বাঁকে বিহারী মন্দির মুসলিম সম্প্রদায়কে বয়কটের দাবিকে দৃঢ়ভাবে নাকচ করল। সোমবার মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্য ও পুরোহিত জ্ঞানেন্দ্র কিশোর গোস্বামী স্পষ্টভাবে জানালেন, মুসলিমরা এখানে বহু দশক ধরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছেন। বিশেষ করে ঠাকুর বাঁকে বিহারীর জন্য পোশাক তৈরি ও অলংকার নির্মাণে তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
গোস্বামী বলেন, “এটা বাস্তবসম্মত নয়। মুসলিম কারিগর ও তাঁতিরা বহু বছর ধরে মন্দিরের জন্য মুকুট, পোশাক, চুড়ি ইত্যাদি তৈরি করছেন। অনেক মুসলিম ভক্তও বাঁকে বিহারীকে বিশ্বাস করেন এবং নিয়মিত মন্দির দর্শনে আসেন।” তিনি আরও জানান, “পহেলগামের হামলাকারী জঙ্গিদের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত, আমরা সরকারের সঙ্গে আছি। তবে বৃন্দাবনে হিন্দু ও মুসলিমরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাস করে।”
মথুরা ও বৃন্দাবনের কিছু অঞ্চলে বিক্ষোভকারীরা হিন্দু দোকানদার ও যাত্রীদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাণিজ্য না করার অনুরোধ করেছিলেন এবং মুসলিম ব্যবসায়ীদের সাইনবোর্ডে মালিকের নাম লেখার দাবি তোলেন।
মন্দিরের অদূরে ‘স্টার মুকুট’ নামের দোকানের মালিক জাভেদ আলি জানান, “ওরা এসে সাইনবোর্ডে মালিকের নাম লেখার কথা বলেছিল। আমি এখানে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবসা করছি। আমার বাবা ছিলেন একজন দর্জি। আমরা সবসময় গ্রাহকদের বিলের সঙ্গে আমার নাম ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রসিদ দিই। আমাদের কিছুই লুকানোর নেই। বাঁকে বিহারীর আশীর্বাদে এখানে সবসময় শান্তি বজায় থাকে।”
আলির দোকানের পাশের ব্যবসায়ী নिखিল আগরওয়ালও বলেন, “আমাদের মধ্যে কখনও কোনও সমস্যা হয়নি। প্রয়োজনে আমরা একে অপরের সাহায্য করি।”
পুলিশ জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত এই ইস্যুতে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি।