বেঙ্গালুরুতে রবিবার শতাধিক IT ও ITeS কর্মী Freedom Park-এ বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, “ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স প্রতিটি কর্মীর অধিকার”, যা IT শিল্পে অবহেলিত হচ্ছে।
অতিরিক্ত কাজ ও মানসিক স্বাস্থ্য সংকট
কর্ণাটক স্টেট IT/ITeS এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (KITU)-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই বিক্ষোভে কর্মীরা অভিযোগ করেন, অতিরিক্ত সময় ধরে কাজ করানো হলেও কোন অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না।
একটি সমীক্ষার তথ্য তুলে ধরে তারা জানান, IT কর্মীদের ৭০% মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন। কর্মীদের উপর অবাস্তব ডেডলাইন, অনিয়ন্ত্রিত কর্মপরিবেশ এবং চরম স্ট্রেসের প্রভাব পড়ছে।
আইনে পরিবর্তন হলে সংকট আরও বাড়বে
সরকার কর্ণাটক Shops and Commercial Establishments Act, 1961-এ সংশোধনী আনার প্রস্তাব দিয়েছে, যা দৈনিক সর্বোচ্চ কর্মঘণ্টাকে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টায় বাড়ানোর সুপারিশ করছে।
বিক্ষোভকারী রাম কুমার, এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, বলেন, “এই সংশোধনী কার্যকর হলে কর্মীদের কোনো বিকল্প থাকবে না, বাধ্য হয়েই কাজ করতে হবে।”
নারী কর্মীদের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল
KITU-এর সহ-সভাপতি রশ্মি চৌধুরী বলেন, “নারীদের IT শিল্প থেকে ধীরে ধীরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যেই প্রতিদিন ১৪-১৬ ঘণ্টা কাজ করি, তারপরও ঘরে গিয়ে গৃহশ্রম করতে হয়। কর্পোরেট নেতারা যখন ৭০-ঘণ্টার কাজের সপ্তাহের পক্ষে কথা বলেন, তখন সেটাই স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।”
তিনি আরও বলেন, “যদি সরকার হস্তক্ষেপ না করে, তাহলে এটাই আমাদের ভবিষ্যত হতে চলেছে।”
শ্রম আইনের দাবি
বিক্ষোভকারীরা সরকারের কাছে IT কর্মীদের জন্য সুনির্দিষ্ট শ্রম আইন বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, কর্মীদের অধিকার সুরক্ষিত করা না হলে এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।