দেশ
বঙ্গবন্ধুর ফাঁসি আটকাতে ৩০টি দেশে ছুটে গেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী, ভারতের এই ঋণ মনে রেখেছে বাংলাদেশ: তথ্যমন্ত্রী
এক আলোচনাচক্রে বাংলাদেশ ও ভারতের সাধারণ নাগরিকদের সম্পর্কের উপর জোর দেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার।


ঋদি হক: ঢাকা
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কযুক্ত সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে যত্নবান থাকতে হবে, যাতে দু’ দেশের সম্পর্কে অহেতুক বিরূপ প্রভাব না পড়ে। বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী (Bangladesh Information Minister) তথা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ (Dr. Hasan Mahmud) সংবাদমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ফাঁসি আটকাতে ৩০টি দেশে ছুটে বেড়িয়েছেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ভারতের নজির গড়া এই ঋণ মনে রেখেছে বাংলাদেশ।
ভারতীয় হাই কমিশনার (Indian High Commissioner) বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী (Vikram Doraiswami) দু’ দেশের নাগরিকদের সম্পর্কের ওপর জোর দিয়ে বলেন, পরস্পরের সন্দেহ ও সংশয় দূরে রেখে এক সঙ্গে চলার মধ্য দিয়ে দুই দেশই সমৃদ্ধির পথে এগোতে পারবে।
মঙ্গলবার ঢাকায় ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইমক্যাব, IMCAB) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক’ শীর্ষক এক আলোচনাচক্রে এ সব কথা বলেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ও ভারতীয় হাইকমিশনার।
বাংলাদেশ ও ভারতের সাধারণ নাগরিকদের সম্পর্কের উপর জোর দেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার। তিনি বলেন, “আমাদের সম্পর্ক টেকসই হওয়ার মূল নীতি ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে আছে। বাংলাদেশ-ভারতের মানুষের আকাঙ্ক্ষার জায়গা এক। এখন আমাদের উচিত সন্দেহ ও সংশয় দূর করে কাজ করা। কারণ সন্দেহ ও অবিশ্বাসের কোনো জায়গা এখানে নেই।”
বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন এলে বিএনপি ও কিছু দল ভারত-বিরোধিতাকে সামনে রেখে প্রচারণা চালায়। যাদের সহযোগিতা ছাড়া এ দেশের স্বাধীনতা সম্ভব ছিল না, তাদের বিরোধিতা করে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বৈরিতা করে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ কথা তারা বুঝেও না বোঝার ভান করে। আবার বুঝলেও রাজনীতির স্বার্থে অপরাজনীতি করেন। আলোচনাচক্রে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আলোচনাচক্রে আর যাঁরা ছিলেন
বাংলাদেশে কর্মরত ভারতের সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সংগঠন ‘ইমক্যাব’-এর সভাপতি বাসুদেব ধরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাচক্রে অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন তথ্য উপদেষ্টা ও ‘অবজারভার’ সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রথম নারী সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ।
