উত্তরপ্রদেশের হাথরসে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২০ সালে হাথরসের এক দলিত তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনায় সারা দেশ উত্তাল হয়েছিল। এবার আবারও সেই হাথরসই পদপিষ্টের ঘটনায় শিরোনামে এসেছে। জেলাশাসক আশিসকুমার জানিয়েছেন, রতিভানপুরে মঙ্গলবার একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালীন এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, যেখানে বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থী জমায়েত হয়েছিল। পদপিষ্টের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার সিংহ জানান, মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালীন এই দুর্ঘটনা ঘটে। এখনও পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে, যার মধ্যে ২৩ জন মহিলা, তিন শিশু এবং একজন পুরুষ রয়েছেন। কীভাবে এবং কেন এই দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শিশু এবং মহিলা-সহ ১৫ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Very sad news coming from Hathras, Uttar Pradesh. At least 40 people died in a stampede that occurred during Shiv Katha.
— Shubham Sharma (@Shubham_fd) July 2, 2024
While going outside, people were trying to leave the Hall from a small gate. To get out early, many people lost their lives. OM Shanti. pic.twitter.com/iBrnYSFR0z
পুলিশ জানিয়েছে, মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে প্রচুর মানুষ জমায়েত করেছিলেন। হুড়োহুড়ির কারণ জানার চেষ্টা চলছে। মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনার খোঁজখবর নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন, যার নেতৃত্বে থাকবেন আগরার অতিরিক্ত ডিজি। ঘটনার খবর পেয়ে মুঘলাগড়ি গ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধরী এবং সন্দীপ সিংহ। রাজ্য পুলিশের ডিজিও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সিকন্দরারাউ হাসপাতালে আহতদের নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ছিল না। মাত্র একজন চিকিৎসক ছিলেন হাসপাতালে, যা এই পরিস্থিতিতে অপ্রতুল। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগও উঠেছে। বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, ঘটনার দেড় ঘণ্টা পরও প্রশাসনের কোনও আধিকারিক উপস্থিত হননি, এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
उत्तर प्रदेश : हाथरस के ट्रॉमा सेंटर सिकंदराऊ पर लाशों का ढेर लगा है। सिर्फ एक डॉक्टर मौजूद है। सत्संग स्थल से जो यहां आ रहा है, उसे रेफर कर दिया जा रहा है। लोग कह रहे हैं कि 100 से ज्यादा मर चुके हैं। सुनिए….#Hathras #हाथरस #PMModi pic.twitter.com/74R6A5B8eS
— क्षत्रिय मीडिया (@kshatriya_media) July 2, 2024