ্যা বহন ক্ষমতার ৫০-৬০ শতাংশে পৌঁছেছে।
দেশ
উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা! অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির নিয়ে বড়োসড়ো সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
ইনজেকশন রেমডেসিভির রফতানি বন্ধের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র।

খবর অনলাইন ডেস্ক: অ্যান্টি-ভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভির (Remdesivir) রফতানি নিষিদ্ধ করল ভারত সরকার। করোনার তাৎপর্যপূর্ণ সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই রবিবার কোভিডরোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত এই ওষুধের রফতানি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
প্রতিদিন যে হারে কোভিড-১৯ ( Covid-19) আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড গড়ে চলেছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই ধারণা করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কেন্দ্র একটি বিবৃতিতে বলেছে, “পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া অবধি ভারত সরকার ইনজেকশন রেমডেসিভির এবং রেমডেসিভির অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান (এপিআই) রফতানি নিষিদ্ধ করেছে।”
সাতটি ভারতীয় সংস্থা মেসার্স গিলেড সায়েন্সের সঙ্গে স্বেচ্ছাভিত্তিক লাইসেন্স চুক্তির মাধ্যমে ইনজেকশন রেমডেসিভির তৈরি করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রকল্পে প্রতিমাসে প্রায় ৩৮.৮০ লক্ষ ইউনিট ইনজেকশন রেমডেসিভির তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে গিলেড সায়েন্সেসের।
দেশের আরও বেশি মানুষ যাতে রেমডেসিভির পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকার রেমডেসিভির উৎপাদনকারীদের উদ্দেশে বলেছে যে, তাদের মজুতদার এবং বিতরণকারীর বিশদ বিবরণ যেন নিজেদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়।
একই সঙ্গে ড্রাগ ইন্সপেক্টর এবং অন্যান্য অফিসারদের স্টক যাচাই করতে বলা হয়েছে। যে কোনো ধরনের ত্রুটি পরীক্ষা করার পাশাপাশি বেআইনি মজুত ও কালোবাজারি বন্ধ করতেও বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করী রবিবার মহারাষ্ট্রে ওষুধের ঘাটতি বিবেচনায় নাগপুরে ১০,০০০ ইনজেকশন দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য সান ফার্মার প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেন। গত ৯ এপ্রিল মধ্যপ্রদেশে ওষুধের জন্য দোকানের বাইরে লম্বা লাইন দেখা যায়। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও ওষুধ নাম পেয়ে অনেকেই বিক্ষোভ দেখান। রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ জানান ক্রেতারা।
জটিল রোগে আক্রান্ত বয়স্করা করোনা সংক্রমিত হলে তাঁদের রেমডেসিভির দেওয়া হয়। ন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট প্রটোকল ইতিমধ্যেই কোভিড-১৯-এর চিকিৎসায় রেমডেসিভিরকে তালিকাভুক্ত করেছে।
আরও পড়তে পারেন: Covid-19 Vaccine: অক্টোবরের মধ্যে আরও ৫টি কোভিড ভ্যাকসিন পাচ্ছে ভারত!
দেশ
Covid-19 Vaccine: অক্টোবরের মধ্যে আরও ৫টি কোভিড ভ্যাকসিন পাচ্ছে ভারত!
১০ দিনের মধ্যে অনুমোদন পেতে পারে আরও একটি ভ্যাকসিন!

খবর অনলাইন ডেস্ক: দৈনিক করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কোভিডবিধি মেনে চলার পাশাপাশি টিকাকরণ কর্মসূচির গতি বাড়াতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন ডোজের জোগান অব্যাহত রাখতে আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে আরও পাঁচটি সংস্থার ভ্যাকসিন পেতে চলেছে দেশ।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, বর্তমানে ব্যবহৃত কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের মতো টিকার সঙ্গেই আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে আরও পাঁচটি সংস্থার টিকা হাতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
আসছে যে ৫টি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন
সূত্রটি জানিয়েছে, “ভারতে বর্তমানে দুই ধরনের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন (Covid-19 vaccine) ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে একটি সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড (Covishield) এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন (Covaxin)। চলতি ২০২১ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের শেষ নাগাদ আরও পাঁচটি ভ্যাকসিন আমরা হাতে পেতে চলেছি”।
ওই সূত্রটি জানিয়েছে, যে নতুন পাঁচটি ভ্যাকসিন আসতে চলেছে, সেগুলি হল স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন (রাশিয়ার তৈরি, ভারতে তৈরি করছে ডা. রেড্ডিজ), জনসন অ্যান্ড জনসন ভ্যাকসিন (বায়োলজিক্যাল ই-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে), নোভাভ্যাক্স ভ্যাকসিন (সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে), জাইডাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিন এবং ভারত বায়োটেকের ইন্ট্রান্যাজাল ভ্যাকসিন।
ভ্যাকসিনগুলির সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা খতিয়ে দেখার কাজ প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। জরুরিকালীন ব্যবহারের অনুমোদন কর্তৃপক্ষ (EAU) দেশে ব্যবহৃত যে কোনো ভ্যাকসিনের সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা খতিয়ে দেখার পরেই অনুমোদন দেয়।
১০ দিনের মধ্যে অনুমোদন পেতে পারে একটি ভ্যাকসিন
বর্তমানে প্রায় ২০টি ভ্যাকসিন বিভিন্ন স্তরের পরীক্ষার পর্যায়ের রয়েছে। সূত্রটির দাবি, এগুলির মধ্যে সব থেকে প্রথমে স্পুটনিক-ভি অনুমোদন পাবে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী ১০ দিনের মধ্যেই জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেতে পারে স্পুটনিক-ভি।
আরও পড়তে পারেন: Corona Update: এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষ ছাড়াল
দেশ
লাফিয়ে বাড়ছে করোনা, নাইট কারফিউ-সহ একাধিক বিধিনিষেধ জারি হল উত্তরপ্রদেশে
পাঁচশোর বেশি সক্রিয় রোগী রয়েছে, এমন জেলায় আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।

খবর অনলাইন ডেস্ক: ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় জেলায় জেলায় নাইট কারফিউ এবং অন্য়ান্য বিধিনিষেধ জারি করল উত্তরপ্রদেশ সরকার।
রবিবার সরকারি বিবৃতিতে জানিয়ে দেওয়া হল, যে জেলাগুলিতে ৫০০-র বেশি সক্রিয় রোগী রয়েছেন, সেখানে নাইট কারফিউ কার্যকর করবে স্থানীয় প্রশাসন।
পাশাপাশি, ওই জেলাগুলিতে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠকে এই সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়।
বৈঠকে স্থির হয়, এই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ লক্ষ আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হবে।
শনিবার একটি পর্যালোচনা বৈঠকের পরে নবরাত্রি এবং রমজানের মতো আসন্ন উৎসবগুলিতে কোভিড মহামারি কার্যকর ভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য ধর্মীয় স্থানগুলিতে পাঁচ বা ততোধিক লোকের জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার।
হিন্দুদের দ্বারা উদযাপিত পবিত্র নবরাত্রি উৎসব এবং মুসলমানদের কাছে বছরের সব থেকে প্রতীক্ষিত রমজান ১৩ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে। তবে রমজানের তারিখটি স্থানীয় ভাবে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে।
রবিবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় উত্তরপ্রদশে নতুন করে করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা ১২ হাজার ৭৪৮। এই সময়ের মধ্যে সুস্থ ২ হাজার ২০৭ এবং মৃত্যু হয়ছে ৪৬ জন কোভিডরোগীর।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের রাজধানী লখনউতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪,০৫৯, এলাহাবাদে ১,৪৬০, বারাণসীতে ৯৮৩ এবং কানপুরে ৭০৬ জন।
আরও পড়তে পারেন: করোনা মোকাবিলায় কঠোর বিধিনিষেধ জারি হল দিল্লিতে
-
রাজ্য1 day ago
Bengal Polls Live: সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭৫ শতাংশের বেশি
-
ক্রিকেট2 days ago
IPL 2021: বলে ভেলকি হর্শল পটেলের, ব্যাটে জ্বলে উঠলেন ডেভিলিয়ার্স, বেঙ্গালুরুর কষ্টার্জিত জয়
-
দেশ1 day ago
Corona Update: রেকর্ড তৈরি করে দেড় লক্ষের দিকে এগিয়ে গেল দৈনিক সংক্রমণ, তবুও কম মৃত্যুহারে কিছুটা স্বস্তি
-
রাজ্য1 day ago
Bengal Polls 2021: বাহিনীর গুলিতে হত ৪, শীতলকুচি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়