বিষয়বস্তুর ওপর মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন সিনিয়র সাংবাদিক ও সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব। আলোচনায় অংশ নেন ‘ইমক্যাব’-এর সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সবুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপ আজাদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিদুল হাসান খোকন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাই কমিশনের দ্বিতীয় সচিব (ভিসা ও জনকূটনীতি) দীপ্তি আলংঘট, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভুঁইয়া ও ওমর ফারুক, ডিক্যাব সভাপতি পান্থ রহমান, ‘ইমক্যাব’-এর কোষাধ্যক্ষ মাছুম বিল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আফরোজ জামান, নির্বাহী সদস্য আমিনুল হক ভুইয়া ও লায়েকুজ্জামান।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এমন কোনো খবর প্রচার করা উচিত নয়, যাতে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতার কারণে ১৯৭৪ সালে ভারতের সঙ্গে মৈত্রী চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির কারণেই আমরা ভারতের কাছ থেকে ছিটমহলের অধিকার ফিরে পেয়েছি। অথচ এই চুক্তি নিয়ে একটি মহল বিরূপ প্রচারণা চালিয়েছিল। তবে তাদের অপপ্রচারে দেশের সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করেনি।
মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণকে ভারতের সহযোগিতা এবং বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত করতে দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকার কথা স্মরণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের জেল থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করতে ইন্দিরা গান্ধী বিশ্বব্যাপী জনমত গঠন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে যাতে ফাঁসি দেওয়া না হয়, সে জন্য ৩০টি দেশে তিনি ছুটে গিয়েছেন।
ভারতীয় হাই কমিশনার আরও বলেন
ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, “পৃথিবী খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে আমরা যত দ্রুত এগোতে পারব, তত দ্রুতই আমরা এক সঙ্গে সমৃদ্ধি লাভ করতে পারব।”
দুই দেশের সহযোগিতার উপর গুরুত্ব আরোপ করে দোরাইস্বামী বলেন, “আমি দেখেছি, সহযোগিতা বাড়লে উন্নতিও বাড়ে। সুতরাং আমার জন্য যেটা ভালো নয়, সেটা আপনার জন্য যেটা ভালো নয়। আমরা যদি এটা অনুসরণ করি, তা হলে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের আদর্শ অনুসরণ করা হবে।”
অন্যরা কী বললেন
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের যেমন বৃদ্ধি হয়েছে, তেমনি সে সম্পর্ক ধ্বংসেরও চেষ্টা হয়েছে। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট করেছেন। প্রতিবেশীদের মধ্যে নানা সমস্যা থাকে। সে সমস্যা আন্তরিকতার সঙ্গে সমাধান করতে হবে।
ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক এখন সব চেয়ে উচ্চ মাত্রায়। তবে দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে আরও কাজ করতে হবে। কিছু বিষয় এখনও অমীমাংসিত। তিস্তা চুক্তি নিয়ে হতাশা রয়েছে। সীমান্তে হত্যা হলে দু’ দেশের সম্পর্ক অম্ল-মধুর হয়ে যায়।
মনজরুল আহসান বুলবুল বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু প্রথম ভারত সফরে গিয়ে ইন্দিয়া গান্ধীকে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে তাঁর সৈন্যদের প্রত্যাহার করেছিলেন। এটি ছিল কূটনৈতিক ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের প্রমাণ। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের শ্রদ্ধার ও সম্মানের সম্পর্ক। এটিই আমাদের পথরেখা। এগিয়ে যাওয়ার জায়গা।
আরও পড়ুন: পরপারে পাড়ি জমালেন লেখক-সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ
দেশ
মধ্যপ্রদেশের সরকারি হাসপাতাল থেকে চুরি গেল কোভিডরোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেমডেসিভির
সরকারি হাসপাতাল থেকে চুরি হয়ে গেল ৮৬০টি রেমডেসিভির ইনজেকশন!


