বেঙ্গালুরু: তিরিশটা খুন, পনেরোটা ধর্ষণ এবং দু’বার জেল পালানো। এতকিছু ‘শিরোপা’ মাথায় নিয়ে বেঙ্গালুরু জেলে আত্মহত্যা করল অভিযুক্ত।
মঙ্গলবার রাতে বেঙ্গালুরুর পারাপন্না অগ্রহারা জেলে গলায় দাড়ি কামানোর ব্লেড দিয়ে আত্মহত্যা করে এম জয়শঙ্কর, ওরফে ‘সাইকো শঙ্কর’ নামক ওই ব্যক্তি। মঙ্গলবার রাতে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান এক কনস্টেবল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানেই তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
তিরিশটা খুন এবং পনেরোটা খুনে অভিযুক্ত ‘সাইকো শঙ্করের’ টার্গেট ছিল কর্নাটক এবং তামিলনাড়ুর মহিলারা। তামিলনাড়ুতে আটটা খুন এবং বারোটা ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে সে। বাকি কাণ্ড সে করেছে কর্নাটকের বিজাপুর, দেভনগর, চিত্রদুর্গ এবং তুমকুর জেলায়। তামিলনাড়ুর সালেমজাত এই ব্যক্তি পেশায় একজন ট্রাকচালক।
প্রথমবার ২০০৯ সালে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তামিলনাড়ু পুলিশ। কিন্তু এর দু’বছর পর, আদালত থেকে জেল ফেরার সময়ে পুলিশের জাল থেকে পালিয়ে যায় সে। এর দু’মাস পর কর্নাটকের বিজাপুর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে, ততদিনে আরও দু’জন মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করে ফেলেছে সে।
এরপরে তাকে বেঙ্গালুরুর জেলে রাখা হলেও, ২০১৩ সালে সেখান থেকেও পালাতে সফল হয় সে। ৩০ ফুট দেওয়াল টপকে জেল পালায় ‘সাইকো শঙ্কর’। এর কিছুদিন পরেই অবশ্য তাকে আবার পাকড়াও করে বেঙ্গালুরুর এই জেলেই পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।