খবর অনলাইন ডেস্ক: কোভিডরোগীর চিকিৎসায় রেমডেসিভির (Remdesivir) অপরিহার্য একটি অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ। শনিবার মধ্যপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ভোপালের একটি সরকারি হাসপাতালের স্টক থেকে রেমডেসিভিরের কমপক্ষে ৮৬০টি ইনজেকশন চুরি হয়ে গিয়েছে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ অন্তর্ঘাতের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ভোপালের ডিআইজি ইরশাদ ওয়ালি সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর কাছে বলেন, “৮৬০টি রেমডেসিভির ইনজেকশন চুরি গিয়েছে। আমরা তদন্ত করছি”।
চুরির কিনারা করতে পুলিশ কোনো সূত্র পেয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি একই কথার পুনরাবৃত্তি করে বলেন, তদন্ত চলছে।
ইতমধ্যেই মধ্যপ্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী (মেডিক্যাল) বিশ্বাস সারং বলেন, “ইঞ্জেকশন চুরির খবর পেয়েছি। এটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। বিভাগীয় কমিশনার কবিন্দ্র কিয়াওয়াত এবং ভোপালের ডিআইজি ইরশাদ ওয়ালি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। তাঁরা তদন্ত শুরু করেছেন”।
জানা গিয়েছে, এই চুরির ঘটনায় কোহ-ই-ফিজা থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৫৭ এবং ৩৮০ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এমনিতে মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় রেমডেসিভির ইনজেকশনের সংকট দেখা দিয়েছে। কোভিডরোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত এই অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
প্রতিদিন যে হারে কোভিড-১৯ ( Covid-19) আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড গড়ে চলেছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই ধারণা করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই কোভিডরোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত এই ওষুধের রফতানি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়তে পারেন: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা! অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির নিয়ে বড়োসড়ো সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
দেশ
করোনায় নাভিশ্বাস দশা রাজ্যের, ‘বাংলায় ব্যস্ত’ প্রধানমন্ত্রীকে ফোনে পেলেন না মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে

খবর অনলাইন ডেস্ক: ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ মোকাবিলার কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি দেশের মহারাষ্ট্র, দিল্লি-সহ ডজনখানেক রাজ্য। পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাব, দরিদ্রদের আর্থিক সহযোগিতার জন্য পর্যাপ্ত অর্থের অভাবের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে হতাশ হতে হল মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে।
কেন ফোন প্রধানমন্ত্রীকে?
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার যখন রাজ্যের পঞ্চম দফার ভোট চলছে, তখন অন্য দিকে তিনি সভা করছেন এ রাজ্যেই। ও দিকে উদ্ধবের দাবি, বিবিধ সমস্যার মুখোমুখি হয়ে এ দিন তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী নেই। তবে পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উদ্ধবের ফোনালাপের কোনো সূচি নির্ধারিত হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
দিনদুয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে একটি চিঠি লিখেছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে অনুরোধ করেছিলেন, কোভিডরোগীর চিকিৎসায় দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে অক্সিজেন সরবরাহ এবং সমাজের দরিদ্র শ্রেণির জন্য আর্থিক ত্রাণ সরবরাহ করার। সদুত্তর না পেয়েই এ দিন তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেন বলে জানা যায়।
কী বলছে বিজেপি?
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগকে ‘নিম্নমানের রাজনীতি’ বলে অভিহিত করেছে বিজেপি। যার জেরে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের খেলা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল বিষয়টিকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর ‘গিমিক’ বলে অভিযোগ করে মহারাষ্ট্রের বর্তমান সরকারকে “অদক্ষ এবং দুর্নীতিগ্রস্ত” আখ্যা দিয়েছেন।
গয়াল টুইটারে লেখেন, “মহারাষ্ট্র এখনও পর্যন্ত ভারতের মধ্যে সব থেকে পরিমাণে অক্সিজেন পেয়েছে … কেন্দ্র প্রতিদিন যোগাযোগ রেখে চলছে …গতকাল-ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে এক সঙ্গে কাজ করতে বলেছিলেন … উদ্ধব ঠাকরে অভিনয় করছেন, তাঁর এই নিম্নমানের রাজনীতি দেখে দু:খ হচ্ছে”।
‘বাংলায় ব্যস্ত’ প্রধানমন্ত্রী?
পশ্চিমবঙ্গে চলছে আট দফার বিধানসভা ভোট। শনিবার পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণের দিনেও রাজ্যে প্রচারে এসেছেন মোদী। এটাই এখন নিয়মে পরিণত করেছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ বিজেপির অন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা।
বড়োবড়ো রোড শো, জমায়েত কোনো কিছুরই খামতি নেই। নির্বাচন কমিশন বাধ্যতামূলক করলেও বড়ো জমায়েতে শারীরিক দূরত্ব অথবা মাস্কের চিহ্ন চোখে পড়ছে না অনেক জায়গাতেই।
প্রসঙ্গত, শনিবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৬০৯। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬৯২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ১ লক্ষ ৯ হাজার ৯৯৭ জন। মোট সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৪০ জন। বর্তমানে দেশে ১১.৫৬ শতাংশ কোভিডরোগী চিকিৎসাধীন।
বিস্তারিত পড়ুন এখানে: Corona Update: সক্রিয় রোগীর সংখ্যায় ফের লক্ষাধিক বৃদ্ধি, তবে সুস্থতার সংখ্যায় বৃদ্ধি আরও বেশি, মৃত্যুহার আরও কমল
দেশ
কেন লাগামহীন করোনা? মূলত ২টি কারণকেই দায়ী করলেন এইমস ডিরেক্টর
এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা এগোচ্ছে আড়াই লক্ষের দিকে। কী কারণে?


খবর অনলাইন ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসে যাওয়ার পর ফের কী ভাবে নিত্যদিন রেকর্ড গড়ছে কোভিড-১৯ (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা? এর নেপথ্যে একাধিক কারণ থাকলেও মূলত দু’টি মূল বিষয়কেই দায়ী করলেন এইমস (AIIMS)-এর ডিরেক্টর ডা. রণদীপ গুলেরিয়া (Dr Randeep Guleria)।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর কাছে গুলেরিয়া বলেন, “নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে।। তবে দু’টি প্রধান কারণ হল- যখন জানুয়ারি / ফেব্রুয়ারিতে টিকা দেওয়া শুরু হয় তখন কোভিডবিধি যথাযথ ভাবে অনুসরণ করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন অনেকেই। এই একই সময়ে ভাইরাসের মিউটেশন ঘটে, যার ফলে এটি আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে”।
ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমিতের সংখ্যার দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার উপর একটা বিশাল চাপ দেখতে পাচ্ছি। তাই আমাদের দরকার, হাসপাতালের শয্যা এবং অন্যান্য উপাদানগুলি বাড়ানো। অন্য দিকে জরুরি ভিত্তিতে সক্রিয় কোভিডরোগীর সংখ্যাও হ্রাস করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে”।
একই সঙ্গে ভ্যাকসিন সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমাদের মনে রাখতে হবে যে কোনো ভ্যাকসিন ১০০ শতাংশ কার্যকরী নয়। ফলে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও আপনি সংক্রমিত হতে পারেন। তবে আমাদের শরীরে অ্যান্টিবডিগুলি ভাইরাসকে বাড়তে দেবে না এবং আপনাকে গুরুতর অসুস্থ করে দিতে পারবে না”।
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “এই সময়ে আমাদের দেশে প্রচুর ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয় এবং নির্বাচনও চলছে। আমাদের বুঝতে হবে জীবনও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এটা একটা সীমিত পদ্ধতিতে পালন করতে পারি। যাতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না লাগে এবং পাশাপাশি কোভিডের যথাযথ আচরণ অনুসরণ করা যায়”।
প্রসঙ্গত, শনিবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৬০৯। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬৯২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ১ লক্ষ ৯ হাজার ৯৯৭ জন। মোট সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৪০ জন। বর্তমানে দেশে ১১.৫৬ শতাংশ কোভিডরোগী চিকিৎসাধীন।
বিস্তারিত পড়ুন এখানে: Corona Update: সক্রিয় রোগীর সংখ্যায় ফের লক্ষাধিক বৃদ্ধি, তবে সুস্থতার সংখ্যায় বৃদ্ধি আরও বেশি, মৃত্যুহার আরও কমল
-
রাজ্য20 hours ago
Bengal Polls Live: পৌনে ৬টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭৮.৩৬ শতাংশ
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার1 day ago
ICSE And ISC Exams: দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে দিল আইসিএসই বোর্ড
-
ক্রিকেট1 day ago
IPL 2021: দীপক চাহরের বিধ্বংসী বোলিং, চেন্নাইয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল পঞ্জাব
-
মুর্শিদাবাদ1 day ago
Coronavirus Second Wave: কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন রাজ্যের আরও এক প্রার্থী